Tejashwi Yadav: সুপার হাসপাতালেই মশারি টাঙিয়ে ঘুমনোর তোড়জোড় করছেন, এমন সময় হাজির স্বাস্থ্যমন্ত্রী…

Tejashwi Yadav: তেজস্বী যাদবকে অফিসের দোরগোড়ায় দেখতে পেয়ে চমকে যান হাসপাতালের সুপার। জানা গিয়েছে, স্বাস্থ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব রাজ্যের সরকারি হাসপাতালের অবস্থা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। হাসপাতালের পরিচ্ছন্নতা, রোগী পরিষেবা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি।

Tejashwi Yadav: সুপার হাসপাতালেই মশারি টাঙিয়ে ঘুমনোর তোড়জোড় করছেন, এমন সময় হাজির স্বাস্থ্যমন্ত্রী...
হাসপাতালের সুপারের ঘর। ছবি: টুইটার।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 07, 2022 | 12:15 PM

পটনা: চিকিৎসকের চেম্বার নাকি বাড়ির শোওয়ার ঘর, তা দেখে বোঝার উপায় নেই। পটনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুপারিন্টেন্ডেন্টের অফিস দেখে এমনটাই মনে হয়েছে আরজেডি নেতা তথা বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব। মঙ্গলবার রাতে হাসপাতালে সারপ্রাইজ ভিজিট করতে গিয়ে এমন দৃশ্যেরই সাক্ষী রইলেন তেজস্বী, দেখলেন রোগী দেখার বদলে অফিসেই মশারি টাঙিয়ে ঘুমানোর ব্যবস্থা করছেন।

দীর্ঘদিন ধরেই সরকারি হাসপাতালের বেহাল অবস্থা নিয়ে অভিযোগ উঠেছিল। মঙ্গলবার রাতে উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব হাসপাতালের অবস্থা খতিয়ে দেখতে পটনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পরিদর্শনে যান। সেখানেই তিনি দেখতে পান যে, হাসপাতালকেই বাড়ির শোওয়ার ঘর বানিয়ে ফেলেছেন।

জানা গিয়েছে, চলতি সপ্তাহেই রাজ্যের স্বাস্থ্য আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসার কথা তেজস্বী যাদবের। তার আগেই তিনি মঙ্গলবার হাসপাতাল পরিদর্শনে যান। সেখানে রোগীদের ওয়ার্ডের বেহাল অবস্থা দেখে তিনি সুপারিন্টেন্ডেন্টের সঙ্গে দেখা করতে যান। দরজার বাইরে নিরাপত্তারক্ষী তেজস্বী যাদবকে দেখেই চমকে যান। প্রশ্নের মুখে পড়েই তিনি বাধ্য হয়ে সুপারের অফিসের দরজা খুলে দেন। সেখানেই উপমুখ্যমন্ত্রী তথা রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী দেখতে পান যে, বিছানা পাতা হয়ে গিয়েছে, মশারিও টাঙানো হয়ে গিয়েছে। তিনি ঘুমোতেই যাচ্ছিলেন, সেই সময়ই হাজির হন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

তেজস্বী যাদবকে অফিসের দোরগোড়ায় দেখতে পেয়ে চমকে যান হাসপাতালের সুপার। জানা গিয়েছে, স্বাস্থ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব রাজ্যের সরকারি হাসপাতালের অবস্থা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। হাসপাতালের পরিচ্ছন্নতা, রোগী পরিষেবা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি। হাসপাতালের ওয়ার্ডে প্রবেশ করতেই রোগী ও রোগীর পরিবারের সদস্যরা মন্ত্রীর কাছে হাসপাতালের অব্যবস্থা, অপরিচ্ছন্ন শৌচাগার, চিকিৎসক-ওষুধ অমিল থাকার মতো নানা অভিযোগ জানান। মহিলারা জানান, হাসপাতালের শৌচাগার এতটাই নোংরা যে তাদের বাইরের পে অ্যান্ড ইউজ টয়লেট ব্যবহার করতে হয়। হাসপাতালের ফার্মেসিতে অধিকাংশ ওষুধই অমিল থাকে, তাই বাইরে থেকেই ওষুধ কিনতে হয়।

তেজস্বী যাদবের সঙ্গে যারা উপস্থিত ছিলেন, তাদের করা ভিডিয়োয় মর্গের করিডরের সামনে একটি মৃতদেহও পড়ে থাকতে দেখা যায়। হাসপাতালের ভিতরে কুকুরও ঘুরে বেড়াতে দেখা যায়।

গোটা হাসপাতাল ঘুরে তেজস্বী যাদব বলেন, “এখানে কেউ দাঁড়াতেও পারবে না”। হাসপাতালে সিনিয়র চিকিৎসকদের পাওয়া যায় না, নার্সদেরই যাবতীয় দায়িত্ব পালন করতে হয়। তেজস্বী যাদব বলেন, “আমরা পটনা মেডিক্যাল কলেজ, গার্ডিনার হাসপাতাল ও গার্ধানিবাগ হাসপাতাল পরিদর্শন করে দেখেছি। বিভিন্ন জেলা থেকে সাধারণ মানুষ আমায় বলেছিল যে এখানে এসে যেন আমি স্বাস্থ্যব্যবস্থা খতিয়ে দেখি।”