AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Bengaluru: স্বামীকে হারিয়ে শামসুদ্দিনের সঙ্গে প্রেম! নতুন জীবন শুরুর ‘চাহিদাই’ ডেকে আনল বিপদ…

Bengaluru: প্রমাণ লোপাট করতে আশার পা ও গলাকে এক সঙ্গে দড়িতে বেঁধে সেটিকে একটি ব্য়াগের মধ্যে ভরে বাইকের পিছনে চাপিয়ে ২০ কিলোমিটার দূরে গিয়ে ফেলে আসেন শামসুদ্দিন। পরদিন সকাল নাগাদ আবর্জনার গাড়িতে পাওয়া যায় তার দেহটি।

Bengaluru: স্বামীকে হারিয়ে শামসুদ্দিনের সঙ্গে প্রেম! নতুন জীবন শুরুর 'চাহিদাই' ডেকে আনল বিপদ...
Image Credit: X
| Updated on: Jun 30, 2025 | 1:42 PM
Share

বেঙ্গালুরু: কর্ণাটকের টেক-সিটিতে দিল্লির শ্রদ্ধা-কাণ্ডের ছায়া? নিজের লিভ-ইন-পার্টনারকে খুন করে আবর্জনা নিয়ে যাওয়া গাড়িতে দেহ ফেলে দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার হলেন ৩৩ বছরের এক যুবক। ধৃতের নাম শামসুদ্দিন। সে অসমের বাসিন্দা। কর্মসূত্রেই বেঙ্গালুরুতে ছিলেন।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নিহতের নাম আশা। তাঁর বয়স ৪০ বছর। সে বেঙ্গালুরুরই বাসিন্দা ছিলেন। বছর কতক আগে স্বামী মারা যাওয়ার পর শামসুদ্দিনের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন আশা। শামসুদ্দিন তারই অফিসের কর্মী। সারাদিন কথোপকথন। সময়ে-অসময়ে একে অপরকে কাছে পাওয়া। সব মিলিয়ে আশা আবার জীবনের নতুন অধ্যায়ের গল্প বুনতে শুরু করেন। এমনকি, চার মাস আগে যৌথ সিদ্ধান্তেই বেঙ্গালুরুতে একটি ফ্ল্যাটে উঠেছিলেন তারা। স্থানীয়দের জানিয়েছিলেন, তারা বিবাহিত।

জীবনের নতুন অধ্যায়ে পা দিয়েই কীভাবে চূড়ান্ত পরিণতি হল আশার? বিবাদ-ঝগড়াই কি কাল হল তাদের মধ্যে? আসল সত্যি খুঁজতে তদন্তে নেমেছে পুলিশ। তবে প্রাথমিক ভাবে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, নতুন ফ্ল্যাটে ওঠার পর থেকেই সম্পর্কের টানাপোড়েন শুরু হয়েছিল। মূলত, আশার দিক থেকেই বিবাদটা শুরু হয় বলে দাবি প্রতিবেশীদের। নিহতের মদ খাওয়ার একটা বদভ্যাস ছিল। যা অপছন্দ করতেন শামসুদ্দিন। বহুবার বারণও করেছিলেন। কিন্তু কোনও কথাই কানে তুলতেন না আশা। তার মধ্যেই আবার অজ্ঞাত পরিচয়ের ব্য়ক্তিদের সঙ্গে রাতের পর রাত ফোনে কথা হত তার।

খুনের রাতে মদ্যপ হয়ে বাড়িতে ফেরেন শামসুদ্দিন। তারপরেই তুমুল বচসা। যা চলে যায় হাতাহাতি পর্যন্ত। তখনই রাগের মাথায় আশাকে গলা টিপে মেরে ফেলেন শামসুদ্দিন। এরপরই প্রমাণ লোপাট করতে আশার পা ও গলাকে এক সঙ্গে দড়িতে বেঁধে সেটিকে একটি ব্য়াগের মধ্যে ভরে বাইকের পিছনে চাপিয়ে ২০ কিলোমিটার দূরে গিয়ে ফেলে আসেন শামসুদ্দিন। পরদিন সকাল নাগাদ আবর্জনার গাড়িতে পাওয়া যায় তার দেহটি।

তারপরই স্থানীয় এলাকার একের পর এক সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে পুলিশ। সেখান থেকেই বাইকের পিছনে দেহ চাপিয়ে নিয়ে যাওয়ার ঘটনাটি দেখে তারা। সরাসরি চলে যায় শামসুদ্দিনের ফ্ল্যাটে। গ্রেফতার হন অভিযুক্ত। জানা যায়, অসমে তার স্ত্রী-সন্তানও রয়েছে।