AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Delhi Blast Update: ৫-১০ মিনিটেই অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট দিয়ে ‘খেল খতম’, গাড়িতেই বিস্ফোরক বানিয়েছিল উমর? বড় তথ্য এল সামনে

Ammonium Nitrate Explosive: জেরায় তদন্তকারীদের কাছে ধৃতরা স্বীকার করেছো যে বিস্ফোরণের পর কাতার বা তুরস্ক অথবা সংখ্যালঘু অধ্যুষিত অন্য কোনও দেশে গিয়ে অন্তত ছয় মাস লুকিয়ে থাকার পরিকল্পনা ছিল তাঁদের। যে পুলিশ অফিসার আল ফালাহ হাসপাতালের হস্টেলে গিয়ে পাসপোর্টে তথ্য ভেরিফিকেশন করেছিলেন, তাঁর সঙ্গেও কথা বলছেন তদন্তকারীরা।

Delhi Blast Update: ৫-১০ মিনিটেই অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট দিয়ে 'খেল খতম', গাড়িতেই বিস্ফোরক বানিয়েছিল উমর? বড় তথ্য এল সামনে
উমর নবি সম্পর্কে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য সামনে।Image Credit: X
| Edited By: | Updated on: Nov 15, 2025 | 1:06 PM
Share

নয়া দিল্লি: লালকেল্লার কাছে বিস্ফোরণকাণ্ডে সামনে এল আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য। গাড়িতে বসেই কি বিস্ফোরক তৈরি করেছিল জঙ্গি-চিকিৎসক উমর নবি? গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে, ২ কিলোগ্রামের বেশি অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট ব্যবহার করা হয়েছিল দিল্লির বিস্ফোরণে। ৫০টিরও বেশি যে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল, তা থেকেই এই তথ্য উঠে আসছে। পেট্রোলিয়াম জাতীয় কোনও জ্বালানি ব্যবহার করে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছিল।

গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে, খনিতে যে ধরনের বিস্ফোরক ব্যবহার করা হয়, সেই ধরনের বিস্ফোরক ব্যবহার করা হয়েছিল। বিস্ফোরণ হওয়া আই-২০ গাড়িতে দুই কেজি অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট ব্য়বহার করা হয়েছিল। গাড়ির ভিতরে সরু তার ও এক ধরনের জ্বালানি পাওয়া গিয়েছে। এখান থেকেই গোয়েন্দাদের সন্দেহ, গাড়িতে বসেই বিস্ফোরক তৈরি করা সম্ভব। ৫-১০ মিনিটের মধ্যেই এই বিস্ফোরক তৈরি করা যায়।

গোয়েন্দারা নিশ্চিত হয়েছেন যে গাড়িতে বসেই উমর বিস্ফোরক তৈরি করেছিল অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট দিয়ে। তবে লালকেল্লার সামনেই বিস্ফোরণ ঘটানোর প্ল্যান ছিল নাকি অন্য কোনও আরও জনবহুল এলাকায় এই বিস্ফোরণ ঘটানো হত, সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা করছেন গোয়েন্দারা। তার কারণ সোমবার করে লালকেল্লা বন্ধ থাকে।

আরও জানা গিয়েছে যে দেশের গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলিতে বিস্ফোরণের পরেই পালানোর ছক করেছিল মুজাম্মিল-শাহিনরা। এমনকী নতুন পাসপোর্ট তৈরি করার জন্য অনলাইনে আবেদন করেছিল তাঁরা।

জেরায় তদন্তকারীদের কাছে ধৃতরা স্বীকার করেছো যে বিস্ফোরণের পর কাতার বা তুরস্ক অথবা সংখ্যালঘু অধ্যুষিত অন্য কোনও দেশে গিয়ে অন্তত ছয় মাস লুকিয়ে থাকার পরিকল্পনা ছিল তাঁদের। যে পুলিশ অফিসার আল ফালাহ হাসপাতালের হস্টেলে গিয়ে পাসপোর্টে তথ্য ভেরিফিকেশন করেছিলেন, তাঁর সঙ্গেও কথা বলছেন তদন্তকারীরা।নথিপত্র আদৌ ঠিক ছিল কি না, সমস্ত নথিপত্র ঠিক করে দেখা হয়েছিল কি না, এ ব্যাপারে সেই পুলিশকর্মীর সঙ্গেও তদন্তকারীরা কথা বলছেন।

সূত্রের খবর,  ৯-১০ ডিসেম্বরের মধ্যেই শাহিন, মুজাম্মিল এবং আদিল দেশ ছেড়ে পালাত। উমর অবশ্য কাশ্মীরে গিয়ে জঙ্গিদের ডেরায় লুকিয়ে থাকার পরিকল্পনা করেছিল। তদন্তকারীরা জেরার পর নিশ্চিত হয়েছেন যে ৬ ডিসেম্বর, বাবরি মসজিদ ভাঙা যেদিন হয়েছিল, সেদিন এই বড়সড় নাশকতার ছক পরিকল্পনা তৈরি করা হয়েছিল।

তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, মুজাম্মিল এবং শাহিনের পাসপোর্টের যাবতীয় তথ্য নিয়ে কোনও সন্দেহ না থাকলেও, আদিলের একাধিক তথ্যে গরমিল ছিল। তাতেই নথিপত্র যাচাই করার প্রক্রিয়া কিছুটা স্লথ হয়ে গিয়েছিল বলে তদন্তকারীরা জানিয়েছেন। আদিল নিজের বাড়ির ঠিকানার বদলে আল ফাল্লাহ্ বিশ্ববিদ্যালয়ের ঠিকানা দিয়েছিল।কিন্তু সেই ঠিকানার প্রামাণ্য হিসেবে কোনও নথি দেখাতে পারেনি। যদিও তদন্তকারীরা সেই সব নথিপত্রগুলিকে ভালো করে খতিয়ে দেখছে।

তদন্তকারীরা মনে করছেন, প্রতিটি নথি জাল। যে কারণে পাসপোর্ট নথিপত্র ভেরিফিকেশন দায়িত্ব ছিল যে পুলিশ কর্মীদের উপরে, তাদের ভূমিকাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে তদন্তকারী দল সূত্রে খবর। পাসপোর্ট ভেরিফিকেশনের জন্য শাহিনের ছবি তুলতে গিয়েছিলেন এক পুলিশ অফিসার। হস্টেলের ভেতরে মোবাইলে ছবি তুলেছিল।