Woman Arrested: ‘বাঁচাও বাঁচাও’, সাতসকালে মহিলার তারস্বরে চিৎকার, ঘরে ঢুকে মাথায় বাজ পড়ল পাড়া-পড়শিদের
Bengaluru Murder Case: ভাগ্য ও তাঁর স্বামী দিনমজুর ছিলেন। দুই সন্তানকে নিয়ে ওই দম্পতি একটি ভাড়া বাড়িতে থাকতেন। পুলিশকে দেওয়া বয়ানে ওই মহিলা জানিয়েছে, তাঁর স্বামী মদ্যপ ছিল।
বেঙ্গালুরু: অত্যাচার যখন মাত্রাতিরিক্ত জায়গায় পৌঁছে যায়, তখন প্রতিরোধ ছাড়া আর কোনও উপায় বাকি থাকে না। বৈবাহিক জীবনে অনেক মহিলাকেই চরম অত্যাচারের মুখোমুখি হতে হয়। কেউ কেউ দীর্ঘদিন ধরে মুখ বুজে অত্যাচার সহ্য করে, কেউ আবার সহ্য করতে পেরে পাল্টা আঘাত করতে বাধ্য হয়। ব্যাঙ্গালোরে (Bangalore Murder Case) এমনই এক ঘটনা সামনে উঠে এসেছে। বুধবার দড্ডাবল্লাপুর গ্রামীণ পুলিশ ৩২ বছর বয়সী এক মহিলাকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ ওই মহিলার বিরুদ্ধে তাঁর স্বামীকে হত্যা করার মতো গুরুতর অভিযোগ এনেছে। পুলিশ জানিয়েছে, ওই মহিলার নাম ভাগ্য। মহিলা যে কায়দায় তাঁর স্বামীকে হত্যা করেছেন, তার বিবরণ শুনে হতবাক অনেকেই। পুলিশ ওই মহিলাকে গ্রেফতারের পর ঘটনার কথা সামনে এসেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, “সকাল সকাল মহিলা সাহায্য চেয়ে বাঁচাও বাঁচাও বলে চিৎকার করছিলেন। তাঁর কান্নার আওয়াজ শুনে পাড়া-পড়শিরা বাড়িতে ঢুকে তাঁর স্বামীর থ্যাতলানো মৃতদেহ উদ্ধার করে। মৃত ব্যক্তির মাথায় গুরুতর আঘাতে বেশ কয়েকটি চিহ্ন ছিল।” ভাগ্য জানিয়েছিলেন, তিনি যখন কোনও কারণে বাড়ির বাইরে গিয়েছিলেন, সেই সময়ই কেউ তাঁর স্বামীকে খুন করেছে। মহিলার দেওয়া বিবরণ পুলিশকে সন্তুষ্ট করতে পারেনি। তাই তাঁকে বিস্তারিতভাবে জেরা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল পুলিশ। জেরা করতেই বেরিয়ে আসে আসল তথ্য। পুলিশ জানিয়েছে, জেরা চলাকালীন তাঁর বক্তব্যে অসঙ্গতি দেখা যায় এবং শেষমেশ তিনি স্বীকার করেন তিনিই তাঁর স্বামীকে হত্যা করেছেন।
ভাগ্য ও তাঁর স্বামী দিনমজুর ছিলেন। দুই সন্তানকে নিয়ে ওই দম্পতি একটি ভাড়া বাড়িতে থাকতেন। পুলিশকে দেওয়া বয়ানে ওই মহিলা জানিয়েছে, তাঁর স্বামী মদ্যপ ছিল। “হনুমাইয়া নিয়মিত মদ খেয়ে বাড়িতে আসত। নেশার ঘোরে প্রতিনিয়ত তাঁকে মারধর করত। অত্যাচার সহ্য করতে না পেরেই তিনি তাঁকে হত্যার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।” জানিয়েছে পুলিশ। আগে থেকে খুন করবেন বলে ঠিক করেছিলেন ওই মহিলা। সেই কারণে তিনি আগের রাতেই তাঁর দুই সন্তানকে বাপের বাড়ি পাঠিয়ে দেন। তারপরই ঘুমন্ত স্বামীর মাথায় একটি পাথর দিয়ে ক্রমাগত আঘাত করতে থাকেন। প্রমাণ লোপাটের জন্য পাথরটি একটি কুয়োতে ফেলে দেন। পুলিশ জানিয়েছে, ওই পাথরটিকে পুলিশ খুঁজে বের করা চেষ্টা করছে। ঘাতক পাথর খুঁজে পেলেই তাঁকে হেফাজতে নেওয়া হবে।