লরি ধাক্কা মারতেই হাওয়ায় উড়ল জিপ, মাটিতে পড়তেই থেতলে গেল যাত্রীরা, মৃত কমপক্ষে ৮

Road Accident in Karnataka: উল্টো দিক থেকে দ্রুতগতিতে ওই লরিটি আসতে দেখেই গাড়িটি রাস্তার ধারে সরিয়ে নিতে চেয়েছিল চালক। কিন্তু অতিরিক্ত পরিমাণ যাত্রী থাকায় ওবং গাড়িটির গতিও বেশি থাকায় তা নিয়ন্ত্রণ হারায়। সোজা ধাক্কা মারে বেঙ্গালুরুগামী লরিটির সামনে।

লরি ধাক্কা মারতেই হাওয়ায় উড়ল জিপ, মাটিতে পড়তেই থেতলে গেল যাত্রীরা, মৃত কমপক্ষে ৮
দুর্ঘটনাগ্রস্থ জিপটি। ছবি: টুইটার।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 13, 2021 | 7:50 AM

বেঙ্গালুরু: কাজের খোঁজে রওনা দিয়েছিলেন, নতুন সংসার পাততে সঙ্গে নিয়ে যাচ্ছিলেন ছোট বাচ্চাদেরও। কিন্তু দ্রুত গতি ও রেষেরেষিই কেড়ে নিল তরতাজা প্রাণগুলি, বাড়ি ফিরল কেবল সাদা চাদরে মোড়া দেহগুলি। রবিবার জিপ ও লরির ভয়াবহ সংঘর্ষে (Road Accident) মৃত্যু হল কমপক্ষে আটজনের। আহত আরও ছয়জন।

রবিবার কর্নাটক(Karnataka)-র চিন্তামণি তালুকে একটি যাত্রীবোঝাই জিপ ও লরির মুখোমুখি সংঘর্ষেই মারা যান কমপক্ষে আটজন। জানা গিয়েছে, মৃতরা সকলেই দিনমজুর ছিলেন। কাজের খোঁজে তাঁরা অন্ধ্র প্রদেশ (Andhra Pradesh) যাচ্ছিলেন, সঙ্গে তাদের পরিবারও ছিল। মৃতদের মধ্যে দুই জন মহিলা রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।

পুলিশের দাবি, ওই জিপটিতে মোট ১৭ জন যাত্রী ছিল। এদের মধ্যে দুটি শিশুও ছিল। শ্রীনীবাসপুরা তালুক থেকে চিন্তামণি তালুকের দিকে যাওয়ার পথেই আচমকা তারা দুর্ঘটনার মুখে পড়ে। মারিয়ানকানাহালি পৌঁছনোর পরই সেখানে সংঘর্ষ হয়। জানা গিয়েছে, উল্টো দিক থেকে দ্রুতগতিতে ওই লরিটি আসতে দেখেই গাড়িটি রাস্তার ধারে সরিয়ে নিতে চেয়েছিল চালক। কিন্তু অতিরিক্ত পরিমাণ যাত্রী থাকায় ওবং গাড়িটির গতিও বেশি থাকায় তা নিয়ন্ত্রণ হারায়। সোজা ধাক্কা মারে বেঙ্গালুরুগামী লরিটির সামনে। পুলিশ জানিয়েছে, দুর্ঘটনাগ্রস্ত ওই লরিটি অন্ধ্র প্রদেশ থেকে মালপত্র নিয়ে ফিরছিল। রেষারেষি ও বেলাগামভাবে গাড়ি চালানোর ফলে দুর্ঘটনার অভিযোগ ওই লরির চালককে আটক করেছে পুলিশ।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান অনুযায়ী, সংঘর্ষের তীব্রতা এতটাই ছিল যে, ধাক্কা লাগার সঙ্গে সঙ্গে গাড়িটি হাওয়ায় উড়ে যায় ও পাক খেতে খেতে নীচে পড়ে। ওই জিপটি মাটিতে পড়তেই থেতলে যান ছয় যাত্রী। স্থানীয়রা দুর্ঘটনাটি দেখতে পেয়েই সঙ্গে সঙ্গে ছুটে যান এবং পুলিশকেও খবর দেন। গাড়িটি তালগোল পাকিয়ে যাওয়ায় অনেক কষ্টে আহত যাত্রীদের উদ্ধার করা হয়। তাদের চিন্তামণি ও কোলার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে একজন ও হাসপাতালে পৌঁছনোর পর আরও এক যাত্রীর মৃত্যু হয়। আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলেই জানা গিয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, নিত্যদিনই অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে যাতায়াত করে বাস ও জিপগুলি। ওভারলোডিং ও গাড়ির মধ্যে রেষারেষি আটকানোর জন্য ওই জায়গায় আরটিও অফিসার ও পুলিশি পাহারা থাকার কথা থাকলেও কোনও সময়ই তাদের দেখা মেলে না।

দুর্ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে যান চিন্তামণির বিধায়ক জেকে কৃষ্ণা রেড্ডি। সেখানে গিয়ে তিনি স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশের সঙ্গে কথা বলেন এবং আরটিও অফিসারদেরই দুর্ঘটনার জন্য দায়ী করেন। তিনি বলেন, “প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান অনুযায়ী ওই গাড়িতে কমপক্ষে ১৫ জন যাত্রী ছিল। ছোট গাড়িতে এত সংখ্যক যাত্রী নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দিল কে, পুলিশকে এই বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দুর্ঘটনার সময়েও কোনও আরটিও অফিসার উপস্থিত ছিলেন না।”

আরও পড়ুন: আফগানিস্তানকে দেখে বাড়ছে ভয়, রণকৌশলে বদল আনার নির্দেশ বিএসএফ, সিআরপিএফকে, জানতে হবে তালিবানের ইতিহাস