AIIMS: এইমস-এর সার্ভার হ্যাকিংয়ের পিছনে চিনা হ্যাকার! ১৬০০-র বেশি তথ্য চুরি

তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর বলেন, "সম্প্রতি এইমস-এর সার্ভার হ্যাকিং কোনও সাধারণ ঘটনা নয় এবং এর পিছনে চক্রান্ত রয়েছে।" গোটা ঘটনাটি নিয়ে ইতিমধ্যে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

AIIMS: এইমস-এর সার্ভার হ্যাকিংয়ের পিছনে চিনা হ্যাকার! ১৬০০-র বেশি তথ্য চুরি
দিল্লি এইমস (ফাইল চিত্র)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 02, 2022 | 5:12 PM

নয়া দিল্লি: ভারতকে জলপথে চিনের তিনদিক ঘিরে ফেলার ছবি ইতিমধ্যে প্রকাশ্যে এসেছে। এবার আরও এক বিস্ফোরক তথ্য সামনে এল। চিনা হ্যাকারদের নিশানায় এইমস-এর ৫টি সার্ভার। এমনই একটি তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে। যা নিয়ে গোয়েন্দাদের ঘুম উড়েছে। এইমস-এর সার্ভার হ্যাকিংয়ের ঘটনা সাধারণ ব্যাপার নয় বলে উল্লেখ করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখরও।

এইমস সূত্রে খবর, গত বুধবার বেশ কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ হয়ে যায়। দিল্লি এইমসের একেবারে প্রধান ৫টি সার্ভার কিছুক্ষণের জন্য হ্যাকারদের কবলে চলে যায়। পরে সেটি উদ্ধার করা গেলেও কারা হ্যাক করেছিল তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে এটা চিনা হ্যকারদেরই কাজ বলে গোয়েন্দা সূত্রের খবর। এক সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর বলেন, “সম্প্রতি এইমস-এর সার্ভার হ্যাকিং কোনও সাধারণ ঘটনা নয় এবং এর পিছনে চক্রান্ত রয়েছে।” গোটা ঘটনাটি নিয়ে ইতিমধ্যে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

জানা গিয়েছে, এইমস-এর প্রধান ৫টি সার্ভারের তথ্য চুরি গিয়েছে। লক্ষ লক্ষ রোগীর তথ্য চুরি গিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এর পিছনে চিনা হ্যাকারদের হাত রয়েছে বলে গোয়েন্দাদের সন্দেহ। চুরি করা তথ্য ইন্টানেট দুনিয়ার গোপন অংশ, ডার্ক ওয়েবে বিক্রি করা হয়েছে বলে গোয়েন্দাদের অনুমান। কেননা এইমস-এর ১৬০০-র বেশি ডেটা ডার্ক ওয়েবে দেখা যাচ্ছে। যার মধ্যে রাজনীতিক, সেলিব্রিটি সহ ভিভিআইপি-দের তথ্যও রয়েছে। এইমস-এর সার্ভার হ্যাকিংয়ের বিষয়টি নিয়ে সিইআরটি, এনআইএ এবং দিল্লি পুলিশ যৌথভাবে তদন্ত শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর।

আইএফএসও সূত্রের খবর, এইমস-এর মোট ৫টি সার্ভার হ্যাক করা হয়েছিল। কী ভাবে ডেটা ফাঁস হল এবং কারা সেটা করেছে, সে ব্যাপারে ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে ফরেন্সিক দলের সদস্যরা। যদিও কোনও তথ্য নষ্ট হয়নি বলে জানিয়েছেন আইএফএসও আধিকারিকেরা। তাঁদের মতে, হ্যাকারদের প্রধান লক্ষ্য ছিল, টাকা। তবে বাকি তদন্ত এখনও চলছে। উল্লেখ্য, এই প্রথণবার হ্যাকিংয়ের কোনও ঘটনার তদন্তে নামল আইএফএসও।

প্রসঙ্গত, এইমস-এর সার্ভার হ্যাক করে হ্যাকাররা ক্রিপ্টো কারেন্সিতে ২০০ কোটি টাকার দাবি জানিয়েছিল। যদিও সেটা দেওয়ার প্রয়োজন হয়নি। দক্ষ প্রযুক্তিবিদরা আধিকারিকেরা হ্যাকারদের কবল থেকে এইমস-এর সার্ভার উদ্ধার করতে সমর্থ হন। তবে প্রায় ৩-৪ কোটি রোগীর ডেটা নষ্ট হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা দেখা গিয়েছে।

উল্লেখ্য, দিল্লি এইমস-এর সার্ভার হ্যাকিংয়ের দিন কয়েক পরেই জল মন্ত্রকের টুইটার অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়। একেবারে ভোরবেলা জলমন্ত্রকের টুইটার অ্যাকাউন্ট হ্যাক করা হয়। যদিও কিছুক্ষণের মধ্যেই সেটি পুনরুদ্ধার করা হয়।