G Kishan Reddy : কেন্দ্রের কোটি টাকা কেন দেওয়া হচ্ছে না কৃষকদের? চন্দ্রশেখরের কাছে প্রশ্ন জি কিষাণের

G Kishan Reddy : তেলেঙ্গনায় প্রধানমন্ত্রী ফসল বিমা যোজনা বন্ধ হয়ে যাওয়া নিয়েও তোপ দেগেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। দুষেছেন তেলেঙ্গনার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাওকে।

G Kishan Reddy : কেন্দ্রের কোটি টাকা কেন দেওয়া হচ্ছে না কৃষকদের? চন্দ্রশেখরের কাছে প্রশ্ন জি কিষাণের
জি কিষাণ রেড্ডি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 27, 2023 | 1:58 PM

তেলেঙ্গনা : গোড়া থেকেই কেন্দ্রের বঞ্চনার স্বীকারের অভিযোগ করে আসছে তেলেঙ্গানা সরকার। অনাবৃষ্টির জেরে ফসলের বিপুল ক্ষতি হওয়ার সম্মুখে কৃষকরা। অথচ ক্ষতিপূরণের বরাদ্দ টাকা কেন্দ্র পাঠায়নি বলে অভিযোগ তোলে বিআরএস (ভারত রাষ্ট্রীয় সমিতি) সরকার। তবে, এই সব অভিযোগ নস্যাৎ করে কেন্দ্রী মন্ত্রী জি কিষাণ রেড্ডি Union Minister G Kishan Reddy) দাবি করেছেন, ২০১৪ সাল থেকে ক্ষতিপূরণ বাবদ বরাদ্দ হয়েছে প্রায় ৩ হাজার ৭০ কোটি টাকা। যা নাকি কৃষকদের হাতেই পৌঁছয়নি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর আরও দাবি, গোটা টাকাটাই দেওয়া হয়েছে রাজ্য ও জাতীয় বিপর্যয় তহবিল মারফত

ইতিমধ্যে মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও কৃষকদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। যদিও সেই টাকা দেওয়া হবে রাজ্যের বিপর্যয় তহবিল থেকে। জি কিষাণ রেড্ডির দাবি এই টাকার ৭৫ শতাংশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু, বিআরএসের নেতারা তা প্রকাশ্যে স্বীকার করতে ভয় পাচ্ছেন। অপমান করছেন দিল্লিকে। একইসঙ্গে তেলেঙ্গনায় প্রধানমন্ত্রী ফসল বিমা যোজনা বন্ধ হয়ে যাওয়া নিয়েও তোপ দেগেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। 

এ প্রসঙ্গে চাঁচাছোলা ভাষায় তোপ দেগে কিষাণ রেড্ডি বলেছেন, রাজনৈতিক কারণেই রাজ্যে প্রধানমন্ত্রী ফসল বিমা যোজনা বন্ধ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু, তার পরিবর্তে অন্য কোনও প্রকল্পও এখনও আনতে পারেননি। তাঁর এই রাজনৈতিক বৈরিতার খেসারত দিতে হচ্ছে অসহায় কৃষকদের। পাচ্ছেন না প্রাপ্য ক্ষতিপূরণ। তাঁর দাবি, আজ যদি সঠিকভাবে এই প্রকল্পের বাস্তবায়ন হত তাহলে এই কষ্টের দিন কাটাতে হত না তেলেঙ্গনার কৃষকদের। তাঁর এ মন্তব্য সামনে আসতেই তা নিয়ে চাপানউতর শুরু হয়ে গিয়েছে রাজ্যের রাজনৈতিক মহলে। 

যদিও এ প্রসঙ্গে এখনও চন্দ্রশেখর শিবিরের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। জি কিষাণ রেড্ডির দাবি, খারাপ সময়ে কৃষকদের পাশে দাঁড়ানো রাজ্যের দায়িত্ব। সেই দায়িত্ব পালন থেকে কখনও পিছুপা হতে পারে না রাজ্য সরকার। রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা তহবিলে এখনও পর্যন্ত ৬০৮ কোটি টাকারও বেশি রয়েছে বলে দাবি তাঁর। সেই টাকা যত দ্রুত সম্ভব তুলে দিতে হবে কৃষকদের হাতে।