Hindu Code of Conduct: কীসে হবে পাপ, কীসে হবে পুণ্য? মহাকুম্ভে তৈরি হয়ে এল ‘হিন্দু আচরণবিধি’

Avra Chattopadhyay |

Jan 24, 2025 | 2:57 PM

Hindu Code of Conduct: অখিল ভারতীয় সন্ত সমিতির সাধারণ সভাপতি জিতেন্দ্রনন্দ সরস্বতী জানিয়েছেন, গোটা দেশজুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা সাধু-সন্ত ও বৈদিক জ্ঞানের পণ্ডিতদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমেই এই আচরণবিধি তৈরি করা হয়েছে।

Hindu Code of Conduct: কীসে হবে পাপ, কীসে হবে পুণ্য? মহাকুম্ভে তৈরি হয়ে এল হিন্দু আচরণবিধি
Image Credit source: PTI

Follow Us

প্রয়াগরাজ: মহাকুম্ভের শুভ তিথিতে হিন্দুদের জন্য প্রকাশ হতে চলেছে আচরণবিধি। এদিন সনাতন ধর্মাবলম্বীদের জন্য ৩০০ পাতার একটি আচরণবিধি প্রকাশ করার কথা ঘোষণা করল কাশী বিদ্বত পরিষদ। বারাণসীতে বৈদিক শিক্ষা সংরক্ষণের কাজ করে থাকে এই হিন্দু সংগঠনটি। ইতিমধ্য়ে তাদের প্রকাশিত ‘আচরণবিধি’ ঘিরে বিস্তর নড়াচড়া পড়েছে দেশজুড়ে।

তবে আচরণবিধির কথা ঘোষণা করার পরই থেমে থাকেননি সেই হিন্দু সংগঠনের সদস্যরা। দাবি, মহাকুম্ভের মেলাতে সেই ৩০০ পাতার আচরণবিধির একাধিক সংস্করণ বিলিও করবেন তারা।

কী রয়েছে সেই আচরণবিধিতে?

অখিল ভারতীয় সন্ত সমিতির সাধারণ সভাপতি জিতেন্দ্রনন্দ সরস্বতী জানিয়েছেন, গোটা দেশজুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা সাধু-সন্ত ও বৈদিক জ্ঞানের পণ্ডিতদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমেই এই আচরণবিধি তৈরি করা হয়েছে।

আগামী শনিবার বিশ্ব হিন্দু পরিষদের পৃষ্ঠপোষকতায় মহাকুম্ভে আয়োজন করা হবে একটি বৈঠক সভার। সেই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন বিশিষ্ট সাধু-সন্ত ও শঙ্করাচার্যরা। সেখানে পেশ করা হবে এই হিন্দু আচরণবিধি। এরপর সেই বৈঠকে মান্যতা পেলে আচরণবিধির একাধিক সংস্করণ তৈরি করে মেলাজুড়ে চলবে বিলি।

আপাতত রূপে এই আচরণবিধির মধ্যে থাকা তথ্যকে গোপনীয় রাখা হলেও জানা গিয়েছে, দেশের সকল সাধু-সন্তদের জ্ঞান ও জীবন নির্বাহি পদ্ধতির কথা উল্লেখ রয়েছে এই আচরণবিধিতে। শুধু তা-ই নয়, হিন্দুদের বিয়ে করার সময়টাও বেঁধে দেওয়া হয়েছে এই আচরণবিধিতে। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের জন্য প্রকাশিত আচরণবিধিতে উল্লেখ রয়েছে যে রাত নয়, বরং সূর্যাস্তের আগেই বিয়ের সকল রীতিনীতি সেরে ফেলা উচিত হিন্দুদের।

পাশাপাশি ভ্রূণ হত্যাকে ‘পাপ’ বলে চিহ্নিত করা হয়েছে এই আচরণবিধিতে। আবার, মহিলাদের যজ্ঞ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে এই বিধিতে। বলা হয়েছে, সকল ক্ষেত্রে মহিলারা পুরুষদের সমান, তাই তারাও চাইলে যজ্ঞ করতে পারবেন। এছাড়া, বর্ণ বৈষম্যতাকে বৈদিক ঐতিহ্য বিরোধী বলে দাগিয়ে দেওয়া হয়েছে এই আচরণবিধিতে।

Next Article