ফাঁস ৬৫ পাতার গোপন নথি, প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তদন্তে নিজেদের অফিসারকেই গ্রেফতার করল সিবিআই!
Anil Deshmukh Extortion Case: সম্প্রতিই ৬৫ পাতার সিবিআইয়ের গোপন নথি ফাঁস করে বিভিন্ন বড় সংবাদ সংস্থার কাছে পাঠানো হয়। সেখানে অনিল দেশমুখের বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলে দাবি করা হয়েছে।
মুম্বই: প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তদন্ত করতে নেমে নিজেদের আধিকারিককেই গ্রেফতার করল সিবিআই (CBI)। গোপন নথি ফাঁস করে দেওয়ার অবভিযোগে ওই অফিসারকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিষেক তিওয়ারি নামক সিবিআইয়ের সাব ইন্সপেক্টর ব়্যাঙ্কের এক অফিসারকে বুধবার গ্রেফতার করা হয়। সূত্রের দাবি, অনিল দেশমুখ(Anil Deshmukh)-র আইনজীবীর সঙ্গে তাঁর নিয়মিত যোগাযোগ ছিল। এছাড়াও অনিল দেশমুখ ঘনিষ্ট একাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে বেআইনিভাবে অর্থ ও অন্যান্য সাহায্য নিয়েছেন। ওই সাব ইন্সপেক্টরের দিল্লি ও প্রয়াগরাজের বাড়িতেও তল্লাশি চালানো হয়েছে।
বুধবার ওই আইনজীবীকেও আটক করা হয়েছে। মুম্বইয়ে অনিল দেশমুখের যে বাড়ি রয়েছে, সেখান থেকেই তাঁকে আটক করা হয়। বর্তমানে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। সিবিআইয়ের মুখপাত্র আরসি জোশী বলেন, “বেআইনিভাবে টাকা আদায় সহ একাধিক অভিযোেগের ভিত্তিতে সিবিআই এক সাব ইন্সপেক্টর ও নাগপুরের এক আইনজীবীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। বুধবার অভিযুক্ত সাব ইন্সপেক্টরকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং আইনজীবীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।”
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে শিল্পপতি মুকেশ অম্বানী(Mukesh Ambani)-র বাড়ির সামনে বোমাতঙ্কের ঘটনা থেকে সূত্রপাত হয় গোটা বিষয়ের। তদন্ত প্রভাবিত হতে পারে, এই অভিযোগে পুলিশ কমিশনার পদ থেকে পরমবীর সিংকে সরিয়ে দেন মহারাষ্ট্রের তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখ (Anil Deshmukh)। এরপরই মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে (Uddhav Thackeray)-র কাছে ছয় পাতার চিঠি লিখে পরমবীর সিংয়ের বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগ আনেন পরমবীর সিং। অভিযোগ করেন, প্রতি মাসে ১০০ কোটি টাকা তোলাবাজির লক্ষ্যমাত্রা দিতেন তিনি। তাঁর সঙ্গে অম্বানী কাণ্ডে জড়িত পুলিশ অফিসার সচিন ভাজ়ে এই তোলাবাজির কাজটি সামলাতেন।
সরকার বনাম প্রাক্তন পুলিশকর্তার বিবাদ গড়ায় হাইকোর্ট-সুপ্রিম কোর্ট অবধি। অবশেষে অনিল দেশমুখের বিরুদ্ধে তোলাবাজি কাণ্ডের তদন্তভার নেয় সিবিআই ও ইডি। হাজিরার জন্য ইডির তরফে একাধিকবার সমন জারি করা হলেও এখনও অবধি হাজিরা দেননি মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখ।
সম্প্রতিই ৬৫ পাতার সিবিআইয়ের গোপন নথি ফাঁস করে বিভিন্ন বড় সংবাদ সংস্থার কাছে পাঠানো হয়। সেখানে অনিল দেশমুখের বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি এবং সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে যে প্রাথমিক তদন্ত শুরু করা হয়েছিল, তাও বন্ধ করে দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। আরও পড়ুন: জনজাতির অনুরোধেই সায়, অসমের জাতীয় উদ্যান থেকেও বাদ পড়ল রাজীব গান্ধীর নাম!