UP Fire: ঘর থেকে ভেসে আসছিল ‘বাঁচাও বাঁচাও’ চিৎকার, মধ্য রাতে ‘ছোট্ট দুর্ঘটনায়’ পুড়ে ছাই গোটা পরিবার
Burnt to Death: ঘরের ভিতর থেকে আর্তচিৎকার শুনতে পেয়েই ঘুম ভাঙে প্রতিবেশীদের। তাঁরা সঙ্গে সঙ্গে ছুটে এসে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। খবর দেওয়া হয় দমকলেও।
লখনউ: ঘড়ির কাটা ১২টা পার করে গিয়েছে। তিন সন্তানকে নিয়ে গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন মা-বাবা। হঠাৎ কিছু একটা গরম অনুভব হয়। উঠে দেখেন, গোটা ঘর কালো ধোঁয়ায় ভর্তি হয়ে গিয়েছে। ঘর থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করলেও, ততক্ষণে দরজা আগুনের গ্রাসে চলে গিয়েছে। ঘর থেকে শুধু চিৎকার করা ছাড়া আর কোনও উপায় ছিল না। মধ্য় রাতে ভয়াবহ আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেল কুঁড়েঘর। ভিতরেই পুড়ে মৃত্যু হল তিন শিশু সহ পাঁচজনের। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর প্রদেশের (Uttar Pradesh) কানপুরে (Kanpur)। ঘুমন্ত অবস্থাতেই গোটা পরিবারের পুড়ে মৃত্যু হয়। আগুন দেখে সঙ্গে সঙ্গে ছুটে আসেন। তারা আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন, খবর দেন দমকলেও। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, শর্ট সার্কিট থেকেই বাড়িতে আগুন লাগে।
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, শনিবার গভীর রাতে উত্তর প্রদেশের কানপুর দেহাতের হরমাউ বানজারাজেরী গ্রামের একটি কুঁড়েঘরে আগুন লাগে। আগুনে পুড়ে মৃত্যু হয় বাড়ির ভিতরে থাকা তিন শিশু সহ মোট পাঁচজনের। নিহতেরা একই পরিবারের সদস্য বলে জানা গিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, যে সময়ে আগুন লাগে, সেই সময় সতীশ কুমার ও তাঁর স্ত্রী কাজল তাঁদের তিন সন্তানকে নিয়ে ঘুমোচ্ছিলেন। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, শর্ট সার্কিট থেকেই আগুন লাগে। কুঁড়েঘরটি নিমেষে আগুনের গ্রাসে চলে যায়। বাড়ির ভিতর থেকে সতীশ তাঁর স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে বের হওয়ার চেষ্টা করলেও, বাড়ির সামনের অংশটি সম্পূর্ণরূপে আগুনের গ্রাসে চলে যাওয়ায়, তারা বাড়ি থেকে বের হতে পারেননি।
ঘরের ভিতর থেকে আর্তচিৎকার শুনতে পেয়েই ঘুম ভাঙে প্রতিবেশীদের। তাঁরা সঙ্গে সঙ্গে ছুটে এসে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। খবর দেওয়া হয় দমকলেও। কিন্তু যতক্ষণে দমকল ঘটনাস্থলে পৌঁছয়, ততক্ষণে অনেকটাই দেরী হয়ে গিয়েছে। আগুনে পুড়ে ঘরের ভিতরেই মৃত্য়ু হয় গোটা পরিবারের। সতীশের মা, যিনি পাশের বাড়িতেই ছিলেন, তিনিও আগুন নেভাতে গিয়ে গুরুতর আহত হন।
অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে জেলাশাসক, পুলিশ সুপার ঘটনাস্থলে পৌঁছন। ফরেন্সিক দল ও ডগ স্কোয়াডও আনা হয় আগুন লাগার কারণ জানতে। অন্যদিকে, স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, মধ্য রাতে ঘরের ভিতরে শর্ট সার্কিট হয় এবং একটি বাল্বে আগুন ধরে যায়। বাড়ির ছাদ খড়ের হওয়ায় দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে এবং পরিবারের পাঁচজনেরই পুড়ে মৃত্যু হয়।