এক ঘন্টা বিদ্যুৎ না থাকায় ৩ রোগীর মৃত্যু কোভিড হাসপাতালে
মৃত তিনজনের মধ্যে দুই রোগীই অক্সিজেন সাপোর্টে ছিলেন। বিদ্যুৎ না থাকায় হাই ফ্লো নাসাল ক্যানুলা (HFNC) বন্ধ হয়ে যায়, ফলে রোগীদের অবস্থা খারাপ হতে থাকে।
ভোপাল: কোভিড হাসপাতালে (Covid Hospital) বিদ্যুৎ পরিষেবা ব্যাহত হওয়ায় বেঘোরে প্রাণ হারাতে হল তিন রোগীকে। ঘটনাটি ঘটেছে ভোপাল (Bhopal)-র একটি মাল্টিস্পেশালিটি হাসপাতালে।
ভোপালের সরকারি মালিকানাধীন হামিদিয়া হাসপাতালে (Hamidia Hospital) শুক্রবার সন্ধে ছটায় বিদ্যুৎ পরিষেবা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। জরুরী প্রয়োজনে রাখা জেনারেটর (Generator)-ও কাজ করেনি। একঘণ্টা পর বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক হয়। একঘণ্টা বিদ্যুৎ না থাকায় ব্যাপক প্রভাব পড়ে কোভিড(COVID), ট্রমা (Trauma) ও এমার্জেন্সি কেয়ারে (Emergency Care)। হাসপাতালের দাবি, বিদ্যুৎ পরিষেবা ব্যাহত হওয়ার জন্য কোনও রোগীর মৃত্যু হয়নি।
যদিও সূত্রে দাবি, মৃত তিনজনের মধ্যে দুই রোগীই অক্সিজেন সাপোর্টে ছিলেন। বিদ্যুৎ না থাকায় হাই ফ্লো নাসাল ক্যানুলা (HFNC) বন্ধ হয়ে যায়, ফলে রোগীদের অবস্থা খারাপ হতে থাকে। কিছুক্ষণ পর বন্ধ হয়ে যায় ভেন্টিলেটর (Ventilator) পরিষেবাও। মৃত তিন ব্যক্তির মধ্যে একজন হলেন আকবর খান (৬৭), যিনি দুবার কংগ্রেসের পৌরপিতা ছিলেন।
আরও পড়ুন: সীমান্তে একাধিক টোল প্লাজা কবজায় নিল কৃষকরা, নিখরচায় যান চলাচল
ঘটনার পরই হাসপাতালের দায়িত্বে থাকা পূর্ত দপ্তরের সাব-ইঞ্জিনিয়ার (Sub Engineer)-কে বরখাস্ত করা হয় এবং তাঁর বিরুদ্ধে মামলাও শুরু করা হয়েছে। হাসপাতালের অধ্যক্ষকেও চিঠি পাঠিয়েছে রাজ্য সরকার।
মধ্য প্রদেশের চিকিৎসা শিক্ষামন্ত্রী বিশ্বাস সরং (Biswas Sarang) বলেন,”এটি অত্যন্ত ভয়ানক একটি গাফিলতি। জেনেরেটরের যাবতীয় অর্থ বরাদ্দ ছিল। সেটি চালানোর জন্য ডিজেল ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীও ছিল। বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার পর মাত্র ১০ মিনিট জেনেরেটর চলে, তারপরই বন্ধ হয়ে যায়। একঘণ্টা বাদে বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক হয়। দায়িত্ব প্রাপ্ত ইঞ্জিনিয়ারকে বরখাস্ত করা হয়েছে এবং মুখ্যমন্ত্রীও এই বিষয়ে রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছেন।”
এই ঘটনায় কংগ্রেস শাসক দল বিজেপিকে আক্রমণ করে বলে,”একজন ছোট কর্মচারীকে শাস্তি না দিয়ে সরকারের উচিত ঘটনার সম্পূর্ণ দায়ভার নেওয়া।”
আরও পড়ুন: “ব্রেক-আপের পরই অধিকাংশ ধর্ষণের মামলা দায়ের”, বিতর্কিত মন্তব্য মহিলা কমিশনের প্রধানের