India-China Discussion: ‘সেনা প্রত্যাহার করলে তবেই চিনে যাব’, জিনপিংয়ের মন্ত্রীকে সাফ জানালেন ডোভাল
Ajit Doval: বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গেও ওয়াই ইয়ের আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। সেই আলোচনায় প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা, আফগানিস্তান ইস্যু এবং ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ নিয়ে আলোচনা হতে পারে।
নয়া দিল্লি: শুক্রবার রাজধানী নয়া দিল্লিতে চিনা বিদেশমন্ত্রী ওয়াই ইয়ের (Chinese Foreign Minister Wang Yi) সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল (Ajit Doval)। চিনা বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার পর ডোভাল জানিয়েছেন, লাদাখ থেকে সেনা প্রত্যাহার হলেই উত্তেজনা কমবে। সেনা প্রত্যাহারের ওপর বিশেষ করে জোর দিয়েছেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা। দিনে সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে ওয়াই ই ও অজিত ডোভালের মধ্যে বৈঠক হয়েছিল। দুই দেশের বিভিন্ন আঞ্চলিক সমস্যা, এমনকি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়েও দু’দেশের শীর্ষকর্তার মধ্যে আলোচনা হয়েছে। চিনা বিদেশমন্ত্রীর তরফে এই বিষয়ে বিশদে আলোচনা করার জন্য অজিত ডোভালকে চিনে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আমন্ত্রণ নিয়ে ইতিবাচক মন্তব্যই করতে শোনা গিয়েছে ডোভালকে। তিনি জানিয়েছে,তাৎক্ষণিক সমস্যাগুলির দ্রুত সমাধান হলে, তবেই তিনি সেখানে যেতে পারেবন।
ওয়াই ই-অজিত ডোভাল আলোচনার গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলি
- অতি দ্রুত ভারতীয় ভূখণ্ডে বিভিন্ন অংশে সেনা প্রত্যাহার করতে হবে। তাহলেই প্রতিবেশি দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও মজবুত ভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে। বর্তমান পরিস্থিতি চলতে থাকলে কারোরই লাভ হবে না।
- শান্তি ও স্থিতাবস্থা ফিরে আসলে দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক বিশ্বাস গড়ে তুলতে সাহায্য করবে এবং সম্পর্কের অগ্রগতির জন্য ইতিবাচক পরিবেশ তৈরিতেও সাহায্য করবে।
- অবস্থা স্বাভাবিক করতে এবং শান্তি ও স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে দুই দেশের শীর্ষ কূটনৈতিক ও সেনা স্তরে আলোচনা চালিয়ে যাওয়াটা প্রয়োজনীয়
- এই রকমভাবেই কাজ করতে করতে দুই দেশের মধ্যে চলা যাবতীয় সমস্যা দ্রুত মিটিয়ে ফেলতে হবে। তবে দুই দেশকে এই বিষয়গুলি মিটিয়ে ফেলতে পরিপক্কতা ও আন্তরিকতার সঙ্গে পদক্ষেপ করতে হবে।
বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গেও ওয়াই ইয়ের আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। সেই আলোচনায় প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা, আফগানিস্তান ইস্যু এবং ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ নিয়ে আলোচনা হতে পারে। পূর্ব লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় জুন ২০২০ থেকে চলে আসা দুই দেশের সংঘাতের পর এই প্রথম চিন প্রশাসনের কোনও শীর্ষকর্তা ভারত সফরে এসেছেন। দীর্ঘ জল্পনার পর চিনা বিদেশমন্ত্রী বিদেশমন্ত্রী ভারত সফরে এসেছিলেন। দুই দেশের পারস্পরিক সম্পর্কে এই সফরের কোনও ইতিবাচক প্রভাব পড়ে কিনা সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।