BJP Meeting: ১২টি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রকের দাবি নাইডু-নীতীশের, বৈঠকে নাড্ডা-শাহ-রাজনাথ

BJP: মন্ত্রক বন্টনের বিষয়ে শরিকদের মন রাখার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাকে। এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে বৃহস্পতিবার দুপুরে নাড্ডার বাসভবনে বৈঠকে বসেছে বিজেপির থিঙ্ক ট্যাঙ্ক, যেখানে রয়েছেন রাজনাথ সিং এবং অমিত শাহ। 

BJP Meeting: ১২টি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রকের দাবি নাইডু-নীতীশের, বৈঠকে নাড্ডা-শাহ-রাজনাথ
বৈঠকে জেপি নাড্ডা ও অমিত শাহ। ফাইল ছবি।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 06, 2024 | 5:20 PM

নয়া দিল্লি: শ্যাম রাখি না কূল রাখি! একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা মেলেনি বিজেপির। স্বাভাবিকভাবেই সরকার গড়ার জন্য শরিক দলগুলির উপর নির্ভর করতে হচ্ছে বিজেপিকে। আর এখানেই দেখা দিয়েছে গেরো। সময় যত এগোচ্ছে, ততই বাড়ছে দাবি। এনডিএ সরকার গড়ার অন্যতম দুই শরিক চন্দ্রবাবু নাইডু ও নীতীশ কুমার ইতিমধ্যে একাধিক মন্ত্রকের দাবি জানিয়েছে। পিছিয়ে নেই JD(S)-এর চিরাগ পাসওয়ান এবং RLD-র জয়ন্ত চৌধুরীও। স্বাভাবিকভাবেই শরিকদের মন রাখতে গিয়ে এবার মন্ত্রিসভায় বাংলার মুখ কমবে বলেই সূত্রের খবর। তবে শরিকদের মন রেখে মন্ত্রক বন্টনের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বসেছে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব।

জানা গিয়েছে, মন্ত্রক বন্টনের বিষয়ে শরিকদের মন রাখার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাকে। এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে বৃহস্পতিবার দুপুরে নাড্ডার বাসভবনে বৈঠকে বসেছে বিজেপির থিঙ্ক ট্যাঙ্ক, যেখানে রয়েছেন রাজনাথ সিং এবং অমিত শাহ।

সূত্রের খবর, স্পিকার পদের পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ ৮টি মন্ত্রকের দাবি জানিয়েছেন TDP নেতা চন্দ্রবাবু নাইডু। যার মধ্যে রয়েছে, অর্থ, সড়ক ও পরিবহণ, প্রতিরক্ষা, কৃষি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য-প্রযুক্তি, গ্রামোন্নয়ন ও নগরোন্নয়ন। আর জেডিইউ নেতা নীতিশ কুমারের দাবি রেল, জলশক্তি, সড়ক ও পরিবহণ এবং গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক। আবার চিরাগ পাসওয়ানের দাবি খাদ্য ও সরবরাহ মন্ত্রক, জেডি (এস)-এর কুমারস্বামী চেয়েছেন কৃষি মন্ত্রক। আবার ৭টি আসন নিয়ে একনাথ শিন্ডের শিবসেনা চেয়েছে ৩টি পূর্ণমন্ত্রী ও ২টি রাষ্ট্রমন্ত্রীর পদ। সবমিলিয়ে, এখন শ্যাম রাখি না কূল রাখি অবস্থা বিজেপির।

শরিকদের সমস্ত দাবি রাখা সম্ভব না হলেও তাদের মন রাখার তাগিদ রয়েছে বিজেপির। যার প্রভাব পড়তে পারে বাংলায়। ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে বাংলা থেকে ১৯টি আসন পেয়েছিল বিজেপি। এবার বাংলায় আসন সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ১২। কেবল বাংলা নয়, গো-বলয়ের প্রধান কেন্দ্র উত্তর প্রদেশ থেকে রাজস্থান, এমনকি মহারাষ্ট্রেও বিজেপি খারাপ ফল করেছে। যার ফলে ২৪০ আসনেই থেমে যেতে হয়েছে বিজেপিকে। এর তার প্রভাব যে বাংলাতেও পড়বে, তা বলা বাহুল্য।