PM Modi at Rajasthan: ‘গ্যারান্টি ফর্মুলা’য় দেউলিয়া হবে দেশ, রাজস্থানে কংগ্রেসকে তুলোধোনা প্রধানমন্ত্রীর

PM Modi at Rajasthan: রাজস্থানের বিধানসভা নির্বাচন আর মাস পাঁচেক বাকি। বুধবার (৩১ মে), আজমেরে এক জনসভা থেকে ভোটের দামামা বাজিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রাজস্থানের কংগ্রেস সরকারকে তীব্র কটাক্ষ করে সরকারের স্থায়িত্ব নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিলেন তিনি।

PM Modi at Rajasthan: 'গ্যারান্টি ফর্মুলা'য় দেউলিয়া হবে দেশ, রাজস্থানে কংগ্রেসকে তুলোধোনা প্রধানমন্ত্রীর
আজমেরে জনসভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 01, 2023 | 1:34 PM

আজমের: রাজস্থানের বিধানসভা নির্বাচন আর মাস পাঁচেক বাকি। বুধবার (৩১ মে), আজমেরে এক জনসভা থেকে ভোটের দামামা বাজিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রাজস্থানের কংগ্রেস সরকারকে তীব্র কটাক্ষ করে সরকারের স্থায়িত্ব নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিলেন তিনি। একই সঙ্গে ‘গ্যারান্টি ফর্মুলা’ নিয়েও বিঁধলেন শতাব্দী প্রাচীন দলকে। সদ্য সমাপ্ত কর্নাটক বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যে গৃহলক্ষ্মী, যুব নিধি, অন্ন ভাগ্যের মতো দরিদ্র, যুবক এবং মহিলাদের জন্য মোট ৫টি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। মঙ্গলবারই সিদ্দারামাইয়া জানিয়েছেন, সবকটি প্রতিশ্রুতিই পূর্ণ করা হবে। একইদিনে আজমেরের সভায় কংগ্রেসের এই প্রতিশ্রুতির রাজনীতিরই কড়া সমালোচনা করলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “কংগ্রেস গ্যারান্টি দেওয়ার একটা নতুন ফর্মুলা বের করেছে। কিন্তু, সেগুলি পূরণ করছে কি তারা? তাদের গ্যারান্টির জেরে দেশ দেউলিয়া হয়ে যাবে।”

প্রধানমন্ত্রী জানান, পঞ্চাশ বছর আগে কংগ্রেস ‘গরিবি হটাও’-এর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু, সেই স্লোগান দিয়ে কংগ্রেস আসলে গরিব মানুষকে ধোঁকা দিয়েছিল বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। তিনি বলেন, “মানুষকে বিভ্রান্ত করা এবং বঞ্চিত করাই কংগ্রেসের নীতি। রাজস্থানের মানুষকেও এর জন্য ভুগতে হয়েছে। কী পেয়েছে রাজস্থান? এমন এক সরকার, যেখানে বিধায়ক, মুখ্যমন্ত্রী এবং মন্ত্রীরা নিজেদের মধ্যে বিবাদে লিপ্ত।”

সভা থেকে তিনি তাঁর সরকারের ৯ বছরের কাজের প্রচারও করেন। তিনি জানান, মানুষকে পরিষেবা দান, সুশাসন এবং গরিবের কল্যাণের জন্যই নিবেদিত তাঁর সরকার। তিনি আরও বলেন, অনেকেই তাঁর সরকারের কল্যাণমূলক কাজের তালিকা দেখে অবাক হয়ে যাচ্ছেন। প্রশ্ন করছেন, এত টাকা কোথা থেকে আসছে? কিন্তু, অর্থের সংস্থান কোনওদিনই সমস্যা ছিল না বলে দাবি করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি জানান, ২০১৪ সালের আগে দুর্নীতির বিরোধিতা করে রাস্তায় নেমেছিলেন মানুষ। কংগ্রেসের রিমোট কন্ট্রোল সরকারের সময় দেশের সব বড় শহরগুলিতে সন্ত্রাসবাদী হামলা হত। তিনি অভিযোগ করেন, কংগ্রেস আসলে এমন একটি দুর্নীতি ব্যবস্থা তৈরি করেছিল, যা দেশের রক্ত শুষে নিয়েছিল এবং উন্নয়নকে থমকে দিয়েছিল। সেই দুর্নীতিকে নিয়ন্ত্রণ করেই তিনি উন্নয়নের পথে নিয়ে চলেছেন দেশকে। বর্তমানে বিশেষজ্ঞরা বলছেন ভারত চরম দারিদ্র দূর করার খুব কাছে পৌঁছে গিয়েছে।

কিন্তু, দেশের এই অগ্রগতি কংগ্রেসের চক্ষুশূল বলে দাবি করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “ভারতের সাফল্য এই দেশের গুটিকয়েক মানুষের হজম হয় না। ভারত নতুন সংসদ ভবন পেল। আপনারা কি তার জন্য গর্বিত নন? কিন্তু, কংগ্রেস এবং এর মতো আরও কয়েকটি দল এতেও রাজনৈতিক কাদা ছুড়ছে। তারা ক্ষুব্ধ যে তাদের অহংকার সামনে একটা গরিবের ছেলে কীভাবে দাঁড়ায়? তারা ক্ষুব্ধ যে গরিবের ছেলে কেন তাদের স্বেচ্ছাচারিতায় বাধা দিচ্ছে? তারা ক্ষুব্ধ যে, একটা গরিবের ছেলে কেন তাদের দুর্নীতি ও বংশবাদ নিয়ে প্রশ্ন তুলছে?”