‘আম খান, আমজনতাকে ছেড়ে দিন’, নতুন ভঙ্গিতে নমোকে আক্রমণ রাহুলের

সম্প্রতি মহারাষ্ট্র সহ একাধিক রাজ্য করোনা টিকার ঘাটতি নিয়ে কেন্দ্রের কাছে অভিযোগ জানালে সেই ইস্যুতেও সরব হন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি। এ দিন ফের একবার করোনা থেকে কৃষক আন্দোলন-সবকিছু নিয়েই প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ করেন রাহুল গান্ধী(Rahul Gandhi)।

'আম খান, আমজনতাকে ছেড়ে দিন', নতুন ভঙ্গিতে নমোকে আক্রমণ রাহুলের
ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Updated on: Apr 11, 2021 | 5:26 PM

নয়া দিল্লি: চিঠি লিখেই ক্ষান্ত হননি, এ বার টুইটেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আক্রমণ করলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর টিকা উৎসবের জবাবে রাহুল গান্ধী বলেছিলেন, “এটা কোনও উৎসবে সময় নয়। পরিস্থিতি অত্যন্ত উদ্বেগজনক।” এ দিন সকালে ফের একবার করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি থেকে শুরু করে কৃষকদের সমস্যা, সবকিছু নিয়েই প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ করলেন রাহুল গান্ধী।

একই টুইটে দেশের করোনার ভয়াবহ পরিস্থিতি, ভ্যাকসিনের ঘাটতি, বেকারত্ব, কৃষক-মজদুরদের সমস্যা- সবকিছু নিয়ে আক্রমণ করেন। তিনি টুইটে বলেন, “করোনায় নিয়ন্ত্রণ নেই, পর্যাপ্ত ভ্যাকসিনও নেই, রোজগারের কোনও ব্যবস্থা নেই, কিষাণ-মজদুরদের কথা শোনা হয় না। এমএসএমই সুরক্ষিত নয়, মধ্যবিত্ত মানুষও সন্তুষ্ট নয়। আম খাওয়া অবধি ঠিক ছিল, কিন্তু আমজনতাকে তো ছেড়ে দিন।”

চিনের অনুপ্রবেশ থেকে শুরু করে অপরিকল্পিত লকডাউনের কারণে দেশের অর্থনীতির ক্ষতি- বিভিন্ন সময়ে প্রধানমন্ত্রীকে নানা ইস্যুতে বিঁধেছেন রাহুল গান্ধী। গত বছরের নভেম্বর মাস থেকে চলা কৃষক আন্দোলনেও তিনি সমর্থন জানিয়ে কেন্দ্রের তিন কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছিলেন।

সম্প্রতি মহারাষ্ট্র সহ একাধিক রাজ্য করোনা টিকার ঘাটতি নিয়ে কেন্দ্রের কাছে অভিযোগ জানালে সেই ইস্যুতেও সরব হন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি। তাঁর অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রীর অপরিকল্পিত পদক্ষেপের কারণেই দেশে ভ্যাকসিনের ঘাটতি দেখা গিয়েছে। বিদেশে রফতানির আগে প্রথমে দেশে টিকা দেওয়া উচিত ছিল। এই বিষয়ে অভিযোগ জানিয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রীকে চিঠিও লিখেছিলেন।

যদিও কেন্দ্রের তরফে সাফ জানানো হয়েছে, দেশে কোনও টিকার ঘাটতি সৃষ্টি হয়নি। নির্দিষ্ট কিছু রাজ্য সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতেই ভুয়ো অভিযোগ করছে। গতকালও তিনি টুইটে কেন্দ্রীয় সরকারকে আক্রমণ করে বলেন, “কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যর্থ নীতির কারণেই দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ এসেছে এবং ফের একবার পরিযায়ী শ্রমিকদের পালাতে বাধ্য করেছে। টিকাকরণ বাড়ানোর পাশাপাশি সাধারণ মানুষের হাতে টাকা দেওয়াও প্রয়োজন। কিন্তু অহংকারী সরকারের সাধারণ মানুষের সুবিধা নিয়ে অ্যালার্জি রয়েছে।”

আরও পড়ুন: জেলা ভিত্তিক নৈশ কার্ফু, দৈনিক ১ লাখ পরীক্ষা, করোনা নিয়ন্ত্রণে কঠোর যোগীরাজ্যও