AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Covaxin: অক্টোবরেই কি ছাড়পত্র পাবে কোভ্যাকসিন! কী বলছে হু

COVAXIN, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ওয়েবসাইটে পাওয়া তথ্য থেকে জানতে পারা গিয়েছে অক্টোবর মাসেই এই ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে

Covaxin: অক্টোবরেই কি ছাড়পত্র পাবে কোভ্যাকসিন! কী বলছে হু
আগামী সপ্তাহেই অনুমোদন পেতে পারে কোভ্যাক্সিন। ফাইল চিত্র।
| Edited By: | Updated on: Sep 30, 2021 | 7:08 PM
Share

জেনিভা: দীর্ঘ দিনের প্রতিক্ষার অবসান কি এবার হতে পারে? ভারত বায়োটেক নির্মিত কোভ্য়াকসিন (Covaxin) কি আদায় করতে পারবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ছাড়পত্র? হু (WHO) সূত্রে খবর অক্টোবর মাসেই জরুরি ভিত্তিতে কোভ্যাকসিন ব্যবহারে বিষয়ে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। ইতিমধ্যেই জরুরি ভিত্তিতে এই ভ্যাকসিন ব্যবহারের অনুমতি চেয়ে গত ১৯ এপ্রিল, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কাছে এক্সপ্রেশন অব ইন্টারেস্ট জমা দিয়েছে টিকা নির্মাতা সংস্থা ভারত বায়োটেক (Bharat Biotech)।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ওয়েবসাইটে পাওয়া তথ্য থেকে জানতে পারা গিয়েছে অক্টোবর মাসেই এই ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। হু জানিয়েছে ৬ জুলাই থেকে এই টিকাকে ছাড়পত্র দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এখন কোভ্য়াকসিন সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য খতিয়ে দেখছে হু। খুব দ্রুতই অনুমোদন দেওয়ার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সূত্রে খবর, সংস্থাতে ছাড়পত্রের জন্য জমা পড়া কোনও কিছু বা জরুরি ভিত্তিতে ছাড়পত্র চেয়ে কোনও আবেদন জমা পড়লে, সেক্ষেত্রে চুড়ান্ত গোপনীয়তা বজায় রাখা হয়। ছাড়পত্র বা অনুমোদনের জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কাছে যদি কোনও পণ্য জমা পড়ে সেক্ষেত্রে সেই পণ্য অনুমোদনের বিষয়টি ক্রমান্বয়ে প্রকাশ করে হু। হু -এর মতে জরুরি ব্যবহার তালিকাভুক্তির প্রক্রিয়ার সময়কাল নির্ভর করে ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারকের জমা দেওয়া তথ্যের গুণমান এবং হু -এর মানদণ্ড পূরণকারী তথ্যের গুনমানের ওপর।

ভারতে এখনও অবধি ৬টি ভ্যাকসিন ছাড়পত্র পেয়েছে। তার মধ্যে অ্যাস্ট্রাজেনেকা ও অক্সফোর্ডের তৈরি কোভিশিল্ড (Covishield), ভারত বায়োটেকের কোভ্যাকসিন (Covaxin), রাশিয়ার স্পুটনিক (Sputnik V), মডার্নার তৈরি স্পাইকভ্যাকস্ (Spikevax) অন্যতম হলেও দেশে নাগরিকদের টিকাকরণের ক্ষেত্রে কোভিশিল্ড ও কোভ্যাকসিনই ব্যাপকভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। এমনকি দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরী কোভ্যাকসিনের বিশ্বাসযোগ্যতা প্রমাণের জন্যই এই টিকা নিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)।

সম্প্রতি ভারত বায়োটেকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ছাড়পত্র আদায়ের জন্য প্রয়োজনীয় যাবতীয় নথিপত্র জমা দেওয়া হয়েছে। টুইটে সংস্থাটি জানিয়েছিল “কোভ্য়াকসিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের (Vaccine Clinical Trial) তথ্য ২০২১ সালের জুন মাসে হু- এর কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। জুলাই মাসে জরুরি ভিত্তিতে টিকা ব্যবহারের করার আবেদন করা হয়েছে। হু- এর পক্ষ থেকে জানতে চাওয়া সব প্রশ্নের আমরা উত্তর দিয়েছি। এই টিকার ছাড়পত্রের জন্য আমরা আশাবাদী।”

ভারত বায়োটেক নির্মিত এই ভ্যাকসিন যদি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ছাড়পত্র পায়, তবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই ভ্যাকসিন রপ্তানি করতে পারবে । ভারতের বন্ধু দেশ গুলির নাগরিকদের ভ্যাকসিন প্রদান করার মাধ্যমে কূটনৈতিক সম্পর্ক মজবুত করাও সম্ভব হবে বলেই মত সংশ্লিষ্ট মহলের।

আরও পড়ুন Bangladesh: রোহিঙ্গা নেতাকে গুলি করে খুন, বাংলাদেশের উদ্বাস্তু ক্যাম্পে চাঞ্চল্য