Cloudburst in Amarnath: অমরনাথে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা, নিখোঁজ কমপক্ষে ৪০, আপাতত স্থগিত যাত্রা

Cloudburst in Amarnath: ইন্দো-টিবেটিয়ান বর্ডার পুলিশ বা আইটিবিপির মুখপাত্র বলেন, "বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে মাঝেমধ্যে বৃষ্টি হচ্ছে। বড় বিপত্তির আশঙ্কায় আপাতত অমরনাথ যাত্রা স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।"

Cloudburst in Amarnath: অমরনাথে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা, নিখোঁজ কমপক্ষে ৪০, আপাতত স্থগিত যাত্রা
অমরনাথে চলছে উদ্ধারকাজ। ছবি:PTI
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 09, 2022 | 6:13 AM

শ্রীনগর: পূণ্যযাত্রার মাঝেই বিপর্যয়। মেঘভাঙা বৃষ্টির জেরে অমরনাথে নামল ধস। জলের তোড়ে ভেসে গিয়ে কমপক্ষে ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এখনও নিখোঁজ ৪০ জন। বর্তমানে বৃষ্টি থামলেও, ফের বৃষ্টি বা ধসের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। হঠাৎ বিপর্যয়ের পরই সাময়িকভাবে অমরনাথ যাত্রা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫টা নাগাদ হঠাৎ অমরনাথ গুহার ঠিক উপরের অংশে মেঘভাঙা বৃষ্টি শুরু হয়। নিমেষে পাহাড়ের গা বেয়ে হুড়মুড়িয়ে নামতে থাকে জল। অমরনাথ গুহার ঠিক নীচেই পুণ্যার্থীদের যে তাঁবু ও কমিউনিটি কিচেন ছিল, তা জলের তোড়ে ধুয়েমুছে সাফ হয়ে যায়।

দুর্ঘটনার খবর মিলতেই উদ্ধারকাজ শুরু করে নিরাপত্তা বাহিনী। খবর দেওয়া হয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীতেও। রাজ্য ও জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর মিলিত অভিযানে প্রায় ১ হাজার পুণ্যার্থীকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। বিকেল থেকে রাতের মধ্যেই তাদের এয়ারলিফ্ট করে ফিরিয়ে আনা হয়। তবে খাড়াই পার্বত্য এলাকা হওয়ায় এবং খারাপ আবহাওয়ার কারণে রাতে উদ্ধারকাজে বেগ পেতে হয়েছে বলেই জানানো হয়েছে সেনা বাহিনীর তরফে। আহতদের সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে।

ইন্দো-টিবেটিয়ান বর্ডার পুলিশ বা আইটিবিপির মুখপাত্র বলেন, “বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে মাঝেমধ্যে বৃষ্টি হচ্ছে। বড় বিপত্তির আশঙ্কায় আপাতত অমরনাথ যাত্রা স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যদি আবহাওয়া স্বাভাবিক হয় এবং দ্রুত কোনও ব্যবস্থা করা যায়, তবে আগামিকাল থেকে ফের যাত্রা শুরু করা যাবে।”

শ্রীনগর আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, আপাতত অমরনাথে ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা নেই। এই মুহূর্তে আকাশ পরিষ্কার। গতকাল অমরনাথ গুহার কাছে ২ ঘণ্টায় ৩১ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এর মধ্যে সাড়ে পাঁচটা থেকে সাড়ে ৬টার মধ্যে বৃষ্টি হয়েছে ২৮ মিলিমিটার। এই বৃষ্টিতে এত বড় বিপর্যয় কী করে হল, তা নিয়েই প্রশ্ন উঠছে।