স্ট্যান স্বামীর মৃত্যুর প্রতিবাদ মিছিল থেকে আটক ঐশী-দীপ্সিতা, পুলিশের মারে আহত জেএনইউ নেত্রী
Aishe Ghosh And Dipsita Dhar detained: দীপ্সিতা বলেন, এভাবেই সরকার বিরোধী কথা বললেই যে কারও জায়গা হয় জেলের ভিতরে।
এদিন সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে জেএনইউএসইউ-র সভানেত্রী ঐশী ঘোষ অভিযোগ করেন, দিল্লির যন্তর মন্তরে প্রতিবাদ মিছিল করার সময় বিনা প্ররোচনা তাঁদের ওপর চড়াও হয় পুলিশ। কয়েকজনকে বেধড়ক মারধর করা হয়।
প্রসঙ্গত, সোমবার দীর্ঘ অসুস্থতার পর ৮৪ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন বর্ষীয়ান সমাজকর্মী স্ট্যান স্বামী। সোমবার ভোর সাড়ে ৪টে নাগাদ তাঁর মৃত্যু হয়। এলগার পরিষদ মামলায় সন্ত্রাসবাদ বিরোধী আইনে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। বিচারাধীন অবস্থাতেই প্রয়াত হন স্ট্যান। এলগার পরিষদ মামলায় অভিযুক্ত স্ট্যান ২০১৭ সালের ডিসেম্বর মাস থেকে জেলে ছিলেন। দীর্ঘদিন ধরে ফাদার স্ট্যান সহ সমস্ত বিচারাধীন বর্ষীয়ান সমাজকর্মীদের মুক্তির দাবিতে সরব হয়েছে গোটা দেশ। আর তাঁর মৃত্যুর প্রতিবাদ মিছিল করতে গিয়ে আটক হতে হয় জেএনইউ-র বাম পড়ুয়াদের। এমনটাই অভিযোগ।
Tv9 বাংলা ডিজিটালকে এসএফআই-র সর্বভারতীয় সহ-সম্পাদক দীপ্সিতা ধর জানান, বিনা প্ররোচনায় তাঁদের ওপর লাঠিচার্জ করে পুলিশ। অনুমতি নিয়েই যন্তর মন্তরের সামনে শান্তিপূর্ণ ভাবে মিছিল করছিলেন তাঁরা। সেখানে চড়াও হয় দিল্লি পুলিশ। মারধর করা হয়। এবং তাঁকে, ঐশী সহ একাধিক বাম ছাত্রনেতাকে আটক করে মন্দির মার্গ থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। সন্ধে সাড়ে ছ’টা নাগাদ তাঁদের ছাড়া হয়।
দীপ্সিতার কথায়, “স্ট্যান স্বামী একটা উদাহরণ মাত্র। এলগার পরিষদ মামলায় ষাটোর্ধ্ব বয়সী বন্দিদের উপযুক্ত প্রমাণ ছাড়াই বন্দি করা হয়েছে। বিভিন্ন সময়ে তাঁরা অভিযোগ করেছেন জেলের মধ্যে চিকিৎসা পরিষেবাটুকু পাচ্ছেন না। স্ট্যান স্বামী একটা স্ট্রয়ের জন্য আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। তবু সেই মামলার তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া মেলেনি। আর এ দিন তাঁর প্রতিবাদ করতে গিয়ে আটক হলেন পড়ুয়ারা।”
আরও পড়ুন: ‘এ তো জেএনইউর লাভলেটার, তোলা তোলার মতো রুটিন’, কটাক্ষ দীপ্সিতার
দীপ্সিতা আরও বলেন, এভাবেই সরকার বিরোধী কথা বললেই যে কারও জায়গা হয় জেলের ভিতরে।
আরও পড়ুন: বিশৃঙ্খলা ছড়ানোর অভিযোগে ঐশী ঘোষকে শো-কজ জেএনইইউ-র