‘মহিলা না হলে কলার ধরে টেনে আনতাম’, বেফাঁস মন্তব্যে ফের বিপাকে কংগ্রেস
সাব-ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেট পরিস্থিতি বোঝাতে চাইলেও কার্যত ধমক দিয়ে তাঁকে চুপ করানোর চেষ্টা করেন কংগ্রেস বিধায়ক। স্মারকলিপি জমা নিতে সময় লাগানোয় তিনি বলেন, "আপনি পুরুষ হলে কলার ধরে টেনে এনে স্মারকলিপি হাতে ধরাতাম।"
ভোপাল: মহিলাদের প্রতি একের পর এক বিদ্বেষমূলক মন্তব্যের ঠেলায় বিপাকে কংগ্রেস (Congress)। কদিন আগেই মহিলাদের বিয়ের বয়স বাড়ানো নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিতর্কের সৃষ্টি করেছিলেন এক কংগ্রেস নেতা। রবিবার দলের আরেক বিধায়কের মহিলা অফিসারকে প্রকাশ্যে হুমকি দেওয়ার ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই আরও বিপাকে পড়ল কংগ্রেস।
রবিবার মধ্য প্রদেশ (Madhya Pradesh)-র রতলাম জেলার সাইলানা শহরে কংগ্রেসের তরফ থেকে কৃষক আন্দোলন (Farmers Protest)-র সমর্থনে ও কেন্দ্রের তিন কৃষি আইনের বিরোধিতায় একটি ট্রাক্টর মিছিলের আয়োজন করা হয়। মিছিলের উদ্যোক্তা ছিলেন কংগ্রেস বিধায়ক হর্ষ বিজয় গেহলট (Harsh Vijay Gehlot)। এরপর জনতাকে সঙ্গে নিয়েই ওই বিধায়ক সাব-ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেটের অফিসে যান স্মারকলিপি জমা দিতে। কামিনী ঠাকুর (Kamini Thakur) অফিস থেকে বেরোতে সময় লাগানোয় ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন কংগ্রেস নেতা হর্ষ বিজয় গেহলট।
সাব-ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেট পরিস্থিতি বোঝাতে চাইলেও কার্যত ধমক দিয়ে তাঁকে চুপ করানোর চেষ্টা করেন কংগ্রেস বিধায়ক। স্মারকলিপি জমা নিতে সময় লাগানোয় আঙুল উঁচিয়ে তিনি বলেন, “আপনি পুরুষ হলে কলার ধরে টেনে এনে স্মারকলিপি হাতে ধরাতাম।”
আরও পড়ুন: প্রজাতন্ত্র দিবসে ট্রাক্টর মিছিলের ভাগ্য নির্ধারণ করবে দিল্লি পুলিসই, নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের
ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে, কংগ্রেস বিধায়ক হর্ষ বিজয় গেহলট সাব-ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেট কামিনী ঠাকুরকে বলছেন “আপনি একজন মহিলা। যদি পুরুষ হতেন, তবে কলার ধরে টেনে এনে হাতে স্মারকলিপি ধরাতাম।” এই ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই নেটমহলে সমালোচনার ঝড় ওঠে।
मध्यप्रदेश @INCMP @INCIndia विधायक हर्ष विजय गहलोत SDM कामिनी ठाकुर को सरेआम धमकी देते हुए कह रहे हैं कि आप महिला हैं, अगर आप महिला नहीं होती तो कॉलर पकड़ कर ज्ञापन देता @ndtv @ndtvindia @GargiRawat @RajputAditi pic.twitter.com/xFamVNucH6
— Anurag Dwary (@Anurag_Dwary) January 18, 2021
এর আগে গত সপ্তাহে বৃহস্পতিবারও মধ্য প্রদেশেরই আরেক কংগ্রেস নেতা সজ্জন সিং ভর্মা বলেছিলেন, “মহিলারা ১৫ বছর বয়সেই সন্তান ধারণে সক্ষম। তবে বিয়ের বয়স ১৮ থেকে বাড়িয়ে ২১ করার প্রয়োজন কী? ১৮ বছর হলেই মেয়েদের শ্বশুরবাড়ি চলে যাওয়া উচিত এবং সেখানেই খুশি থাকা উচিত।”
কংগ্রেস নেতার এই মন্তব্য ঘিরেও তুমুল বিতর্কের সৃষ্টি হয়। দল থেকে তাঁকে অপসারণের দাবি জানানো হয় বিজেপি (BJP)-র তরফে। এই বিষয়ে কোনও পদক্ষেপ করার আগেই জনগণের সামনেই একজন মহিলা সরকারি কর্মচারীকে অপমান করলেন আরেক নেতা হর্ষ বিজয় গেহলট।
আরও পড়ুন: ‘টিকা নিলে তবেই মিলবে বেতন’, চাপের মুখে প্রত্যাহার নির্দেশিকা