Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

BTS-র সঙ্গে দেখা করতেই হবে! ১৪ হাজার টাকা নিয়েই দক্ষিণ কোরিয়ার উদ্দেশে পাড়ি দিল ৩ কিশোরী, তারপর…

BTS Fan: যেমন ভাবা, তেমন কাজ। তিন কিশোরী মিলে পরিকল্পনা করে যে তাঁরা বাড়ি থেকে পালিয়ে বিশাখাপত্তনম যাবে। সেখান থেকে জাহাজে চেপে দক্ষিণ কোরিয়ায় যাবে। তাদের ধারণা ছিল, জাহাজে গেলে পাসপোর্টের প্রয়োজন পড়বে না। পরিকল্পনা মাফিকই বাড়ি থেকে ১৪ হাজার টাকা চুরি করে পালিয়ে যায়।

BTS-র সঙ্গে দেখা করতেই হবে! ১৪ হাজার টাকা নিয়েই দক্ষিণ কোরিয়ার উদ্দেশে পাড়ি দিল ৩ কিশোরী, তারপর...
বিটিএস।Image Credit source: Facebook
Follow Us:
| Updated on: Jan 08, 2024 | 8:20 AM

চেন্নাই: বিশ্ব মাতাচ্ছে কে-পপ মিউজিক (K-Pop Music)। আর কে-পপ বলতেই প্রথমেই সকলের মনে আসে বিটিএস(BTS)-র নামে। সাত সদস্যের বয় ব্যান্ড বর্তমানে বিশ্বের সবথেকে জনপ্রিয় ব্যান্ড। তাদের অনুরাগীর সংখ্যা কোটি কোটি। বিটিএস ফ্যানদের পোশাকি নামও রয়েছে, আর্মি (ARMY)। বিটিএসের প্রেমে পাগল হয়ে অনেকেই ট্য়াটু করান বা তাদের মতো পোশাক-আশাক পরেন, কিন্তু এই সব পাগলামোকে ছাপিয়ে গেল তিন কিশোরীর কীর্তি। বিটিএস তারকাদের সঙ্গে দেখা করতে চরম পদক্ষেপ নিল তাঁরা। বিটিএসের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করার জন্য বাড়ি থেকে পালিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার উদ্দেশে রওনা দিল তিনজন। তবে শেষ অবধি ব্যর্থ হয়ে যায় সেই পরিকল্পনা, পুলিশের হাতে ধরা পড়ে যায় তিন কিশোরী।

তামিলনাড়ুর করুর জেলার বাসিন্দা ওই তিন কিশোরী। অষ্টম শ্রেণিতে পড়ে তাঁরা। পড়াশোনার ফাঁকে তাঁদের শখ হল বিটিএসের গান শোনা। কে-পপ ব্যান্ড বিটিএসের অন্ধ ফ্যান। বিটিএসের সদস্যরা যা করে, যেভাবে পোশাক পরে, সবই অনুকরণ করত তিনজন। কিন্তু সেই ‘অবসেশন’ বাড়তে বাড়তে এমন একটা পর্যায় পৌঁছয় যে সোজা দক্ষিণ কোরিয়ায় গিয়ে বিটিএসের সাত সদস্যদের সঙ্গে দেখা করার সিদ্ধান্ত নেয়।

যেমন ভাবা, তেমন কাজ। তিন কিশোরী মিলে পরিকল্পনা করে যে তাঁরা বাড়ি থেকে পালিয়ে বিশাখাপত্তনম যাবে। সেখান থেকে জাহাজে চেপে দক্ষিণ কোরিয়ায় যাবে। তাদের ধারণা ছিল, জাহাজে গেলে পাসপোর্টের প্রয়োজন পড়বে না। পরিকল্পনা মাফিকই বাড়ি থেকে ১৪ হাজার টাকা চুরি করে পালিয়ে যায়। গত ৪ জানুয়ারি তারা ইরোদ থেকে চেন্নাইয়ের ট্রেনে চাপে। চেন্নাই পৌঁছে নানা প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যে পড়লেও, জেদে অনড় ছিল। হাজারো চেষ্টা করে দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়ার পথ না পেয়ে, শেষ অবধি শুক্রবার তাঁরা হাল ছেড়ে দেয়। বাধ্য হয়ে আবার চেন্নাই থেকে ট্রেনে ওঠে।

মাঝপথে, কাতপাড়ি স্টেশনে খাবার কিনতে নামায় ট্রেন মিস হয়ে যায়। স্টেশনে তিন কিশোরীকে ইতিউতি ঘুরতে দেখেই সন্দেহ হয় পুলিশের। তাদের উদ্ধার করে চাইল্ড লাইনে খবর দেওয়া হয়। ভেলোরে একটি সরকারি হোমে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকেই তাদের অভিভাবকদের খবর দেওয়া হয়।

এদিকে, গত ৪ জানুয়ারি বাড়ি থেকে পালিয়ে যাওয়ার পরই তিন কিশোরীর মা-বাবা পুলিশে নিখোঁজ ডায়েরি করেছিলেন। কিন্তু তারা দুঃস্বপ্নেও ভাবতে পারেননি যে মেয়েরা দক্ষিণ কোরিয়ায় যাওয়ার চেষ্টা করছে। ওই হোমেই তিন কিশোরী ও তাদের মা-বাবার কাউন্সেলিং করানো হয়।