সীমান্তে একাধিক টোল প্লাজা কবজায় নিল কৃষকরা, নিখরচায় যান চলাচল
গৌতম বুদ্ধ নগর জেলার প্রবেশপথে যে টোল প্লাজা রয়েছে, তা দখল করে নেয় আন্দোলনরত কৃষকরা। টোল প্লাজায় হাজির গাড়িগুলিকে বিনা টোল ফি-তেই যেতে দেওয়া হয়।
নয়া দিল্লি: মুখে নয়, কাজে করে দেখাল কৃষকরা! তিন সপ্তাহে পা রেখেছে কৃষক আন্দোলন (Farmers Protest), সরকার পক্ষের সঙ্গে একাধিক আলোচনাতেও কোনও রফাসূত্র না মেলায় টোল প্লাজা (Toll Plaza) আটক করার হুমকি দিয়েছিল কৃষকরা। এবার সেটাই কাজে করে দেখালেন তাঁরা। গত রাত থেকেই দিল্লি সীমান্তে একের পর এক টোল প্লাজা দখল করে কৃষকরা। টোল ফি (Toll Fee) না দিতেই গাড়িগুলিকে যেতে দিচ্ছেন তাঁরা।
আজ সকালে উত্তর প্রদেশ (Uttar Pradesh)-র গৌতম বুদ্ধ নগর জেলার প্রবেশপথে যে টোল প্লাজা রয়েছে, তা দখল করে নেয় আন্দোলনরত কৃষকরা। টোল প্লাজায় হাজির গাড়িগুলিকে বিনা টোল ফি-তেই যেতে দেওয়া হয়। ঘটনাস্থানে পুলিস উপস্থিত থাকলেও কৃষকদের আটকাতে বিফল হয়েছেন তাঁরা।
এক আন্দোলনকারী বলেন,”প্রায় ১০০ জনের মতো আন্দোলনকারী মিলে গৌতমবুদ্ধ নগরের চারটি টোল প্লাজা দখল করা হয়েছে এবং সেখান থেকে যাতায়াতকারী গাড়িগুলিকে বিনা টোল পি প্রদান করেই যেতে দেওয়া হচ্ছে। এটি আমাদের আন্দোলন কর্মসূচীরই অংশ।” ঘটনাস্থানে উপস্থিত পুলিসকর্মীরা জানান, কৃষকদের বোঝানোর চেষ্টা করা হলেও তাঁরা আন্দোলন জারি রাখার সিদ্ধান্তে অটল রয়েছে।
#WATCH Haryana: Vehicles move through Shambhu Toll Plaza in Ambala after farmers closed the toll today, making it toll-free, as a part of their protest against #FarmLaws. pic.twitter.com/rdCM8BnQWO
— ANI (@ANI) December 12, 2020
আরও পড়ুন: “নয়া কৃষি আইনে আয় বাড়বে কৃষকদেরই”, বললেন প্রধানমন্ত্রী
গৌতমবুদ্ধ নগরের মতো একইভাবে অম্বালা (Ambala)-র শম্ভু টোল প্লাজাতেও সমস্ত গেট খুলে দেয় কৃষকরা। হরিয়ানার বাস্তারা টোল প্লাজাও খুলে দেওয়া হয় গতরাতে। তবে আগ্রা পুলিসের তরফে জানানো হয়, সেখানের টোল প্লাজাগুলিতে স্বাভাবিকভাবেই কাজ চলছে। কৃষকরা সেখানের পাঁচটি টোল প্লাজায় এখনও দখল নেয়নি।
#WATCH Haryana: Farmers closed Bastara toll plaza in Karnal late last night, as part of their agitation against the three #FarmLaws by Centre. pic.twitter.com/5fv4ZY5UTt
— ANI (@ANI) December 12, 2020
কেন্দ্রের নয়া তিন কৃষি আইন (Farm Law)-র বিরুদ্ধে লাগাতার আন্দোলন করছে কৃষকরা। সরকারের তরফ থেকে তিনটি কৃষি আইনে মোট সাতটি সংশোধনের লিখিত প্রস্তাব দেওয়া হলেও তা ফিরিয়ে দিয়েছে কৃষকরা। তাদের দাবি, সংশোধন নয়, আইন প্রত্যাহার করতে হবে। আগামী ১৪ তারিখ বৃহত্তর আন্দোলনের পথে হাঁটার হুঁশিয়ারিও দিয়েছে কৃষকরা।
আরও পড়ুন: ৭ কোটির আয়কর ফাঁকি মামলায় রেহাই সস্ত্রীক চিদাম্বরম পুত্রের