Velore: বোতল হাতে হস্তমৈথুনের অভিনয়ের নির্দেশ, ব়্যাগিং-এর ছবি সামনে আসতেই সাসপেন্ড ৭
Vellore Cristian Medical College: দেশের অন্যতম সেরা চিকিৎসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, তামিলনাড়ুর ভেলোরের ক্রিশ্চিয়ান মেডিক্যাল কলেজে প্রথম বর্ষের ছাত্রদের ব়্যাগিং-এর নামে যৌন হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে।
চেন্নাই: দেশের অন্যতম সেরা চিকিৎসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, তামিলনাড়ুর ভেলোরের ক্রিশ্চিয়ান মেডিক্যাল কলেজ। আর এই মর্যাদাসম্পন্ন কলেজেই র্যাগিংয়ের নামে প্রথম বর্ষের ছাত্রদের যৌন হয়রানি করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনার ভিডিয়ো বলে দাবি করা একটি ভিডিয়ো ক্লিপ, সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে শেয়ার করা হয়েছে। কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছেও এই বিষয়ে একটি অভিযোগ জানানো হয়েছে। বুধবার (৯ নভেম্বর), এর জেরে সাতজন ছাত্রকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। সিএমসি ভেলোরের পক্ষ থেকে এই বিষয়ে অভিযোগ জানানোর পর, পুলিশের পক্ষ থেকেও ঘটনাটির তদন্ত করা হচ্ছে।
সিএমসি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ভিডিয়োটি সম্ভবত পুরানো। তাসত্ত্বেও সাতজন সিনিয়র মেডিক্যাল ছাত্রকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, কলেজ কর্তৃপক্ষ এই ঘটনার বিষয়ে একটি বেনামি অভিযোগপত্র দিয়েছে। প্রাথমিকভাবে ভিডিয়ো ক্লিপটি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিল এক প্রথম বর্ষের ছাত্র। একই সঙ্গে সেখানে প্রথম বর্ষের ছাত্রদের ব়্যাগিং-এর নামে কী পরিমাণ অত্যাচার করা হয়েছে, তারও বর্ণনা দিয়েছেন ওই ছাত্র।
সেই সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট অনুযায়ী, ঘটনাটি ঘটেছিল প্রায় এক মাস আগে, ৯ অক্টোবর। ওই দিন ভেলোরের ক্রিশ্চিয়ান মেডিক্যাল কলেজে ‘জুনিয়র মিস্টার মেনস হোস্টেল’ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে প্রথম বর্ষের ছাত্রদের অন্তর্বাস পরে হাঁটতে বাধ্য করা হয় বলে অভিযোগ। আরও চাঞ্চল্যকর অভিযোগ হল, সেই অনুষ্ঠানে বিচারক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোস্টেলের ওয়ার্ডেন, ডেপুটি ওয়ার্ডেন এবং কয়েকজন ডাক্তারও।
ভাইরাল হওয়া ভিডিয়ো –
7 Christian Medical College Vellore MBBS students suspended in ragging casepic.twitter.com/embUu1tndm
— Rituraj ⚽?? (@ItinerantMedic) November 9, 2022
ভাইরাল হওয়া সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট অনুযায়ী, এই অনুষ্ঠানের পর ওয়ার্ডেন-ডাক্তাররা সেখান থেকে চলে যান। আর তারপর অত্যাচারের মাত্রা আরও বাড়ে। জুনিয়র ছাত্রদের এরপর শুধুমনাত্র অন্তর্বাস পরিহিত অবস্থায় ক্যাম্পাসে হাঁটানো হয় বলে অভিযোগ। সেই সময় তাদের গায়ে হোস পাইপ দিয়ে দল ছেটানো হয়। তাদের গোপনাঙ্গেও আঘাত করা হয়। ছাদে নিয়ে দিয়ে পা ধরে, মাথা নিচে করে ঝুলিয়েও দেওয়া হয়। আরও অভিযোগ, মাঝে মাঝেই নতুন ছাত্রদের সিনিয়রদের সামনে সম্পূর্ণ নগ্ন হয়ে যেতে হয়। এমনকী প্লাস্টিকের বোতল হাতে ধরিয়ে দিয়ে হস্তমৈথুন করা অভিনয় করে দেখাতে হয়, এমনই অভিযোগ।
হোস্টেল ক্যাম্পাসে এই ভয়ঙ্কর র্যাগিংয়ের অভিযোগের প্রতিক্রিয়ায়, ভেলোর ক্রিশ্চিয়ান মেডিক্যাল কলেজের ডিরেক্টর বিক্রম ম্যাথিউস বলেছেন, “আমরা একটি বেনামী চিঠি পেয়েছি এবং আমরা বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছি। শিগগিরই এই বিষয়ে একটি প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে এবং ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা কোনও প্রকার র্যাগিংকে প্রশ্রয় দিই না। র্যাগিংয়ের প্রতি আমাদের শূন্য সহনশীলতার নীতি আছে। যারাই দোষী সাব্যস্ত হবেন, তাদের শাস্তি দেওয়া হবে।”