JP Nadda: ‘মিথ্যা আর হিন্দু বিদ্বেষ’, সোশ্যাল মিডিয়ায় একের পর এক পোস্টে রাহুলকে বিঁধলেন নাড্ডা

JP Nadda slams Rahul Gandhi: 'হিন্দু' ধর্ম নিয়ে লোকসভায় রাহুল গান্ধীর মন্তব্যের প্রেক্ষিতে, কংগ্রেস নেতার তীব্র সমালোচনা করলেন বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডা। রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে লোকসভায় মিথ্যা কথন এবং হিন্দু বিদ্বেষের অভিযোগ করেছেন নাড্ডা। লোকসভার বিরোধী দলনেতাকে সোশ্যাল মিডিয়ায় কার্যত বিদ্রুপ করলেন তিনি।

JP Nadda: মিথ্যা আর হিন্দু বিদ্বেষ, সোশ্যাল মিডিয়ায় একের পর এক পোস্টে রাহুলকে বিঁধলেন নাড্ডা
রাহুল গান্ধীর সমালোচনা করে পরপর সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট জেপি নাড্ডারImage Credit source: PTI

Jul 01, 2024 | 7:21 PM

নয়া দিল্লি: সোমবার (১ জুলাই), ‘হিন্দু’ ধর্ম নিয়ে লোকসভায় রাহুল গান্ধীর মন্তব্যের প্রেক্ষিতে, কংগ্রেস নেতার তীব্র সমালোচনা করলেন বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডা। এদিন, নির্বাচনী লাভের জন্য রাজনীতির সঙ্গে ধর্মকে মেশানো, ফসলের ন্যুনতম সমর্থন মূল্যের আইনি গ্যারান্টি থেকে শুরু করে অগ্নিবীর প্রকল্প – বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিজেপি তথা এনডিএ সরকারকে আক্রমণ করেন রাহুল গান্ধী। তাঁর এই বক্তৃতার প্রেক্ষিতে, লোকসভার বিরোধী দলনেতাকে সোশ্যাল মিডিয়ায় কার্যত বিদ্রুপ করলেন জেপি নাড্ডা। রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে লোকসভায় মিথ্যা কথন এবং হিন্দু বিদ্বেষের অভিযোগ করেছেন নাড্ডা। রাহুল সম্প্রকে সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লিখেছেন, “প্রথম দিনই সবচেয়ে খারাপ শো! রাহুল গান্ধীজি সংসদে থাকার অর্থ মিথ্যা এবং হিন্দু বিদ্বেষ। তৃতীয়বার ব্যর্থ বিরোধী দলনেতার উত্তেজিত, ত্রুটিপূর্ণ যুক্তি দেওয়ার দক্ষতা রয়েছে। তাঁর আজকের বক্তৃতাতে স্পষ্ট, তিনি ২০২৪ সালের জনাদেশ (তাঁর টানা তৃতীয় পরাজয়) বুঝতে পারেননি এবং তাঁর বিনয় বলে কিছু নেই।”

এদিন, বিজেপির বিরুদ্ধে নির্বাচনী লাভের জন্য রাজনীতির সঙ্গে ধর্মকে মিশ্রিত করার অভিযোগ করেন রাহুল গান্ধী। তিনি বলেন, “যারা নিজেদের হিন্দু বলেন, তাঁরা প্রতিনিয়ত হিংসা, ঘৃণা আর অসত্যের প্রচার করে।” রাহুলের স্পষ্ট ইঙ্গিত ছিল বিজেপি এবং আরএসএস-এর প্রতি। বিজেপি এবং আরএসএস – সত্যিকারের হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্ব করে না বলে দাবি করেন তিনি। তবে, বিজেপি নেতারা একযোগে অভিযোগ করেছেন, বৃহত্তর হিন্দু সম্প্রদায়ের কথাই বলতে চেয়েছেন রাহুল গান্ধী। হিন্দু সম্প্রদায়কে তিনি অপমান করেছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে। এই প্রসঙ্গে, সোশ্যাল মিডিয়ায় রাহুলের বক্তৃতার একটি ছোট্ট অংশ তুলে ধরে বিজেপি সভাপতি বলেছেন, “তাদের হিংস্র বলার জন্য সমস্ত হিন্দুদের কাছে অবিলম্বে ক্ষমা চাইতে হবে রাহুল গান্ধীজিকে। এই একই ব্যক্তি বিদেশী কূটনীতিকদের বলছিলেন, হিন্দুরা সন্ত্রাসবাদী। হিন্দুদের প্রতি এই অন্তর্নিহিত ঘৃণা বন্ধ করা উচিত।”


রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লাকে অপমান করার অভিযোগও করেছেন জেপি নাড্ডা। এদিন রাহুল ওম বিড়লাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে হাত মোলানোর সময়, তিনি তাঁর সামনে মাথা ঝুঁকিয়েছিলেন। মোদী সরকারের প্রতি তিনি তাঁর আনুগত্য স্পষ্ট কর দিয়েছেন। ওম বিড়লা অবশ্য জানান, ভারতীয় সংস্কৃতি মেনেই তিনি মাথা ঝুঁকিয়েছেন। এই প্রসঙ্গে নাড্ডা লিখেছেন, “বিরোধী দলনেতা এখন ৫ বারের সাংসদ। কিন্তু, তিনি সংসদীয় রীতিনীতি কিছুই শেখেননি এবং তিনি সভ্যতা-ভদ্রতাও বোঝেন না। বারবার তিনি তাঁর বক্তৃতার মান নামিয়ে দেন। আজ চেয়ারের প্রতি তাঁর বক্তব্য অত্যন্ত খারাপ ছিল। তাঁর সততা এবং ব্যক্তিত্বের উপর অপ্রমাণিত অভিযোগ করার জন্য চেয়ারের কাছে তাঁর ক্ষমা চাওয়া উচিত।”


এদিন কৃষকদের ন্যুনতম সমর্থন মূল্য এবং অগ্নিবীর প্রকল্প নিয়েও সরকারকে আক্রমণ করেছেন রাহুল। যদিও, লোকসভা কক্ষেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শিবারাজ সিং চৌহান প্রতিবাদ করেন। তিনি জানান, ইউপিএ সরকারের আমলে কৃষকরা যে এমএসপি পেতেন, মোদী সরকার তার থেকে অনেক বেশি এমএসপি দেয় কৃষকদের। যদিও এমএসপি-র আইনি গ্যারান্টির যে দাবি কৃষকরা তুলেছেন, সেই বিষয়ে কোনও কথা বলেননি শিবরাজ সিং চৌহান। এই প্রসঙ্গে শিবরাজের জবাবের অংশের ভিডিয়ো ক্লিপ পোস্ট করে নাড্ডা লিখেছেন, “বিরোধী দলনেতা আমাদের পরিশ্রমী কৃষক এবং সাহসী সশস্ত্র বাহিনী সম্পর্কে নির্লজ্জভাবে মিথ্যা বলেছেন। এমএসপি এবং অগ্নিবীরের মিথ্যা দাবিগুলি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা যথাযথভাবে যাচাই করেছেন। তাঁর নিজের সস্তা রাজনীতির জন্য, তিনি আমাদের কৃষকদের এবং নিরাপত্তা বাহিনীকেও রেহাই দেবেন না।”

আরও এক সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে জেপি নাড্ডা লিখেছেন, “রাষ্ট্রপতির বক্তৃতা নিয়ে আলোচনায় স্বাস্থ্যকর বিতর্ক হওয়া উচিত। বিরোধীরা, নিজেদের বিজয়ী বলে ভেবে নিয়ে ধ্বংসাত্মক আলোচনা করে চলেছে, গঠনমূলক নয়। গত ৬০ বছরে কখনও কোনও বিরোধী দলকে পরপর ৩ বার প্রত্যাখ্যান করা হয়নি। তারা যেভাবে চলছে, তাতে আগামী দিনে তারা নিজেদের রেকর্ডই ভেঙে দেবে।” শুধু জেপি নাড্ডা নয়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ এবং রাজনাথ সিংয়ের মতো বিজেপি নেতারাও রাহুল গান্ধীর বক্তৃতায় তীব্র প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন।