Murder by Naxals: গ্রামবাসীদের কাজের সুযোগ করে দিচ্ছিলেন, সেই ‘দোষেই’ নকশালদের হাতে খুন!
Maharashtra: স্থানীয় সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, ওই প্রৌঢ় পুলিশ পাটিল স্থানীয় গ্রামবাসীদের কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিচ্ছিলেন। এলাকারই একটি খনিতে গ্রামের যুবকদের কাজের সুযোগ করে দিতে চাইছিলেন তিনি। সেই কারণেই নকশালরা ওই প্রৌঢ় লালসু ধিংড়াকে রাতের অন্ধকারে নির্মমভাবে খুন করে বলে অভিযোগ।

মহারাষ্ট্র: গ্রামের গরিব ছেলে-মেয়েদের কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন। আর সেটাই হয়েছিল তাঁর ‘দোষ’। অভিযোগ উঠছে, সেই কারণেই নকশালদের হাতে খুন হতে হল বছর পঞ্চান্নর এক প্রৌঢ়কে। ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রের গাচিরোলির টিটোলা গ্রামে। মৃত প্রৌঢ়ের নাম লালসু ধিংড়া ভেলদা (৫৫)। প্রৌঢ় এলাকায় ‘পুলিশ পাটিল’ হিসেবেও কাজ করত। পুলিশ পাটিল হল মহারাষ্ট্রের গ্রামীণ এলাকার এক সাম্মানিক পদ। নির্দিষ্ট বেতনের ভিত্তিতে পুলিশকে সাহায্যের কাজ করেন এরা। গ্রামবাসীদের সঙ্গে পুলিশের মেলবন্ধনের কাজ করেন এই ‘পুলিশ পাটিল’রা। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ওই প্রৌঢ়কে নকশালরা খুন করে বলে অভিযোগ।
স্থানীয় সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, ওই প্রৌঢ় পুলিশ পাটিল স্থানীয় গ্রামবাসীদের কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিচ্ছিলেন। এলাকারই একটি খনিতে গ্রামের যুবকদের কাজের সুযোগ করে দিতে চাইছিলেন তিনি। সেই কারণেই নকশালরা ওই প্রৌঢ় লালসু ধিংড়াকে রাতের অন্ধকারে নির্মমভাবে খুন করে বলে অভিযোগ। সূত্রের খবর, নকশালরা এও সন্দেহ করছিল যে ওই প্রৌঢ় গ্রামবাসীদের থেকে নকশালদের গতিবিধি সংক্রান্ত তথ্য জোগাড় করে পুলিশের কাছে পৌঁছে দিত।
গাচিরোলি পুলিশের তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, স্থানীয় গ্রামবাসীদের খনিতে কাজের সুযোগ করে দেওয়ার চেষ্টা ও পুলিশের এজেন্ট হিসেবে কাজ করার অভিযোগে টিটোলা গ্রামের ওই পুলিশ পাটিলকে খুন করেছে নকশালরা। গোটা ঘটনা তদন্ত করে দেখেছেন পুলিশকর্মীরা। পাশাপাশি ওই গ্রামের বেশ কয়েকজন স্থানীয় মানুষকেও নকশালরা অপহরণ করেছে বলে গুজব ছড়ায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। যদিও সেটি পুরোটাই গুজব বলে নিশ্চিত করেছে পুলিশ।
