Suspicious Death: ‘মৃত্যু আমি তোমাকে ভালবাসি’, প্রাণবন্ত ১৩ বছরের মেয়ের সুইসাইড নোট ঘিরেই দানা বাঁধছে রহস্য
Suicide News: পুলিশ এসে তল্লাশি চালাতেই উদ্ধার হয় একটি নোট, যাতে লেখা "আই লাভ ইউ ডেথ" (মৃত্যু, আমি তোমাকে ভালবাসি)।
নাগপুর: সকালে মেয়েকে স্কুলে ছেড়ে দিয়ে এসেছিলেন বাবা। দুপুরে কাজের ফাঁকেই ফের স্কুল থেকে আনতে গিয়েছিলেন। কিন্তু সেখানে গিয়ে শুনলেন, মেয়ে একা একাই অটোয় করে বাড়ির দিকে রওনা দিয়েছে। তড়িঘড়ি স্ত্রীকে ফোন করেন, জানতে পারেন যে মেয়ে ঠিক মতেই বাড়ি পৌঁছে গিয়েছে। নিশ্চিত মনেই তাই কাজে ফিরে গিয়েছিলেন বাবা। ঘণ্টা খানেক কাটতেই ফের বাড়ি থেকে ফোন। ওপ্রান্ত থেকে যা শুনলেন, তাতে মাথায় বাজ ভেঙে পড়ল। স্ত্রী জানালেন, ঘরেই গলায় দড়ি দিতে আত্মহত্যা করেছে ১৩ বছরের মেয়ে। তবে রহস্যের শেষ এখানেই নয়। পুলিশ এসে তল্লাশি চালাতেই উদ্ধার হয় একটি নোট, যাতে লেখা “আই লাভ ইউ ডেথ” (মৃত্যু, আমি তোমাকে ভালবাসি)। গোটা ঘটনাকে ঘিরেই দানা বেঁধেছে রহস্য।
জানা গিয়েছে, ১৩ বছরের ওই কিশোরী নাগপুরের চন্দ্রমণী নগরের বাসিন্দা। মা-বাবা ও ছোট ভাইয়ের সঙ্গে থাকত সে। মাউন্ট কার্মেল স্কুলের অষ্টম শ্রেণির পড়ুয়া ছিল ওই কিশোরী। ওই কিশোরীর মৃত্যুর সঠিক কারণ এখনও জানা না গেলেও, পুলিশ যে সুইসাইড নোট উদ্ধার করেছে, তা নিয়েই রহস্য দানা বেঁধেছে।
আরিয়া নামক ওই কিশোরীর বাবা হরিশচন্দ্র মানকর জানিয়েছেন, প্রতিদিনের মতোই তিনি মেয়েকে স্কুলে দিতে গিয়েছিলেন। সেই সময় তাঁর মধ্যে কোনও অস্বাভাবাবিকতা লক্ষ্য করেননি। এরপরে দুপুরে কাজের ফাঁকে মেয়েকে আনতে গেলে জানতে পারেন যে, আরিয়া একা একাই বাড়ি চলে গিয়েছে অটো ধরে। তিনি সঙ্গে সঙ্গে বাড়িতে স্ত্রীকে ফোন করলে, জানতে পারেন যে আরিয়া বাড়ি চলে এসেছে।
কিছুক্ষণ বাদেই তিনি খবর পান যে, দুপুর দেড়টা নাগাদ মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। সেই সময় বাড়িতে তাঁর স্ত্রী মঞ্জুষা ও ভাই হিতেশ উপস্থিত ছিল। খবর পেয়েই তিনি সঙ্গে সঙ্গে বাড়িতে এসে পৌঁছন, আসে পুলিশও। ওই পড়ুয়ার ফোন ও নোটবুক বাজেয়াপ্ত করা হয়। পুলিশের তরফে অপঘাতে মৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এদিকে, পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, বাড়ির তল্লাশি অভিযান চালিয়ে সুইসাইড নোট উদ্ধার করা হয়েছে। সেখানে লেখা ছিল “আই লাভ ইউ ডেথ”। এছাড়া তাঁর নোটবুক থেকেও “আই লাভ ইউ ডেথ, আই লাইক টু ডাই”, এই ধরনের লেখা দেখা গিয়েছে। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।