Prashant Kishor: ২০০ আসনও কি পাবে না? উত্তর ও পশ্চিমে BJP-র ফল নিয়ে বড় ভবিষ্যদ্বাণী পিকের
Prashant Kishor on BJP's result: চার দফা ভোটের পর ইন্ডিয়া জোটের নেতারা বলতে শুরু করেছেন, ৪০০ পার তো অনেক দূর, ৩০০ পারও হয়তো হবে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তো দাবি করেছেন এনডিএ ১৯৫ আসনে আটকে যাবে। সত্যিই কি গত কয়েকদিনে এতটা বদলে গিয়েছে ভারতের রাজনৈতিক পরিস্থিতি? কী বলছেন প্রশান্ত কিশোর?

নয়া দিল্লি: লোকসভা নির্বাচন ২০২৪ শুরু হয়েছিল বিজেপির ‘আব কি বার, ৪০০ পার’ স্লোগান দিয়ে। ইতিমধ্যে ৪ দফা নির্বাচন হয়ে গিয়েছে। ভোট দিয়ে দিয়েছেন প্রায় ৪০০ লোকসভা কেন্দ্রের মানুষ। চার দফাতেই দেখা গিয়েছে, ভোটদানের হার বেশ কম। বিরোধীরা বলছেন, মানুষের মধ্যে মোদীকে ভোট দেওয়ার যে উৎসাহ ২০১৪ বা ২০১৯-এ দেখা গিয়েছিল, তা এবার উধাও। চার দফা ভোটের পর ইন্ডিয়া জোটের নেতারা বলতে শুরু করেছেন, ৪০০ পার তো অনেক দূর, ৩০০ পারও হয়তো হবে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তো দাবি করেছেন এনডিএ ১৯৫ আসনে আটকে যাবে। সত্যিই কি গত কয়েকদিনে এতটা বদলে গিয়েছে ভারতের রাজনৈতিক পরিস্থিতি? ৪০০ পারের স্লোগান দিয়ে ২০০ আসন পাবে বিজেপি? কী বলছেন প্রাক্তন ভোটকুশলী তথা রাজনৈতিক বিশ্লেষক প্রশান্ত কিশোর?
বহু ভোট দেখেছেন প্রশান্ত কিশোর। বিভিন্ন দলের নেতাদের জিততে সাহায্য করেছেন। জমির সঙ্গেও তাঁর যথেষ্ট যোগাযোগ রয়েছে। এক সাম্প্রতিক সাক্ষাত্কারে তিনি জানিয়েছেন, ৪০০ পার করার সম্ভাবনা নেই বিজেপি তথা এনডিএ-র। তাঁর মতে, এটা শুধুমাত্র বিজেপির একটা মনস্তাত্বিক খেলা ছিল। এই স্লোগান দেওয়ার সময়, তারা নিজেরাও জানত ৪০০ পার সম্ভব নয়। তবে, তার মানে এই নয় যে বিজেপি ২০০ আসনে নেমে যাবে। কারণ, প্রশান্ত কিশোরের মতে, উত্তর ও পশ্চিম ভারতে বিজেপির আসন সংখ্যা কমার বিশেষ কোনও সম্ভাবনা নেই। তাই, বিজেপির আসন সংখ্যায় কোনও অর্থবহ পতন ঘটবে না। ২০১৯-এর মতোই চলমান লোকসভা নির্বাচনে ৩০০ আসনের আশপাশে আসন পাবে বিজেপি।
পিকের ভবিষ্যদ্বাণী অনুসারে, উত্তর ও পশ্চিমে বিজেপির ন্যূনতম ক্ষতির পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা, তেলঙ্গানা, তামিলনাড়ু এবং অন্ধ্র প্রদেশে আগের থেকে বেশি আসন পেতে চলেছে বিজেপি। এক সর্বভারতীয় টিভি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পিকে বলছেন, “সমস্ত ভাষ্য এবং বিতর্কের পরও, আমি উত্তর ও পশ্চিম ভারতে বিজেপির আসন সংখ্যা কোনও অর্থবহ পতন দেখতে পাচ্ছি না। দক্ষিণ এবং পূর্বে, বিজেপির ভোট এবং আসন বাড়বে। এই দুই আসন সংখ্যা যোগ করলে, এখন বিজেপির আসন সংখ্যা প্রায় ৩০০ হবে। আমি কোন বড় ইতিবাচক বা নেতিবাচক পরিবর্তন দেখতে পাচ্ছি না ।”
কিন্তু, ৪০০ পার কেন হবে না? পিকের মতে, এটা কখনই হওয়ার ছিল না। তিনি বলেছেন, “সংসদে প্রথমবার মোদীজি বলেছিলেন, বিজেপি ৩৭০ আসন এবং এনডিএ ৪০০ আসন ছাড়িয়ে যাবে। তারপর থেকে নির্বাচন শুরু হওয়া পর্যন্ত, বেশ কয়েক মাস ধরে, সবাই বিজেপি ৪০০ পাচ্ছে কি পাচ্ছে না, তাই নিয়ে আলোচনায় ব্যস্ত ছিল। তিনি জিতবেন না হারবেন, সেই প্রশ্ন কেউ করেনি। এইভাবে বিরোধীদের উপর মনঃস্তাত্বিক চাপ তৈরি করা হয়েছিল। তবে, গেরুয়া শিবির ২০০ আসনে নেমে যাবে না। এটা ঘটতে হলে, উত্তর ও পশ্চিমে বিজেপিকে অন্তত ১০০টি আসন হারাতে হবে। জমিতে এতটা চমকপ্রদ কোনও পরিবর্তন ঘটেনি।”





