Coromandel Express Accident: ময়নাতদন্ত শেষ করাই মস্ত চ্যালেঞ্জ, নিদ্রাহীন রাত কাটছে AIIMS-এর চিকিৎসকদের

Sourav Dutta | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Jun 07, 2023 | 3:32 PM

Coromandel Express Accident: শনিবার মধ্যরাত থেকে যে চ্যালেঞ্জ নিয়ে কাজ করে চলেছেন ১১৮ জন চিকিত্‍সক-স্বাস্থ্যকর্মী। কেবল ভুবনেশ্বর এইমস নয়। রায়পুর, নাগপুর, দিল্লি থেকে অ্যানাটমি-ফরেনসিক বিভাগের ১৮ জন চিকিত্‍সকের আস্তানা এখন ভুবনেশ্বর এইমস।

Coromandel Express Accident: ময়নাতদন্ত শেষ করাই মস্ত চ্যালেঞ্জ, নিদ্রাহীন রাত কাটছে AIIMS-এর চিকিৎসকদের
ফাইল ছবি

Follow Us

বালেশ্বর: বালেশ্বরের ট্রেন দুর্ঘটনার পরে এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ মৃতদের ময়নাতদন্ত। শনিবার মধ্যরাত থেকে সেই চ্যালেঞ্জ নিয়ে কাজ করে চলেছেন ১১৮ জন চিকিত্‍সক-স্বাস্থ্যকর্মী। কেবল ভুবনেশ্বর এইমস নয়, রায়পুর, নাগপুর, দিল্লি থেকে অ্যানাটমি-ফরেনসিক বিভাগের ১৮ জন চিকিত্‍সকের আস্তানা এখন ভুবনেশ্বর এইমস। কেবল ১৬২ দেহের ময়নাতদন্তই নয়, দেহগুলিতে যাতে পচন না ধরে, তা নিশ্চিত করাও বড় চ্যালেঞ্জ চিকিৎসকদের কাছে। বিশেষ পদ্ধতি ব্যবহার করা হচ্ছে দেহ সংরক্ষণের ক্ষেত্রে।

পাশাপাশি একাধিক জনের মৃত্যু হয়েছে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে। তা অবশ্য খাতায় কলমে সংখ্যাটা নির্দিষ্ট করে বলা হয়নি। অসমর্থিত সূত্রে জানা যাচ্ছে, সেই সংখ্যাটা ৩৫। কিন্তু বাকি যে দেহগুলো রয়েছে, সেগুলিতেও পচন ধরার প্রবল সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। বালেশ্বরে এই মুহূর্তে ৪০ ডিগ্রি তাপমাত্রা। প্রচণ্ড গরম। এমনিতেই শরীরগুলোতে একাধিক ক্ষত রয়েছে। আর এত গরমে শরীরে পচন ধরাটা স্বাভাবিক, বলছেন চিকিৎসকরাই। আর সেটা রোখাই বড় চ্যালেঞ্জ তাঁদের কাছে।

TV9 নাইন বাংলায় এক্সক্লুসিভ সাক্ষাত্‍কার দিয়েছেন ভুবনেশ্বর এইমস-এর অ্যানাটমি বিভাগের সহকারি অধ্যাপক প্রভাসরঞ্জন ত্রিপাঠী। তিনি বলেন, “শনিবার রাত থেকে দেহ এখানে পৌঁছাতে শুরু করে। দেহগুলির অবস্থা প্রচণ্ড খারাপ ছিল। প্রাথমিকভাবে আমরা দেহগুলি সংরক্ষণের ব্যবস্থা গুরুত্ব দিয়ে করতে থাকি। অনেক দেহের এখনও শনাক্তকরণও হয়নি।”

সোমবার রেলের তরফে জানানো হয়েছিল, ২৭৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। তারপর আরও তথ্য খতিয়ে দেখে ওড়িশা সরকার জানিয়েছে, মৃতের সংখ্যা ২৮৮ জন। মঙ্গলবার টুইট করে এই সংখ্যা জানিয়েছেন ওড়িশার মুখ্যসচিব প্রদীপ জেনা। একইসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, মৃতদের মধ্যে ২০৫ জনের দেহ শনাক্ত করা গিয়েছে। এবং দেহগুলি পরিজনদের হাতেও তুলে দেওয়া হয়েছে। আর ৮৩ জনের দেহ এখনও শনাক্ত করা যায়নি।

Next Article