Vishnu Idol and Shivling Found: কৃষ্ণা নদীর বুক থেকে উদ্ধার রামলালা মূর্তির মতো দেখতে বিষ্ণুমূর্তি!

Vishnu Idol and Shivling Found In Krishna Riverbed: কাকতালীয়ভাবে, অযোধ্যায় সদ্য প্রাণ প্রতিষ্ঠা হওয়া রাম মন্দিরে স্থাপিত রামলালা মূর্তির সঙ্গে বিষ্ণু মূর্তিটির যথেষ্ট সাদৃশ্য রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। রামলালা মূর্তিটি খোদাই করেছিলেন কর্নাটকেরই ভাস্কর অরুণ যোগীরাজ। ঐতিহাসিকদের মতে, সম্ভবত যুদ্ধের সময় সুলতান শাসকদের হাত থেকে রক্ষা করতে, মূর্তিগুলি ইচ্ছাকৃতভাবেই নদীর বুকে ডুবিয়ে দেওয়া হয়েছিল।

Vishnu Idol and Shivling Found: কৃষ্ণা নদীর বুক থেকে উদ্ধার রামলালা মূর্তির মতো দেখতে বিষ্ণুমূর্তি!
উদ্ধার হওয়া বিষ্ণু মূর্তিটির সঙ্গে অযোধ্যায় সদ্য প্রাণ প্রতিষ্ঠা হওয়া রাম মন্দিরে স্থাপিত রামলালা মূর্তির যথেষ্ট সাদৃশ্য রয়েছে Image Credit source: Twitter
Follow Us:
| Updated on: Feb 07, 2024 | 12:51 PM

বেঙ্গালুরু: রায়চুর ও তেলেঙ্গানা সীমান্ত এলাকায় কৃষ্ণা নদীর উপর একটি সেতু নির্মাণের কাজ চলছিল। সেই সময়, নদীর বুক থেকে উঠে এল হাজার বছরের পুরোনো ভগবান বিষ্ণু ও শিবের দুটি মূর্তি। কাকতালীয়ভাবে, অযোধ্যায় সদ্য প্রাণ প্রতিষ্ঠা হওয়া রাম মন্দিরে স্থাপিত রামলালা মূর্তির সঙ্গে বিষ্ণু মূর্তিটির যথেষ্ট সাদৃশ্য রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। রামলালা মূর্তিটি খোদাই করেছিলেন কর্নাটকেরই ভাস্কর অরুণ যোগীরাজ। ঐতিহাসিকদের মতে, সম্ভবত যুদ্ধের সময় সুলতান শাসকদের হাত থেকে রক্ষা করতে, মূর্তিগুলি ইচ্ছাকৃতভাবেই নদীর বুকে ডুবিয়ে দেওয়া হয়েছিল।

নির্মাণকাজে নিযুক্ত দলের সদস্যরাই এই দেবমূর্তি দুটি উদ্ধার করে। টিভি৯ কন্নড় জানিয়েছে, বিষ্ণু মূর্তিটির চারপাশে একটি বলয়ে কৃষ্ণের দশ অবতার চিত্রিত রয়েছে। যেমনটা অযোধ্যার রামলালা মূর্তিতেও রয়েছে। আর অপরটি একটি শিবলিঙ্গ। মনে করা হচ্ছে মূর্তিগুলি ১০০০ বছরেরও বেশি প্রাচীন হতে পারে। ইতিমধ্যেই, আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়ার আধিকারিকরা ওই এলাকা পরিদর্শন করেছেন। বিষ্ণু মূর্তি এবং শিবলিঙ্গটি এখন তাদের দখলে রয়েছে। টিভি৯ কন্নড় জানিয়েছে, প্রত্নতাত্ত্বিক বিভাগ মূর্তিগুলি নিরাপদ স্থানে নিয়ে গিয়েছে।

নদীর বুক থেকে উঠে এল হাজার বছরের পুরোনো ভগবান বিষ্ণু ও শিবের দুটি মূর্তি

আরও জানা গিয়েছে, মূর্তিগুলি খোদাই করা হয়েছে সবুজ মিশ্র শিলায়। মূর্তি খোদাইয়ে এই ধরনের শিলা কল্যাণ চালুক্য যুগে ব্যবহার করা হত। প্রত্নতাত্ত্বিক বিভাগের কর্তারা এই প্রাচীন মূর্তিদুটি সম্পর্কে আরও অনুসন্ধান চালাচ্ছেন। বিশিষ্ট ইতিহাসবিদ পদ্মজা দেশাই টিভি৯ কন্নড়কে জানিয়েছেন, “কৃষ্ণা নদীর তলদেশ থেকে পাওয়া মূর্তিগুলি সম্ভবত একাদশ শতকের কল্যাণ চালুক্য রাজবংশের সময়ের। সম্ভবত, বাহমানি সুলতান ও আদিল শাহিদের আক্রমণ থেকে রক্ষা করার জন্য মূর্তিগুলি ইচ্ছাকৃতভাবে নদীতে ডুবিয়ে দেওয়া হয়েছিল। অবশ্য, রায়চুরে অনেকগুলি রাজপরিবার শাসন করেছে। এই জায়গা ১৬৩টিরও বেশি যুদ্ধের সাক্ষী।