Children Death: ২৪ ঘণ্টাতেই মৃত্যু ৪ নবজাতকের, অভিভাবকদের বিক্ষোভে জরুরি বৈঠকের ডাক প্রশাসনের

Children Death in Chhattisgarh: গত ১৫ অক্টোবর রাতে মোট ৪ নবজাতকের মৃত্যু হয়। এদের সকলেরই বয়স ৪ দিন থেকে ২৮ দিনের মধ্যে ছিল।

Children Death: ২৪ ঘণ্টাতেই মৃত্যু ৪ নবজাতকের, অভিভাবকদের বিক্ষোভে জরুরি বৈঠকের ডাক প্রশাসনের
সদ্যোজাত শিশুর মৃ্ত্যু প্রতীকী চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 18, 2021 | 10:51 AM

রায়পুর: মাত্র ২৪ ঘণ্টাতেই এক হাসপাতালেই মৃত্যু হল চার নবজাতকের(Death of Newborn Babies)। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায় অম্বিকাপুর(Ambikapur)-র একটি সরকারি হাসপাতালে। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে তড়িঘড়ি বৈঠকের ডাক দিল রাজ্য সরকার।

ছত্তীসগঢ়(Chhattisgarh)-র সুরগুজা জেলার অম্বিকাপুরে একটি সরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালেই গত ১৫ অক্টোবর রাতে মোট ৪ নবজাতকের মৃত্যু হয়। এদের সকলেরই বয়স ৪ দিন থেকে ২৮ দিনের মধ্যে ছিল। হাসপাতালের দাবি, চারটি শিশুই অন্য হাসপাতাল থেকে রেফার হয়ে এসেছিল। জন্মগত কিছু জটিলতা থাকায় তাদের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে অস্বাভাবিক কিছু নেই। যদিও অভিভাবকদের অভিযোগ, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের গাফিলতির কারণেই শিশুগুলির মৃত্যু হয়েছে।

হাসপাতালের সুপার জানিয়েছেন, ১৫ অক্টোবর রাতে একটি শিশুর মৃত্যু হয় এবং পরদিন সকালে বাকি তিন শিশুর মৃত্যু হয়। এদের মধ্যে একজন পেডিয়াট্রিক ওয়ার্ডে ভর্তি ছিল, বাকি তিনজন নিওন্য়াটাল কেয়ার ইউনিটে ভর্তি ছিল। দুই শিশুর ওজন অতিরিক্ত কম ছিল এবং বাকি দুজন জন্মের পর থেকেই শ্বাসকষ্টে ভুগছিল।

এ দিকে, শিশু মৃত্যুর খবর মিলতেই অভিভাবকরা হাসপাতালের বাইরে ২ ঘণ্টা বিক্ষোভ দেখান। তারা হাসপাতালের কর্মীদের উপরই অবহেলার অভিযোগ আনেন। এক অভিভাবক জানান, তাঁর সন্তানের মৃত্যুর কারণ জানতে চাওয়ায় এক স্বাস্থ্যকর্মী তাঁকে বলেন যে, সঠিক সময়ে  সঠিক চিকিৎসা পেতে চাইলে আমার সন্তানকে সরকারি হাসপাতালে না এনে কোনও বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া উচিত ছিল।

পাল্টা চিকিৎসকদেরও অভিযোগ, অভিভাবকদের আগেই শিশুদের শারীরিক জটিলতা সম্পর্কে জানানো হয়েছিল। তারপরও তারা ভুয়ো অভিযোগ আনছেন। শিশুমৃত্য়ুর খবর পেয়েই ছত্তীসগঢ়ের নগরোন্নয়ন মন্ত্রী শিবকুমার দাহারিয়া অম্বিকাপুরের সমস্ত আধিকারিকেন।দের নিয়ে একটি বৈঠক ডাকেন। মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেলের নির্দেশেই এই জরুরি বৈঠক ডাকা হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক, মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক, স্বাস্থ্য আধিকারিক ও ওই হাসপাতালের সুপার। একইসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী দেএস দেও, যিনি দিল্লি সফরে ছিলেন, তিনিও শিশুমৃত্যুর খবর শুনেই রাজ্যে ফিরে এসেছেন। রায়পুর ও বিলাসপুর থেকে স্বাস্থ্য বিভাগের একটি বিশেষ দলও অম্বিকাপুরে পাঠিয়েছেন গোটা ঘটনার তদন্তের জন্য।