AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Russia-Ukraine war: রুশ যুদ্ধক্ষেত্রে বাংলার বাসিন্দা! সাহায্য চাইলেন দিদি-মোদীর

Russia-Ukraine war: কালিম্পং-এর বাসিন্দা উরজেন তামাং। প্রতারিত হয়ে তিনি রাশিয়া থেকে ভারত সরকারের সহায়তা চেয়েছেন। কালিম্পং-এ তাঁর পরিবারের সদস্যরাও সাহায্য চেয়েছেন ভারত সরকার ও পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কাছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, গোর্খা টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের চেয়ারম্যান অনিত থাপা এবং স্থানীয় বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তার সঙ্গে যোগাযোগ করেছে স্থানীয় প্রশাসন।

Russia-Ukraine war: রুশ যুদ্ধক্ষেত্রে বাংলার বাসিন্দা! সাহায্য চাইলেন দিদি-মোদীর
রাশিয়া থেকে ভিডিয়ো বার্তা পাঠালেন উরজেন তামাংImage Credit: Twitter
| Updated on: Mar 25, 2024 | 3:17 PM
Share

কালিম্পং: চলতি মাসের শুরুতেই জানা গিয়েছিল, ভারতীয়দের ভুল বুঝিয়ে রাশিয়ায় নিয়ে গিয়ে পাঠানো হচ্ছে যুদ্ধ করতে। ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে গিয়ে মৃত্যুও হয়েছে হায়দরাবাদের এক যুবকের। এবার, একই ধরনের প্রতারণা অভিযোগ করলেন বাংলার এক বাসিন্দাও। ৪৭ বছর বয়সী প্রাক্তন সেনা কর্মী উরজেন তামাং-এর দাবি, তাঁর সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে। চাকরি দেওয়ার অজুহাতে তাঁকে রাশিয়ায় নিয়ে গিয়েছিল ট্রাভেল এজেন্টরা। কিন্তু, সেখানে নিয়ে গিয়ে তাঁকে ইউক্রেন যুদ্ধে একজন রুশ যোদ্ধা হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে তাঁকে। কালিম্পং-এর বাসিন্দা উরজেন তামাং। প্রতারিত হয়ে তিনি রাশিয়া থেকে ভারত সরকারের সহায়তা চেয়েছেন। কালিম্পং-এ তাঁর পরিবারের সদস্যরাও সাহায্য চেয়েছেন ভারত সরকার ও পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কাছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, গোর্খা টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের চেয়ারম্যান অনিত থাপা এবং স্থানীয় বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তার সঙ্গে যোগাযোগ করেছে স্থানীয় প্রশাসন।

জানা গিয়েছে কালিম্পংয়ের ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের চিবো পুরবুং-এর বাসিন্দা উরজেন। ঘরে রয়েছেন উরজেনের স্ত্রী অম্বিকা তামাং এবং তাঁদের দুই সন্তান। অম্বিকা জানিয়েছেন, ১৮ জানুয়ারি ঘর ছেড়েছিলেন উরজেন। কিন্তু, সেই সময় তাঁদের ধারনাই ছিল না যে, তাঁদের সঙ্গে কেউ প্রতারণা করছে। উরজেনকে যুদ্ধে পাঠানো হবে। গত শুক্রবার উরজেনের সঙ্গে শেষ কথা হয়েছে তাঁর। রাশিয়া থেকে ফোন করেছিলেন ভারতীয় সেনার এই প্রাক্তন কর্মী। উরজেন তাঁকে একটি ভিডিয়ো বার্তা পাঠিয়ে, সেটি সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার করতে বলেছেন। তিনিই স্ত্রীকে বলেছেন সরকারের সাহায্য চাইতে। তিনি জানিয়েছেন, তিনি এখন যুদ্ধক্ষেত্রেই আছেন। যে কোনও সময় বিপদ ঘটে যেতে পারে। অম্বিকা বলেছেন, “শুনেছি কেন্দ্রীয় সরকার এবং আমাদের মুখ্যমন্ত্রী বিষয়টি জানেন। তাঁরা কোনোভাবে আমাদের সাহায্য করবেন বলে আশা করছি।”

সোশ্যাল মিডিয়ায় উরজেনের একটি ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে। তাতে উরদেনকে বলতে শোনা যাচ্ছে, “আমাকে বাঁচান। যুদ্ধ করার জন্য আমাকে ইউক্রেনের যুদ্ধক্ষেত্রে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। আমি ভারত সরকারের কাছে আবেদন করছি, আমাকে বাঁচান।” উরজেন জানিয়েছেন, তাঁকে রাশিয়ায় নিরাপত্তারক্ষীর চাকরি দেওয়া হবে বলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। শিলিগুড়ির এক ট্রাভেল এজেন্ট তাঁকে প্রথমে দিল্লিতে পাঠিয়েছিল। যেখানে তাঁকে ভিসা এবং অন্যান্য কাগজপত্র দেওয়া হয়। এরপর তাঁকে মস্কোতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রথমে একজন নেপালি এজেন্ট এবং পর তামিলনাড়ুর এক এজেন্ট তাঁর সঙ্গে দেখা করেন। আট-দশ দিন মস্কোর এক হোটেলে রাখা হয়েছিল তাঁকে। তারপর তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল এক সেনা শিবিরে। সেখানে তাঁকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় এবং বন্ড পেপারে সই করানো হয়। বর্তমানে তাঁকে যুদ্ধক্ষেত্রে পাঠানো হচ্ছে।

দার্জিলিংয়ে এবারও বিজেপি প্রার্থী করেছে রাজু বিস্তাকে। তিনি জানিয়েছেন, উরজেনের সমস্যাটি নিয়ে তিনি বিদেশ মন্ত্রক এবং রাশিয়ার ভারতীয় দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। এই অবস্থায় উরজেন কবে ঘরে ফিরবেন, সেই অপেক্ষায় আছেন অম্বিকা।