Jyoti Malhotra: জ্যোতির বিরুদ্ধে বিস্ফোরক তথ্য, লস্করের প্রধান ঘাঁটিতেও গিয়েছিলেন প্রশিক্ষণ নিতে
Jyoti Malhotra: নিজেকে ট্রাভেল ইউটিউবার হিসেবে পরিচয় দিতেন জ্যোতি। ইউটিউবে তাঁর একটি ট্রাভেল অ্যাকাউন্ট রয়েছে। যেখানে সাবক্রাইবারের সংখ্যা ৩ লক্ষ ৮৫ হাজার।

হিসার: শুধু পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তিই নয়। ধৃত ইউটিউবার জ্যোতি মালহোত্রা ওরফে জ্যোতি রানির বিরুদ্ধে আরও বিস্ফোরক তথ্য গোয়েন্দাদের হাতে এসেছে। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, বছর তেত্রিশের এই ইউটিউবার পাকিস্তানের মুরিদকেতে লস্কর-ই-তৈবার প্রধান ঘাঁটিতেও গিয়েছিলেন। সেখানে ১৪ দিনের প্রশিক্ষণ নেন। তারপর ভারতে ফিরে আসেন।
নিজেকে ট্রাভেল ইউটিউবার হিসেবে পরিচয় দিতেন জ্যোতি। ইউটিউবে তাঁর একটি ট্রাভেল অ্যাকাউন্ট রয়েছে। যেখানে সাবক্রাইবারের সংখ্যা ৩ লক্ষ ৮৫ হাজার। কিন্তু, পাকিস্তানের হয়ে যে তিনি গুপ্তচরবৃত্তি করতেন, সেই তথ্য পেয়েছেন গোয়েন্দারা। এবার আরও বিস্ফোরক তথ্য সামনে এসেছে।
ভারতে একাধিক জঙ্গি হামলায় পাকিস্তানের যে জঙ্গি সংগঠনের হাত রয়েছে, সেই লস্কর-ই-তৈবার হেডকোয়ার্টারেই পৌঁছে গিয়েছিলেন জ্যোতি। পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের উপর জঙ্গি হামলার পিছনেও রয়েছে লস্করের হাত। বৈসরনে জঙ্গি হামলার দায় স্বীকার করা দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট লস্করেরই ছায়া সংগঠন। পাকিস্তানের মুরিদকেতে সেই লস্করেরই প্রধান ঘাঁটিতে প্রশিক্ষণের জন্য জ্যোতি গিয়েছিলেন বলে গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন। সেখানে ১৪ দিন ধরে গুপ্তচরবৃত্তির প্রশিক্ষণ নেন তিনি। তারপর একটি বিশেষ অভিযানে তাঁকে ভারতে ফেরত পাঠানো হয়। তবে সেই অভিযান সফল করার আগেই গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে শুক্রবার হরিয়ানার হিসার থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।
এর আগে জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশকে জ্যোতি জানিয়েছিলেন, পাকিস্তান যাওয়ার ভিসা পেতে ২০২৩ সালে দিল্লিতে পাকিস্তান হাই কমিশনে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে রহিম নামে একজনের সঙ্গে পরিচয় হয়। তারপর ২ বার পাকিস্তানে যান। সেখানে রহিমের পরিচিত আলি আহওয়ান তাঁর থাকা ও যাতায়াতের ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন। আলি আহওয়ানই পাকিস্তানের ইন্টেলিজেন্স অফিসারদের সঙ্গে জ্যোতির সাক্ষাতের ব্যবস্থা করেছিলেন।

