করোনা আবহে অক্সিজেনের অভাব, ৭ জনের মৃত্যুতে বিক্ষোভ হাসপাতালে

মুম্বই: দেশে ক্রমশ নিজের থাবা আরও চওড়া করছে মারণ করোনাভাইরাস (COVID)। বেশিরভাগ হাসপাতালেই শয্যা সঙ্কট। মিলছে না আইসিইউ ও ভেন্টিলেটরযুক্ত বেড। দেশের মধ্য়ে সবচেয়ে বেশি করোনা বিধ্বস্ত মহারাষ্ট্র। সে রাজ্যের পালঘরে একটি হাসপাতালে অক্সিজেনের অভাবে একদিনে ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এমনটাই অভিযোগ মৃতদের পরিবারের। যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি ছিলেন রোগীরা। শারীরিক অবস্থার […]

করোনা আবহে অক্সিজেনের অভাব, ৭ জনের মৃত্যুতে বিক্ষোভ হাসপাতালে
হাসপাতালে বিক্ষোভ
Follow Us:
| Updated on: Apr 13, 2021 | 11:34 AM

মুম্বই: দেশে ক্রমশ নিজের থাবা আরও চওড়া করছে মারণ করোনাভাইরাস (COVID)। বেশিরভাগ হাসপাতালেই শয্যা সঙ্কট। মিলছে না আইসিইউ ও ভেন্টিলেটরযুক্ত বেড। দেশের মধ্য়ে সবচেয়ে বেশি করোনা বিধ্বস্ত মহারাষ্ট্র। সে রাজ্যের পালঘরে একটি হাসপাতালে অক্সিজেনের অভাবে একদিনে ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এমনটাই অভিযোগ মৃতদের পরিবারের। যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি ছিলেন রোগীরা। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ার তাঁদের মৃত্যু হয়েছে।

৭ জনের মৃত্যুর পর হাসপাতালে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন মৃতদের আত্মীয়রা। উত্তর মুম্বইর নালা সোপারার বিনায়ক হাসপাতালে রোগীদের মৃত্যুর জন্য তাঁরা আঙুল তুলেছেন অক্সিজেনের ঘাটতি ও চিকিৎসকদের গাফিলতির দিকে। বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন পিঙ্কি বর্মা নামে জনৈক এক মহিলা। তিনি জানান, তাঁর বাবা হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। করোনা নেগেটিভ হওয়া সত্ত্বেও তাঁকে করোনা ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছিল। তবে শারীরিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছিল, গতকালই হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু হঠাৎ হাসপাতাল থেকে ডেকে পাঠানো হয়। এসে তিনি দেখেন অক্সিজেনের জন্য হাসাপাতালে প্রচুর ভিড়। বাকিদের পরিবারেরও একই কথা। অভিযোগ হাসপাতালের দিকে।

ঘটনাস্থলে বিক্ষোভ শুরু হতেই পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এই মৃত্যুর দায় নিতে নারাজ। তাদের দাবি, কো-মর্বিডিটি ও কম রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার জন্য মৃত্যু হয়েছে রোগীদের। বিনায়ক হাসপাতালের চিকিৎসক শশীকান্ত বলেন, “এখানে মূলত বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে রেফার হওয়া রোগীরা আসেন। তাঁরা প্রত্যেকেই আশঙ্কাজনক অবস্থায় এখানে এসে ভর্তি হন। আমরা রোগী ফেরাই না কারণ আমরা এই এলাকার সবচেয়ে বড় হাসপাতাল। যদি আমরা রোগী ফেরাই তাহলে তাঁরা যাবে কোথায়?”

তবে একদিনে ৭ জনের মৃত্যুতে রীতিমতো আতঙ্ক ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। সেখানকার বিধায়ক প্রধানমন্ত্রী অফিসকে ট্যাগ করে টুইটারে লিখেছেন, “অক্সিজেনের অভাবে এই এলাকায় অনেকের মৃত্যু হয়েছে। আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে এই বিষয়টি দেখার জন্য অনুরোধ করছি।”

আরও পড়ুন: দেশে ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ১ লাখ ৬১ হাজার ৭৩৬, রেকর্ড সংক্রমণ দিল্লিতেও