UP Police: গান বাজিয়ে পাকিস্তানের জয়জয়কার, স্থানীয় যুবকের আপত্তিতে কড়া পদক্ষেপ করল পুলিশ
Uttar Pradesh: পুলিশ সূত্রে খবর, ওই দুই ব্যক্তি যখন পাকিস্তানের প্রশংসামূলক গান মোবাইলে চালিয়েছিলেন, তখন আশিস তাদের বাধা দেন। কিন্তু সেই সময়ই তারা আশিসের সঙ্গে বাগ বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন।
বরেলি: পাকিস্তানে রাজনৈতিক পরিস্থিতি উত্তপ্ত, ইতিমধ্যেই ইমরান খানকে (Imran Khan) প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। নয়া প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শাহবাজ শরিফ (Shahbaz Sharif) শপথ নিয়েছেন। প্রতিবেশি দেশ পাকিস্তানের পরিস্থিতির ওপর শুরু থেকেই নজর রাখছিল ভারত। পাকিস্তানের এই রাজনৈতিক উত্তাপের মধ্যেই উত্তর প্রদেশে এমন এক কাণ্ড ঘটল, তাতে অনেকেই অবাক হয়ে গিয়েছেন। মারাত্মক কারণে উত্তর প্রদেশের বরেলি থেকে ২ ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলেই জানা গিয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মোবাইল ফোনে পাকিস্তানের প্রশংসামূলক গান চালানোর অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার ওই দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করার পর এমনটাই জানিয়েছে পুলিশ। বরেলি জেলার ভুটা এলাকার সিংহাই মুরাওয়ান গ্রামের ওই দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে বুধবারই পাকিস্তানের গান বাজানোর অভিযোগ উঠেছিল। আশিস নামের ওই গ্রামের এক বাসিন্দা ওই দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে পাকিস্তানের প্রশংসামূলক গান বাজানোর জন্য স্থানীয় থানায় এফআইআর করেন।
পুলিশ সূত্রে খবর, ওই দুই ব্যক্তি যখন পাকিস্তানের প্রশংসামূলক গান মোবাইলে চালিয়েছিলেন, তখন আশিস তাদের বাধা দেন। কিন্তু সেই সময়ই তারা আশিসের সঙ্গে বাগ বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। অভিযোগকারী ঘটনার মুহূর্তের ভিডিয়ো নিজের টুইটারেও আপলোড করেছিলেন। পুলিশে কাজে নিজের অভিযোগের সঙ্গে সঙ্গে ওই ভিডিয়োটিও জমা দিয়েছিলেন আশিস। পুলিশকে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করেন। বরেলির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) রাজকুমার আগরওয়াল জানিয়েছেন, অভিযোগের ভিত্তিতে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। এবং এই ঘটনার তদন্ত চলছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ড বিধির ১৫৩ ধারায় জাতীয় সংহতি ভঙ্গের অভিযোগে মামলা করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত পাকিস্তানের রাজনৈতিক পরিস্থিতি উত্তপ্ত। পাকিস্তানের বিশ্বকাপ জয়ী প্রাক্তন অধিনায়ক ইমরান খানকে কয়েকদিন আগেই প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। পাকিস্তান সেনার মদতে ইমরানে বিরুদ্ধে সব বিরোধী দলগুলি একত্রিত হয়েছিল। গদি বাঁচাতে চেষ্টার কোনও ত্রুটি রাখেননি ইমরান। অনাস্থা ভোট বন্ধ করে দেওয়ার চেষ্টা করেন তিনি। কিন্তু শেষমেশ সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপে মাঝরাতে অনাস্থা ভোট হয় এবং পাকিস্তানের মসনদ থেকে ইমরানকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল।