Kashmir News: কাশ্মীরে বেআইনি অনুপ্রবেশের জন্য তৈরি ১৩৫ জঙ্গি, বিএসএফের দাবি ঘিরে আশঙ্কা
Illegal Infiltration; তবে নিরাপত্তা বাহিনীর তৎপরতার কারণে জঙ্গিদের অসংখ্য চেষ্টাকে সফলভাবে ভেস্তে দেওয়া গিয়েছে। কিন্তু কোনওভাবেই জঙ্গিদের দেশে প্রবেশ করানোর চেষ্টা থেকে সরে আসতে রাজি নয় সংগঠনগুলি।
শ্রীনগর: কাশ্মীরকে অশান্ত করতে পাকিস্তানের প্রত্যক্ষ মদতের কথা সকলেরই জানা। জঙ্গি অনুপ্রবেশ করিয়ে কাশ্মীর পরিস্থিতি উত্তপ্ত করা চেষ্টা দীর্ঘদিন ধরেই করে আসছে পাকিস্তান। সাধারণত বেআইনি অনুপ্রবেশের জন্য শীতকালকেই বেছে নিয় জঙ্গিরা। এবার শীতেও তার অন্যথা হয়নি। তবে নিরাপত্তা বাহিনীর তৎপরতার কারণে জঙ্গিদের অসংখ্য চেষ্টাকে সফলভাবে ভেস্তে দেওয়া গিয়েছে। কিন্তু কোনওভাবেই জঙ্গিদের দেশে প্রবেশ করানোর চেষ্টা থেকে সরে আসতে রাজি নয় সংগঠনগুলি। সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বা বিএসএফ জানিয়েছে, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর পাক অধিকৃত কাশ্মীরে জঙ্গি লঞ্চ প্যাডে ভারতে প্রবেশের জন্য অপেক্ষা করে রয়েছে ১৩৫ জন জঙ্গি, সোমবার এমনটাই জানিয়েছেন কাশ্মীর বিএসএফের আইজি রাজা বাবু সিং।
গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে এই খবর আসার পর থেকেই ভারত- পাকিস্তান সীমান্তে কাশ্মীর বিএসফকে সতর্ক করা হয়েছে এবং তাদের হাই অ্যালার্টে রাখা হয়েছে। সামনেই প্রজাতন্ত্র দিবস তাই উপত্যকার নিরাপত্তা বাহিনীর তরফে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছে। রাজা বাবু সিং বলেন, “আমাদের কাছে আসা তথ্য থেকে আমরা জানতে পেরেছি, কাশ্মীরে প্রবেশের জন্য ১০৪ থেকে ১৩৫ জন জঙ্গি লঞ্চপ্যাডে প্রস্তুত রয়েছেন। জঙ্গিদের কোনও এক পথপ্রদর্শক সীমান্ত পেরিয়ে পাক অধীকৃত কাশ্মীরে গিয়েছে। আমরা তাদের যাবতীয় কার্যকলাপের ওপর নজর রাখছি এবং জঙ্গিদের পরিবারের সদস্যদের ওপরও নিয়মিত নজর রাখা হচ্ছে।”
বাবু জানিয়েছেন, গতবছর সীমান্তে গুলিলবর্ষণ নিয়ে দুই দেশের মধ্যে চুক্তি হওয়ার পর থেকেই কাশ্মীরের সার্বিক পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণই ছিল। জানা গিয়েছে জঙ্গি অনুপ্রবেশের পাশাপাশি আরও একটি বিষয় নিয়ে উদ্বিগ্ন বিএসএফ। পাকিস্তানের দিক থেকে উড়ে আসা ড্রোন থেকে কাশ্মীরে বোমা এবং অন্যান্য অস্ত্রশস্ত্র ফেলার প্রক্রিয়াও বিএসএফকে দুশ্চিন্তায় রেখেছে। বাবু জানিয়েছেন প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর ৯৬ কিলোমিটার এলাকা জুডে বিএসএফ সর্বদা নিরাপত্তায় মোতায়েন রয়েছে। তিনি বলেন, “পাকিস্তানি ড্রোন নিয়ে আশঙ্কার বিষয়টি সত্য। আমরা ড্রোনের মোকাবিলা করতে আমাদের ড্রোনগুলিকে কাজে লাগাচ্ছি। মোকাবিলা করতে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপও নেওয়া হয়েছে।”
জম্ম ফ্রন্টিয়ারের বিএসএফের আইজি ডিকে বোরা জানিয়েছেন, গত সপ্তাহ থেকেই বাহিনীকে হাই অ্যালার্টে রাখা হয়েছে। কারণ প্রজাতন্ত্র দিবসে আগে কোনও ধরনের ঝুঁকি নেওয়া যাবেনা। দুসপ্তাত ধরে সীমান্তে বিশেষ নজরদারি চালাবে বিএসএফ। জঙ্গি দমন ও বেআইনি মাদক পাচার রোধে সদা বিএসএফ সতর্ক রয়েছে।
আরও পড়ুন Republic Day: বৃহস্পতিবার রাজধানীতে ‘ড্রাই ডে’, প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে বিশেষ ঘোষণা আফগারি কমিশনের