করোনার চোখ রাঙানিতে ‘ভীত’ পুণে, এক সপ্তাহ বন্ধ স্কুল-কলেজ, জারি হতে পারে নাইট কার্ফুও

পুণে (Pune)-তে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আজ উপমুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ার (Ajit Pawar) জেলার শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন। এরপরই একটি বিবৃতিতে বলা হয়, আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি অবধি জেলার সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। হোটেল, রেস্তরাঁ ও বিয়েবাড়ির অনুষ্ঠানগুলিও রাত ১১টা অবধি খোলা রাখা যাবে।

করোনার চোখ রাঙানিতে 'ভীত' পুণে, এক সপ্তাহ বন্ধ স্কুল-কলেজ, জারি হতে পারে নাইট কার্ফুও
ফাইল ছবি
Follow Us:
| Updated on: Feb 21, 2021 | 5:52 PM

পুণে: মহারাষ্ট্রে করোনা (COVID-19) সংক্রমণ বাড়তেই তিনটি জেলায় কার্যত “লকডাউন” (Lockdown) জারি করেছিল রাজ্য সরকার। দুদিন কাটতে না কাটতেই এবার কড়া পদক্ষেপ করল জেলা প্রশাসনও। পুণে (Pune)-তে করোনা সংক্রমণে রাশ টানতে আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি অবধি সমস্ত স্কুল, কলেজ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিল জেলা প্রশাসন। রাত ১১টা থেকে ভোর ৬টা অবধি সমস্ত যানবাহন ও সাধারণ মানুষের গতিবিধিতেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

ফেব্রুয়ারির শুরু থেকেই মহারাষ্ট্র(Maharashtra)-র একাধিক জেলায় করোনা সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। এরমধ্যে অন্যতম জেলাগুলি হল নাগপুর, আকোলা, অমরাবতী, যাভতমল, মুম্বই ও পুণে। সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী উদ্ভব ঠাকরে (Uddhav Thackeray) উপ-মুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ার (Ajit Pawar) ও রাজ্যের শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন। তারপরই আকোলা, যাভতমল ও অমরাবতীকে কন্টেনমেন্ট জ়োন হিসাবে ঘোষণা করা হয়। বন্ধ করে দেওয়া হয় স্কুল-কলেজ। অনুষ্ঠানেও নানা বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়।

পুণেতে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আজ উপমুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ার জেলার শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন। এরপরই একটি বিবৃতি পেশ করে ঘোষণা হয় যে, আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি অবধি জেলার সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। হোটেল, রেস্তরাঁ ও বিয়েবাড়ির অনুষ্ঠানগুলিও রাত ১১টা অবধি খোলা রাখা যাবে। কোনও অনুষ্ঠানেই ২০০-র বেশি আমন্ত্রিত থাকতে পারবে না।

আরও পড়ুন:‘দায়ভার ঝেড়ে ফেলতে পারবে না ব্যাঙ্ক’, রিজার্ভ ব্যাঙ্ককে অভিন্ন লকারবিধি তৈরির নির্দেশ ‘সুপ্রিমে’র

একইসঙ্গে জানানো হয়েছে, রাত ১১টা থেকে ভোর ৬টা অবধি জনসাধারণের গতিবিধিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। কেবলমাত্র অত্যাবশ্যকীয় কাজের (Essential Service) সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের ছাড় দেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে যাঁরা সংবাদপত্র বিতরণ করেন, সবজি বিক্রেতাদেরও রাখা হয়েছে। যেকোনও বড় অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রেই পুলিশের অনুমতি প্রয়োজন হবে।

এদিকে, আজ সকালেই এক রাজ্যমন্ত্রী জানান, সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাজ্য সরকার রাত্রিকালীন কার্ফু (Night Curfew) জারির পরিকল্পনা করছে। এই বিষয়ে আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী উদ্ভব ঠাকরে সিদ্ধান্ত নেবেন। তিনি বলেন, “নাগপুর, আকোলা, অমরাবতী, যাভতমল, মুম্বই ও পুণেতে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে। লকডাউন বা অন্য কোনও নিয়মবিধি জারি করার বিষয়ে আমরা জেলা প্রশাসনগুলিকে প্রশ্ন করেছি। প্রতিটি অঞ্চলের পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে তারপরই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”

ইতিমধ্যেই শনিবার থেকে অমরাবতীতে লকডাউন জারি করা হচ্ছে। আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি অবধি যাভতমলেও স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকবে। রেস্তরাঁ বা অন্য কোনও অনুষ্ঠানে ৫০ জনের বেশি উপস্থিত থাকতে পারবেন না। এক জায়গায় পাঁচজনের বেশি জমায়েতেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

রাজ্য স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, শনিবার রাজ্যে নতুন করে ৬২৮১ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন এবং ৪০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই নিয়ে রাজ্যে মোট ২০ লাখ ৯৩ হাজার ৯১৩ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এরমধ্যে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৪৮ হাজার ৪৩৯ । এখনও অবধি সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১৯ লাখ ৯২ হাজার ৫৩০ জন। করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৫১ হাজারেরও বেশি মানুষ।

আরও পড়ুন: গরু সম্পর্কে জ্ঞান কত? যাচাই করতে পরীক্ষা দেবে ৫ লাখেরও বেশি পড়ুয়া!