Stamps Samosa: সিঙাড়ার গায়ে ‘হলমার্ক’, পলকে বুঝে যাবেন ভিতরে আলু না পনিরের পুর
Street Food: বেঙ্গালুরুর যে দোকানের এই ঘটনা, তারা সিঙাড়ার নানা রকম পদও তৈরি করে। পাশাপাশি শুধুমাত্র ত্রিকোণ সিঙাড়াই নয়, আকারেও বদল এনেছে। তাদের কোনও কোনও সিঙাড়া টাকা রাখার বটুয়ার মতো দেখতে।

বেঙ্গালুরু: নোনতা হিসাবে সিঙাড়ার কদর শুধু কলকাতাতেই নয়, দেশের বিভিন্ন জায়গায় একইরকম। বাঙালির আদরের ডাক সিঙাড়া অবাঙালির কাছে অনায়াসে হয়ে যায় সামোসা। নাম যাই হোক, ময়দার লেচিতে আলুর পুর ভরে তিন কোণা এই মুখরোচক স্ন্যাক্সের চাহিদার তাতে কোনও হেরফের হয় না। আলুর পুরের পাশাপাশি ফুলকপি, পনির, নুডলস, এমনকী মাংসের কিমা কিংবা কর্ন-চিজ দিয়েও সিঙারার হেব্বি কাটতি। দোকানিও সেইমতো ভেজে চলেন কড়াই ভরে। কিন্তু সমস্যা একটাই। একেক সময় ক্রেতার ভিড়ে গুলিয়ে যায় কোনটা একেবারে নিরামিষ, কোনটায় চিকেন পড়ে গিয়েছে। এই সমস্যা থেকে বাঁচতে বেঙ্গালুরুর একটি খাবারের দোকানে সিঙাড়ার গায়ে ‘হলমার্ক’ করে দেওয়া হচ্ছে কোনটা আলুর, কোনটায় রয়েছে অন্য কিছু।
বেঙ্গালুরুর ওই দোকানে সিঙাড়ার গায়ে রীতিমতো ছাপ মেরে লিখে দেওয়া হচ্ছে সিঙাড়ার ভিতরে কোন ধরনের পুর রয়েছে তা। টুইটারে এক ব্যক্তি সেই ছবি পোস্ট করেন। এরপরই ভাইরাল হতে শুরু করে সেটি। লাইক, রিটুইট তো রয়েছেই। অনেকে সে ছবি ডাউনলোড করে নিজের মতো সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টও করতে শুরু করেছেন।
the real food “tech” innovation in bangalore pic.twitter.com/tVfd9Yz0tq
— Shobhit Bakliwal ?? (@shobhitic) October 10, 2022
বেঙ্গালুরুর যে দোকানের এই ঘটনা, তারা সিঙাড়ার নানা রকম পদও তৈরি করে। পাশাপাশি শুধুমাত্র ত্রিকোণ সিঙাড়াই নয়, আকারেও বদল এনেছে। তাদের কোনও কোনও সিঙাড়া টাকা রাখার বটুয়ার মতো দেখতে। সিঙাড়ায় স্বাদ বদলের জন্য পুর হিসাবে কোনওটায় ব্যবহার করে ‘কর্ন চিজ’ কোনওটায় ‘চিলি পনির’। ‘তন্দুরি চিকেন টিক্কা’ থেকে ‘যোধপুরী আলু পেঁয়াজ’, কী নেই এই দোকানে। সিঙাড়ায় বাকেটও পাওয়া যায়। তবে সব কিছুকে হার মানিয়ে দিয়েছে সিঙাড়ার গায়ে ‘হলমার্ক’।
সিঙাড়ার খোঁজ প্রথম মধ্যপ্রাচ্যেই পাওয়া যায়। নাম ছিল ‘সাম্বোসা’। ফার্সি শব্দ ‘সংবোসাগ’ থেকে এই সিঙাড়া শব্দের উৎপত্তি। শোনা যা, চতুর্দশ শতাব্দী নাগাদ মধ্য এশিয়ার ব্যবসায়ীরাই হাতে ধরে ভারত ও উপমহাদেশের বিভিন্ন দেশে এই সিঙাড়ার প্রচলন ঘটান। এরপর…। গলা-বুক জ্বলা কিংবা অম্বলের সমস্ত দায় গিয়ে সিঙাড়ার ঘাড়ে ঠেললেও একে উপেক্ষা করার ক্ষমতা খুব কম মানুষেরই দেখা যায়।
