Telangana Fire: দরজার সামনে পৌঁছতে পারছিল না, ভিতর থেকে শুধু ভেসে আসছিল চিৎকার! বন্ধ গোডাউনেই পুড়ে মৃত্যু ১১ শ্রমিকের
Telangana Fire: প্রাথমিক তদন্তের পর মনে করা হচ্ছে যে, গোডাউনে শর্ট সার্কিট হওয়ার কারণেই আগুন লেগে গিয়েছিল। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।
হায়দরাবাদ: রাতে গোডাউনে ঘুমাচ্ছিল কর্মচারীরা, হঠাৎই অনুভব হল গরম আঁচ। চোখ খুলতেই দেখতে পেল, দাউদাউ করে জ্বলছে গোডাউন(Godown)। তেলেঙ্গনা(Telengana)-র সেকেন্দ্রাবাদে একটি কাঠের গোডাউনে আগুন লাগায় পুড়ে মৃত্যু হল কমপক্ষে ১১ জন শ্রমিকের। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ভোররাতে আগুন লাগার খবর পেতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় একাধিক দমকল বাহিনী। প্রায় কয়েক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। তবে এখনও গোডাউনের বেশ কিছু অংশে ফায়ার পকেট থাকার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন দমকলকর্মীরা।
জানা গিয়েছে, সেকেন্দ্রাবাদের ভোইগুডায় মঙ্গলবার ভোর ৪টে নাগাদ একটি কাঠের স্ক্রাপ গোডাউনে হঠাৎ আগুন ধরে যায়। গোডাউনের ভিতরে প্রচুর দাহ্য পদার্থ ও কাঠ থাকায়, নিমেষেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে। গোডাউনের কর্মচারীরা যতক্ষণে বুঝতে পারেন, ততক্ষণে প্রধান দরজাও আগুনের গ্রাসে চলে গিয়েছে। সেই সময় গোডাউনে মোট ১২ জন কর্মী ছিলেন। তাদের মধ্যে একজন সুরক্ষিতভাবে বেরিয়ে আসতে পারলেও, বাকিরা আগুনে পুড়ে মারা যান।
Telangana | 11 people died after a fire broke out in a scrap shop in Bhoiguda, Hyderabad
Out of 12 people, one person survived. DRF reached the spot to douse the fire. A shock circuit could be the reason for the fire. We are investigating the matter: Mohan Rao, Gandhi Nagar SHO pic.twitter.com/PMTIDa5ilg
— ANI (@ANI) March 23, 2022
জানা গিয়েছে, ওই গোডাউনটি দোতলা। উপরের তলেই ঘুমোচ্ছিলেন কর্মচারীরা। যতক্ষণে তারা আগুন লাগার বিষয়টি বুঝতে পারেন, ততক্ষণে আগুন অনেকটাই ছড়িয়ে পড়েছে নীচের তলায়। একজন শ্রমিক কোনওমতে আগুনের আঁচ এড়িয়ে বেরিয়ে আসতে পারলেও, বাকিরা দোতলা থেকে নীচে নামতেও পারেননি।
The fire incident took place in the morning around 4am. A team of firefighters arrived immediately and doused the fire. 11 people have died and one had escaped safely from the premises. Details will be given after investigation: L Sharman, Hyderabad District Collector pic.twitter.com/rEYUjQvLVp
— ANI (@ANI) March 23, 2022
প্রাথমিক তদন্তের পর মনে করা হচ্ছে যে, গোডাউনে শর্ট সার্কিট হওয়ার কারণেই আগুন লেগে গিয়েছিল। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে। পুলিশের ডেপুটি কমিশনার জানিয়েছেন, দুর্ঘটনাস্থল থেকে প্রথমে আটটি দেহ উদ্ধার করা হয়। পরে আরও তিনটি দেহ পাওয়া যায়। সবকটি দেহই গান্ধী হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। কর্মীদের পরিচয় জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। মৃত শ্রমিকদের মধ্যে বেশ কয়েকজন পরিযায়ী শ্রমিক ছিলেন বলেও জানা গিয়েছে। তারা বিহারের বাসিন্দা। কর্মসূত্রেই সেকেন্দ্রাবাদে থাকতেন।
অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়েই শোক প্রকাশ করেছেন তেলেঙ্গনার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও। তিনি মৃতদের পরিবার পিছু ৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছেন। রাজ্যের মুখ্যসচিব সোমেশ কুমারকে দেহগুলি সুরক্ষিতভাবে বিহারে পাঠানোর ব্যবস্থা করার নির্দেশও দিয়েছেন।