Primary Teachers: চাকরি বহাল রাখতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ ৩২০০০ প্রাথমিক শিক্ষক
Bengal Primary teachers: সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেন ৩২০০০ চাকরি হারা প্রাথমিক শিক্ষক। চাকরি বহাল রাখতে বুধবার (২৪ মে) তারা হাইকোর্টের নির্দেশকে সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ জানালেন।

নয়া দিল্লি: সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেন ৩২০০০ চাকরি হারা প্রাথমিক শিক্ষক। চাকরি বহাল রাখতে বুধবার (২৪ মে) তাঁরা হাইকোর্টের নির্দেশকে সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ জানালেন। সম্প্রতি, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে এই ৩২০০০ প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। কলকাতা হাইকোর্টের একক বিচারপতির বেঞ্চ এই ৩২০০০ প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিল। পাশাপাশি নতুনদের ওই পদে নিয়োগের জন্য প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। পরে ডিভিশন বেঞ্চ, সিঙ্গল জাজ বেঞ্চের চাকরি বাতিলের নির্দেশের উপর চার মাসের জন্য স্থগিতাদেশ জরি করে। তবে, নতুন প্রার্থীদের নিয়োগের বিষয়টি বহাল রেখেছে ডিভিশন বেঞ্চও। এদিন, হাইকোর্টের দুই বেঞ্চের নির্দেশকেই চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করলেন চাকরিহারা প্রাথমিক শিক্ষকরা।
২০১৬ সালে প্রাথমিকে শিক্ষক হিসেবে মোট ৪২,৫০০ জনকে নিয়োগ করা হয়েছিল। তার মধ্যে এলিমেন্টারি এডুকেশন-এ ডিপ্লোমা এবং ডিগ্রি ছিল ৬৫০০ জনের। তাদের চাকরি নিয়ে কোনওদিনই কোনও বিতর্ক নেই। বাকি ৩৬ হাজার প্রশিক্ষণহীন প্রাথমিক শিক্ষকের নিয়োগ বাতিল করে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, নতুন করে ইন্টারভিউ দিয়ে পাশ করে তাঁদের চাকরি ফিরে পেতে হবে। পাশ না করতে পারলে চাকরি যাবে তাদের। পরে জানা যায়, প্রশিক্ষণহীন প্রাথমিক শিক্ষকের সংখ্যা আসলে ৩০,১৮৫। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, চাকরিহারা প্রাথমিক শিক্ষকরা আপাতত ৪ মাস কাজে বহাল থাকবেন। তবে তাদের বেতন দেওয়া হবে পার্শ্বশিক্ষকদের বেতনকাঠামো অনুসারে।
তারপর, বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের ৩২০০০ প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছিল। ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছিল, আগামী সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত অথবা আদালত পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই স্থগিতাদেশ কার্যকর থাকবে। তবে, বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ মেনেই নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে বলা হয়েছিল ডিভিশন বেঞ্চের অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশে। সেপ্টেম্বরেই এই মামলার পরবর্তী শুনানি হওয়ার কথা।
