Infulenza: কোভিডের মতোই দ্রুত সংক্রমণ ছড়াচ্ছে H3N2 ভাইরাস, সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ প্রাক্তন এইমস-প্রধানের
কেউ H3N2 ভাইরাসে আক্রান্ত হলে কী ভাবে বোঝা যাবে এবং প্রতিরোধের উপায় কী, জানালেন প্রাক্তন এইমস প্রধান।
নয়া দিল্লি: কোভিডের মতোই দ্রুত হারে বেড়ে চলেছে ইনফ্লুয়েঞ্জা আক্রান্তের সংখ্যা। আর এই সংক্রমণের পিছনে রয়েছে H3N2 ভাইরাস। কোভিডের মতোই থুথু থেকে H3N2 সংক্রমণ ছড়াচ্ছে এবং ভাইরাসটি জিন পরিবর্তন করছে বলে জানালেন দিল্লি এইমস-এর প্রাক্তন প্রধান ডা. রণদীপ গুলেরিয়া। তাই এই সংক্রমণ থেকে শিশুদের বাঁচাতে বড়দের, বিশেষত সংক্রমিতদের যেমন সতর্ক হওয়া জরুরি, তেমনই যাঁদের হার্ট, কিডনির সমস্যা বা গুরুতর অসুখ রয়েছে, সেই কো-মর্বিডিটি সম্পন্ন ব্যক্তিদেরও সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
দোল উৎসব চলছে। এই উৎসবে মেতে ওঠেন বাচ্চা থেকে বুড়ো- সকলেই। ফলে H3N2 ভাইরাসের প্রকোপ বাড়ার সম্ভাবনাও বেশি বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ইন্টারনাল মেডিসিন রেসপিরেটরি অ্যান্ড স্লিপ মেডিসিন ইনস্টিটিউটের চেয়ারম্যান তথা মেডিক্যাল এডুকেশনের ডিরেক্টর ডা.রণদীপ গুলেরিয়া। তাই এই উৎসবের সময়ে সকলের বিশেষত, শিশুর অভিভাবকদের এবং সংক্রমিত ব্যক্তিদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। কেউ H3N2 ভাইরাসে আক্রান্ত হলে কী ভাবে বোঝা যাবে, তাও উল্লেখ করেছেন এইমসের প্রাক্তন প্রধান।
H3N2 ভাইরাসে সংক্রমিত হলে কী উপসর্গ দেখা যাবে? ডা. রণদীপ গুলেরিয়া জানান, H3N2 ভাইরাসে আক্রান্ত হলে জ্বর, সর্দি-কাশি, গলা ব্যথা, গা-হাত ব্যথা হবে।
বহু বছর আগে H1N1 ভাইরাসের জন্য মহামারী হয়েছিল। সেই ভাইরাসই বর্তমানে মিউটেশন করে H3N2 হয়েছে বলে জানান ডা.রণদীপ গুলেরিয়া। তাঁর কথায়, এটি আগে সাধারণ ইনফ্লুয়েঞ্জা স্ট্রেন ছিল। কিন্তু, বর্তমানে সেটি কিছুটা মিউটেশন হয়েছে এবং এর বিরুদ্ধে মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমেছে। ফলে সহজেই ছোট থেকে বড় আক্রান্ত হচ্ছে এই ভাইরাসে। তবে প্রতি বছরই এই ভাইরাসের জিনব বদল হয় জানিয়ে এইমস প্রধান আরও জানান, সাধারণ ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসেরই একটি প্রজাতি হল H3N2 ভাইরাস।
H3N2 প্রতিরোধের উপায় কী? দিল্লি এইমস-এর প্রাক্তন প্রধান ডা. রণদীপ গুলেরিয়া জানাচ্ছেন, আবহাওয়ার পরিবর্তন ইনফ্লুয়েঞ্জায় আক্রান্ত হওয়ার একটি প্রধান কারণ। এছাড়া কোভিড-পরবর্তী সময়ে জনগণ আর মাস্ক পরছেন না। ফলে সংক্রমণ বাড়ছে। তাই সংক্রমণ ঠেকাতে কোভিডের মতোই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছেন ডা. রণদীপ গুলেরিয়া। তিনি বলেন, “আমাদের বারবার হাত ধোওয়া এবং ভিড় এড়িয়ে চলা উচিত।” বয়স্ক এবং যাঁদের ভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি বেশি, তাঁদের ভ্যাকসিন নেওয়ারও পরামর্শ দিচ্ছেন ডা. গুলেরিয়া।