AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

ভারতের বিরুদ্ধে ‘জলবোমা’ তৈরি করছে চিন, নতুন ফন্দি জিনপিংয়ের

ব্রহ্মপুত্রে সেই অতিকায় বাঁধ তৈরি হলে নদের জল থাকবে চিনের (China) নিয়ন্ত্রণে। লকগেটের রিমোর্ট তৈরির ফন্দি এঁটেছে চিন।

ভারতের বিরুদ্ধে 'জলবোমা' তৈরি করছে চিন, নতুন ফন্দি জিনপিংয়ের
গ্রাফিক্স-অভিজিৎ বিশ্বাস
| Updated on: Mar 02, 2021 | 3:26 PM
Share

লাদাখ: প্যাংগং থেকে সেনা সরিয়ে নিয়েছে ভারত (India) ও চিন (China)। তবে সীমান্তে উত্তেজনা সম্পূর্ণ কমেনি। দেসপাং-সহ বিভিন্ন অঞ্চলে এখনও সম্পূর্ণ সেনা প্রত্যাহার হয়নি দুই দেশের মধ্যে। তবে একদিকে যখন চিন সমঝোতার কথা বলছে, তখনই অন্যদিকে প্রকাশ্যে আসছে ভারতের বিরুদ্ধে শি জিনপিংয়ের (Xi Jinping) ফন্দিফিকির। সেনা প্রত্যাহারের মাঝেই ব্রহ্মপুত্রে অতিকায় বাঁধ দিচ্ছে চিন। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে এমনই প্রকাণ্ড বাঁধ তৈরির কাজ করেছে জিনপিং প্রশাসন। সেখানে লকগেট তৈরি করে ভারতকে বেকায়দায় ফেলতে চাইছে ড্রাগন। এমনটাই মত বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশের।

ব্রহ্মপুত্রে সেই অতিকায় বাঁধ তৈরি হলে নদের জল থাকবে চিনের নিয়ন্ত্রণে। লকগেটের রিমোর্ট তৈরির ফন্দি এঁটেছে চিন। যার ফলে লকগেটের রিমোর্টের মাধ্যমে ভারতকে ভাসিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা থাকবে জিনপিংয়ের হাতে। বেজিং যখন খুশি বন্যা তৈরি করতে পারবে। জল আটকে তৈরি করতে পারবে খরাও। সে জন্যই ব্রহ্মপুত্রর বুকে পাঁচিল তৈরি করছে চিন।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চিনের জলবিদ্যুৎ উৎপাদন করার কথা, স্রেফ অজুহাত ছাড়া আর কিছুই নয়। সেই অজুহাতের উপর ভর করেই ভারতকে বিপাকে ফেলার রাস্তা প্রশস্ত করছে ড্রাগন। চিনের এই বাঁধের ফলে প্রভাবিত হতে পারে ভারতের সমগ্র উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও বাংলাদেশও। মানস সরোবর থেকে উৎপত্তি ইয়ারলুং সাংপো নদীর, যা অরুণাচল প্রদেশ দিয়ে ভারতে ঢোকে। অরুণাচল প্রদেশে একে সিয়াং নদী বলে, অসমে এই নদী হয়ে যায় ব্রহ্মপুত্র নদ। বাংলাদেশে এই নদীকে বলে যমুনা।

ব্রহ্মপুত্রের উপর বাঁধ তৈরি ছাড়াও নদের গতিপথ পরিবর্তনের চেষ্টা করছে চিন। এর আগেও তিব্বতের একাধিক নদীতে বাঁধ দিয়েছে বেজিং। এই বাঁধের মাধ্যমে প্রকৃতির ভারসাম্য বিঘ্নিত করছে জিনপিং প্রশাসন, এমনটাও মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। তবে চিনের বিদেশমন্ত্রকের সাফ কথা, বিকল্প জলবিদ্যুৎ শক্তি উৎপাদন করতেই এই পদক্ষেপ। যদিও বিশেষজ্ঞদের দাবি, আসলে এই বাঁধ ভারতের জন্য জলকবর। তবে প্রকৃতি বিঘ্নিত হলে তার মাশুলও দিতে হবে চিনকেও।

আরও পড়ুন: করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের মুখে পাকিস্তান, চিন্তায় চিকিৎসকরা