Budget 2025: সীমান্তে শয়তানি চলছেই! তবুও সেই বাংলাদেশকে ‘দয়া’ করল ভারত
India-Bangladesh: লদ্বীপের সঙ্গে সম্পর্ক তিক্ত হতেই গত বছর বরাদ্দ কমিয়ে দিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। তবে সম্প্রতি মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ মুইজ্জুর সফরের পর সম্পর্কের বরফ গলে। বাজেটেও তার প্রতিফলন দেখা গেল। মলদ্বীপের জন্য বরাদ্দ ২৮ শতাংশ বাড়িয়ে দেওয়া হল।

নয়া দিল্লি: কেন্দ্রীয় বাজেটে প্রতিবেশী দেশগুলিকে অর্থ সাহায্যের জন্য বড় অঙ্ক বরাদ্দ করেছে মোদী সরকার। নেপাল, ভুটান, শ্রীলঙ্কা থেকে মলদ্বীপ- অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে সকলের জন্য। তবে এর মধ্যে নজর কেড়েছে যার বরাদ্দ, তা হল বাংলাদেশ। প্রতিবেশী এই দেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক তিক্ত হয়েছে গত বছর থেকে। লাগাতার ভারতের বিরুদ্ধে উসকানি দিয়ে চলেছে বাংলাদেশ। সীমান্তে উত্তেজনা বাড়ছে প্রতিনিয়ত। তারপরও বাংলাদেশের জন্য বরাদ্দ কমাল না সরকার।
২০২৪ সালের অগস্ট মাসে ছাত্র গণ আন্দোলনের মুখে পড়ে গদিচ্যুত হন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে পালিয়ে আসতে বাধ্য হন ভারতে। মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন হওয়ার পর থেকেই দুই পড়শি দেশের সম্পর্কের অবনতি হতে শুরু করে। ভারতের নানা অংশ দখল করে নেওয়ার হুমকি দেয় ওপার বাংলার মৌলবাদীরা। সীমান্তেও কাঁটাতার দেওয়া, অনুপ্রবেশ নিয়ে নিত্যদিন উত্তেজনা বাড়ছে।
এই টানাপোড়েন পরিস্থিতিতেও বাংলাদেশ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়নি মোদী সরকার। বাজেটে বাংলাদেশের জন্য বরাদ্দ অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। গত অর্থবর্ষে (২০২৪-২৫) বাংলাদেশের জন্য ১২০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল, এবারও সেই বরাদ্দই রাখা হয়েছে।
অন্যদিকে, মলদ্বীপের সঙ্গে সম্পর্ক তিক্ত হতেই গত বছর বরাদ্দ কমিয়ে দিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। তবে সম্প্রতি মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ মুইজ্জুর সফরের পর সম্পর্কের বরফ গলে। বাজেটেও তার প্রতিফলন দেখা গেল। মলদ্বীপের জন্য বরাদ্দ ২৮ শতাংশ বাড়িয়ে দেওয়া হল। মলদ্বীপের জন্য মোট ৬০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে বাজেটে।
প্রতিবেশী রাজ্যগুলির মধ্যে সবথেকে বেশি অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে ভুটানের জন্য। ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষের জন্য ২১৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। নেপালের জন্য ৭০০ কোটি এবং শ্রীলঙ্কার জন্য ৩০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে, যা আগের অর্থবর্ষের সমান। মরিশাসকেও এবার সাহায্যের জন্য ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। আফগানিস্তানকে ১০০ কোটি টাকা, মঙ্গোলিয়াকে ৫ কোটি, মায়ানমারকে ৩৫০ কোটি টাকা এবং আফ্রিকার দেশগুলিকে ২২৫ কোটি টাকার সাহায্য প্রস্তাব করা হয়েছে।

