তালিবানকে হাতের তালুর মতো চিনে নেওয়ার নির্দেশ BSF, CRPF-কে

Security in India: বিএসফ, এসএসবি বা সিআরপিএফের মরো বাহিনীর জন্য তৈরি হচ্ছে বিশেষ ট্রেনিং মডিউল। তালিবানের কথা মাথায় রেখেই চলছে প্রস্তুতি

তালিবানকে হাতের তালুর মতো চিনে নেওয়ার নির্দেশ BSF, CRPF-কে
সব বাহিনীকেই শিখতে হবে নতুন কৌশল
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 13, 2021 | 7:41 AM

নয়া দিল্লি: মাস খানেক আগেই রাতারাতি কাবুল দখল করে নেয় তালিবান (Taliban)। গত মাসে ১৫ তারিখেই আফগানিস্তানের (Afghanistan)ম সনদে প্রবেশ করে তালিবরা। তাদের গতিবিধি আঁচ করতে পারেনি খোদ আমেরিকাও। আফগানিস্তানের এই পরিণতি ভয় বাড়াচ্ছে ভারতেরও। সীমান্ত এলাকায় অশান্তি নতুন নয়। বারবার জঙ্গি অনুপ্রবেশ আটকাতে সদা প্র্হরায় থাকে নিরাপত্তা বাহিনী। কিন্তু, তালিবানের রণকৌশল কি তাদের আয়ত্তে? তালিবদের সহযোগী জঙ্গি সংগঠনগুলো যে ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করবে না, সে কথাই বা কে বলতে পারে? তাই আর কোনও ঝুঁকি না নিয়ে বিএসএফ (BSF), সিআরপিএফ (CRPF) বা এসএসবি (SSB)-র মতো বাহিনীকে বিশেষ ট্রেনিং দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। শুধু এই সব নিরাপত্তা বাহিনীই নয়। সব রাজ্যের পুলিশকেই দেওয়া হয়েছে বিশেষ নির্দেশিকা।

আদতে কুড়ি বছর আগে যে তালিবানি শাসন চলত আফগানিস্তানে, তাদের সঙ্গে এখনকার তালিবানের অনেক তফাৎ। এখন তাদের হাতে অনেক অত্যাধুনিক অস্ত্র রয়েছে। গোটা আফগানিস্তানের দখল তারা ইতিমধ্যেই নিয়েছে। শুধু তাই নয়, যে অঞ্চলে কোনোদিন তারা প্রবেশ করতে পারেনি, সেই পঞ্চশীরেও প্রবেশ করেছে তালিবরা। তাই তালিবানের গতিবিধি রীতি মতো উদ্বেগ বাড়াচ্ছে প্রতিবেশী ভারতের। তাদের সহযোগী সংগঠনগুলি ভারতের দিকে পা বাড়াতে পারে বলেও আশঙ্কা করছেন গোয়েন্দারা। তাই তালিবানের মোকাবিলা করার জন্য বিশেষ প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে নিরাপত্তা বাহিনীকে।

তালিবানের মোকাবিলা করার জন্য নতুন ট্রেনিং মডিউল তৈরি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যে কোনও ধরনের সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের মুখোমুখি হলেও যাতে কোনও অসুবিধা না হয়।গোয়েন্দাদের দাবি, যে ভাবে তালিবানের হাতে কাবুলের পতন হয়েছে, তার প্রভাব ভারতের নিরাপত্তার ক্ষেত্রেও পড়তে পারে। বর্তমান পরিস্থিতি অনুযায়ী প্রত্যেক বাহিনীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যাতে তাদের সমস্ত কৌশল এবং প্রস্তুতি যাতে বদল করা হয়। ভারতের সীমান্তে যে কোনও সময় সন্ত্রাসবাদী হানা হতে পারে, তাই চেনা রীতি থেকে বেরিয়ে নতুন কৌশল রপ্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনীকে ইতিমধ্যেই সতর্ক করে জানানো হয়েছে যে পাকিস্তানের দিক থেকে ভারতের পশ্চিম সীমান্ত হয়ে জঙ্গি কার্যকলাপ বাড়তে পারে।

এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক জানিয়েছেন সীমান্ত রক্ষায় সব বাহিনী মোতায়েন করা আছে অর্থাৎ বিএসএফ, এসএসবি, রাজ্য পুলিশের বিশেষ ইউনিট, সিআরপিএফ কিংবা জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ, তাদের  তাদের ট্রেনিং পদ্ধতিতে বদল আনা হচ্ছে। রাজ্য পুলিশ কেও এই বিশেষ নির্দেশিকার কথা জানানো হয়েছে। পুলিশের চাকরি পাওয়ার সময় যে ট্রেনিং দেওয়া হয় সেখানেও বদল আনার পরিকল্পনা রয়েছে। আধিকারিকেরা মনে করছেন সীমান্তে যে সব বাহিনী মোতায়েন রয়েছে তাদের তালিবানের ইতিহাস জানা অত্যন্ত জরুরি। জানতে হবে তাদের রণকৌশলও। বিশেষত প্রতিনিয়ত পাহারায় থাকেন যে সব জওয়ান তাদের তালিবানের ইতিহাস ও তাদের রণকৌশল সম্পর্কে ওয়াকিবহাল করানো প্রয়োজন বলে মনে করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠলে কোভ্যাক্সিনের একটি ডোজ়ই কি যথেষ্ট? স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানাল…