Azadi ki Rail gari: ‘আজাদি কি রেলগাড়ি’র কথা বললেন মোদী, জানেন এটি কী?

Mann Ki Baat: প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের সঙ্গে রেলপথের যে ইতিহাস জড়িয়ে রয়েছে, তা মানুষের কাছে তুলে ধরার জন্যই এই কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছিল। জানেন কি এই আজাদি কি রেলগাড়ি কর্মসূচি কী?

Azadi ki Rail gari: 'আজাদি কি রেলগাড়ি'র কথা বললেন মোদী, জানেন এটি কী?
নরেন্দ্র মোদী
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 31, 2022 | 5:30 PM

নয়া দিল্লি : দেশের ৭৫ তম স্বাধীনতা দিবসের আগে রবিবার এদিনের মন কি বাত অনুষ্ঠানে একটি বড় অংশ ছিল আজাদি কা অমৃত মহোৎসব ঘিরে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এদিন স্বাধীনতার ৭৫ তম বর্ষপূর্তিকে দেশবাসী এক গণআন্দোলনে পরিণত করেছেন বলে উল্লেখ করেন। এর পাশাপাশি ‘আজাদি কি রেলগাড়ি’ কর্মসূচির কথাও বলেন প্রধানমন্ত্রী। ১৮ জুলাই থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত এক সপ্তাহ ব্যাপী দেশের বিভিন্ন রেল স্টেশনে এই কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের সঙ্গে রেলপথের যে ইতিহাস জড়িয়ে রয়েছে, তা মানুষের কাছে তুলে ধরার জন্যই এই কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছিল। জানেন কি এই আজাদি কি রেলগাড়ি কর্মসূচি কী?

দেশের ৭৫ টি রেল স্টেশনের স্বাধীনতা সংগ্রামের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা ইতিহাস

আজাদি কি রেলগাড়ি কর্মসূচির মাধ্যমে স্বাধীনতা সংগ্রামের সঙ্গে ৭৫ টি রেল স্টেশনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। একইসঙ্গে ২৭ টি ট্রেনকেও গুরুত্ব দিয়ে তুলে ধরা হয়েছে। দেশের ২৪ টি রাজ্যের মোট ৭৫ টি রেল স্টেশনকে ‘আজাদি কা অমৃত মহোৎসব’ উপলক্ষে সাজিয়ে তোলা হয়েছিল। স্থানীয় ভাষায় বিভিন্ন নাটক, লাইট অ্যান্ড সাউন্ড শো, দেশাত্মবোধক গান দেখানো হয়েছিল ওই কর্মসূচিতে। বিভিন্ন ভিডিয়োও দেখানো হয় সেই সময়।

যে স্টেশনগুলিতে বেছে নেওয়া হয়েছিল

ঝাড়খণ্ডের গোমো জংশন স্টেশনকে এখন নাম বদল করে আনুষ্ঠানিকভাবে নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু জংশন করা হয়েছে। এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মন কি বাত অনুষ্ঠানে এই স্টেশনের নাম উল্লেখ করেছেন। নরেন্দ্র মোদী বলেছেন, নেতাজি সুভাষ কালকা মেইলে চড়ে ব্রিটিশ অফিসারদের নজর এড়িয়ে যেতে সফল হয়েছিলেন। উত্তর প্রদেশের লখনউয়ের কাছে কাকোরি রেলওয়ে স্টেশনের নামও উল্লেখ করেন তিনি। সেই স্টেশনের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে রাম প্রসাদ বিসমিল এবং আশফাক উল্লাহ খানের মতো বীরদের ইতিহাস। পাশাপাশি তামিলনাড়ুর থুথুকুডি জেলার ভাঞ্চিমানিয়াচ্চি জংশনের নামকরণও স্বাধীনতা সংগ্রামী ভাঞ্চিনাথনের নামে করা হয়েছে।

স্বাধীনতা সংগ্রামীদের পরিবারের লোকেরা অংশ নিয়েছিলেন এই অনুষ্ঠানে

স্বাধীনতা সংগ্রামীদের পরিবারের সদস্যরা মূল স্টেশন থেকে ২৭ টি বিশেষ ট্রেনের ফ্ল্যাগ অফ করেছিলেন। নাগরিকদের মধ্যে স্বাধীনতার ইতিহাস জানানোর জন্য, বিশেষত তরুণ প্রজন্মকে তা বোঝানোর জন্য এই বিশেষ ট্রেনগুলি সম্পর্কে ঐতিহাসিক তথ্য তুলে ধরার জন্য বলেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী এই স্টেশনগুলি পরিদর্শনের অনুরোধ করেছেন

মন কি বাত অনুষ্ঠান থেকে প্রধানমন্ত্রী ছাত্র ও শিক্ষকদের জন্য নিকটবর্তী ঐতিহাসিক রেল স্টেশনগুলি পরিদর্শন করার অনুরোধ করেন। তিনি স্কুলের শিক্ষকদের কাছে অনুরোধ করেন, যাতে ছোট ছোট পড়ুয়াদের এই স্টেশনগুলিতে নিয়ে যাওয়ার জন্য এবং স্বাধীনতার বিভিন্ন ঘটনাগুলি বোঝানোর জন্য।

রেল স্টেশনগুলিতে ছবি প্রদর্শনী

এই ৭৫ টি রেল স্টেশনে ‘আজাদি কি রেলগাড়ি’কর্মসূচির আওতায় ছবির প্রদর্শনী এবং সেলফি পয়েন্টের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সপ্তাহব্যাপী চলা এই অনুষ্ঠানের সমাপ্তি অনুষ্ঠানে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের পরিবারের সদস্যদের স্টেশন সম্পর্কে বিভিন্ন কাহিনী শেয়ার করতেও বলা হয়েছিল।