ক্ষমতা পেয়েই চন্দ্রবাবুর ভোলবদল? দেখা করতে চাইছেন কংগ্রেসের মুখ্য়মন্ত্রীর সঙ্গে! চিন্তায় বিজেপি
Andhra Pradesh-Telangana: তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী রেবন্ত রেড্ডির বাড়িতে দেখা করতে যেতে চান অন্ধ্র প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু। আগামী ৬ জুলাই রেবন্ত রেড্ডির বাড়িতে দেখা করতে যাবেন অন্ধ্র প্রদেশের নতুন মুখ্যমন্ত্রী, এমনটাই জানা গিয়েছে।
হায়দরাবাদ: কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে চান বিজেপির জোটসঙ্গী দলের মুখ্যমন্ত্রী। অন্ধ্র প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু (Chandrababu Naidu) নিজেই নিজেকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী রেবন্ত রেড্ডির (Revanth Reddy) বাড়িতে। এদিকে, টিডিপি নেতার এই আমন্ত্রণের খবর পেতেই চিন্তায় বিজেপি। তবে কী সরকার গঠনের এক মাসের মধ্যেই জোটের সমীকরণ বদলে যাবে?
জানা গিয়েছে, তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী রেবন্ত রেড্ডির বাড়িতে দেখা করতে যেতে চান অন্ধ্র প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু। আগামী ৬ জুলাই রেবন্ত রেড্ডির বাড়িতে দেখা করতে যাবেন অন্ধ্র প্রদেশের নতুন মুখ্যমন্ত্রী, এমনটাই জানা গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, বর্তমানে রেবন্ত রেড্ডি কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রী হলেও, চন্দ্রবাবু নাইডুর সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক বহু পুরনো। কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার আগে তেলুগু দেশম পার্টিরই সদস্য় ছিলেন রেবন্ত রেড্ডি। চন্দ্রবাবুর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ হিসাবেও পরিচিত ছিলেন। ২০১৫ সালে নোট ফর ভোট দুর্নীতিতে যখন জেলে গিয়েছিলেন রেবন্ত রেড্ডি, সেই সময় তাঁকে চন্দ্রবাবু নাইডুর ‘পাঠানো লোক’ হিসাবেই চিহ্নিত করা হয়েছিল। টিডিপির হয়ে ভোট চেয়ে এক সদস্যকে ৫০ লক্ষ টাকা ঘুষ দিতে গিয়ে ধরা পড়েছিলেন রেবন্ত রেড্ডি।
সাক্ষাৎ করতে চেয়ে এই মর্মে তিনি রেবন্ত রেড্ডিকে চিঠিও লিখেছেন। সেই চিঠিতে লেখা, “অন্ধ্র প্রদেশ ভেঙে দুই খণ্ডে বিভাজিত হওয়ার ১০ বছর পার হয়েছে। পুনর্গঠন আইনের অধীনে একাধিক বিষয় নিয়ে দুই রাজ্য়ের মধ্যে বহুবার আলোচনাও হয়েছে, যা আমাদের দুই রাজ্যেরই উন্নয়নের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বন্ধুত্বপূর্ণভাবে আমাদের এই বিষয় নিয়ে আলোচনা অপরিহার্য। সেই মর্মেই আমি আগামী ৬ জুলাই, শনিবার দুপুরে আপনার বাড়িতে সাক্ষাতের প্রস্তাব দিচ্ছি। আমার বিশ্বাস, মুখোমুখি আলোচনা আমাদের জটিল বিষয়গুলি নিয়ে আরও ভালভাবে আলোচনা করতে এবং অন্ধ্র প্রদেশ ও তেলঙ্গানার জন্য লাভজনক সিদ্ধান্ত নিতে বিশেষ কার্যকর হবে।”
অন্ধ্র প্রদেশ ও তেলঙ্গানা রাজ্য বিভাজনের পরও এত বছর হায়দরাবাদকে যুগ্ম রাজধানী হিসাবে ব্যবহার করত। চলতি বছরই সেই চুক্তির ইতি হয়। অমরাবতীর নাম প্রস্তাবিত হলেও, এখনও তা অফিশিয়ালি রাজধানী হিসাবে ঘোষণা করা হয়নি। অমরাবতী প্রজেক্টও বিগত ৫ বছর ধরে আটকে রয়েছে। এক্ষেত্রে অন্ধ্র প্রদেশে মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণের পর চন্দ্রবাবু পড়শি রাজ্য তেলঙ্গানার সঙ্গে নতুন কোনও চুক্তি করতে পারেন কি না, তাই-ই দেখার।