Delhi Woman: দিল্লিতে ভয়াবহ দুর্ঘটনায় মৃত তরুণীর ময়নাতদন্তের রিপোর্ট প্রকাশ, যৌন হেনস্থার প্রমাণ নেই

তরুণীর মা যে যৌন হেনস্থার অভিযোগ এনেছিলেন,তার এখনও কোনও প্রমাণ মেলেনি। তরুণীর গোপানঙ্গে আঘাতের চিহ্ন মেলেনি।

Delhi Woman: দিল্লিতে ভয়াবহ দুর্ঘটনায় মৃত তরুণীর ময়নাতদন্তের রিপোর্ট প্রকাশ, যৌন হেনস্থার প্রমাণ নেই
দিল্লিতে তরুণীর মৃত্যু।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 03, 2023 | 3:34 PM

নয়া দিল্লি: দিল্লিতে গাড়িতে ঘষটে তরুণীর মৃত্যুর ঘটনায় রহস্য ক্রমশ ঘনীভূত হচ্ছে। মঙ্গলবার তরুণীর দেহের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। সেই রিপোর্টে তাঁর গোপনাঙ্গে কোনও আঘাতের চিহ্ন মেলেনি। তবে এখনও তদন্ত সম্পূর্ণ হয়নি বলে জানিয়েছে দিল্লি পুলিশ।

দিল্লি পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গাড়িতে ঘষটে মৃত তরুণীর দেহের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এদিনই প্রকাশিত হয়েছে। সেই রিপোর্টে তরুণীর দেহে গভীর আঘাতের চিহ্ন মিলেছে। হাতে, পায়ে এবং পিঠে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে, যেটা দীর্ঘ ১২ কিলোমিটার গাড়িতে ঘষটে যাওয়ার ফলে হয়েছিল। তবে তরুণীর মা যে যৌন হেনস্থার অভিযোগ এনেছিলেন,তার এখনও কোনও প্রমাণ মেলেনি। তরুণীর গোপানঙ্গে আঘাতের চিহ্ন মেলেনি। তবে সোয়াব নমুনা এবং তাঁর প্যান্টের টুকরো সংরক্ষণ করা হয়েছে এবং ফরেন্সিক তদন্তের পরই এই বিষয়ে স্পষ্ট তথ্য মিলবে বলে দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে।

অন্যদিকে, তরুণীর মৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্ত ৫ জনই গ্রেফতার হয়েছে। গাড়ির চাকায় কিছু একটা আটকে রয়েছে বলে বুঝতে পেরেছিল ওই গাড়ির চালক দীপক কুমার। সেকথা পুলিশের কাছে সে স্বীকারও করেছে। ঘটনার সময় দীপকের সঙ্গে গাড়িতে ছিল অমিত খান্না, মনোজ মিত্তলস কৃশান এবং মিঠুন। তারা মদ্যপ ছিল বলেও পুলিশি জেরায় স্বীকার করেছে। দীর্ঘ ১২ কিলোমিটার গাড়ির চাকায় ঘষটে যাওয়ার পর কাঞ্ঝাওয়ালার জোন্তি মোড়ে গাড়িটি মোড় ঘোরার সময় স্থানীয় কয়েকজন ওই তরুণীকে দেখতে পান। তাঁর যখন দেহ উদ্ধার করা হয়, তখন তরুণীর দেহে পোশাক ছিল না। ফলে তাঁকে যৌন হেনস্থা করা হয়েছে অভিযোগ তুলে দেহ নিতে অস্বীকার করেন তরুণীর মা।

এদিকে, পুলিশি তদন্তে উঠে এসেছে ওই তরুণী ও তাঁর বান্ধবী দুর্ঘটনার রাতে এক বন্ধুর জন্মদিনের পার্টিতে হোটেলে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে রাত ২ টোর সময় বাড়ি ফিরছিলেন তাঁরা। স্কুটারে একা ছিলেন না অঞ্জলি। সঙ্গে ছিলেন তাঁর সেই বান্ধবীও। মারুতি সুজুকি স্কুটারে ধাক্কা মারার মুহূর্তে স্কুটার থেকে পড়ে যান অঞ্জলি। সেই সময় গাড়ির নীচে আটকে যায় তাঁর দেহ। সঙ্গে আহত হন অঞ্জলির বান্ধবীও। কিন্তু ভয় পেয়ে তিনি সেই দুর্ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান। তবে এখানে প্রশ্ন উঠেছে বন্ধুর দুর্ঘটনা দেখে পালিয়ে গেলেও পুলিশকে কিছু জানায়নি কেন ওই তরুণী? আবার হোটেলের ওই পার্টিতে তাঁদের সেই যুবকদের সঙ্গে কথা বলতেও দেখা গিয়েছে। ফলে গোটা ঘটনায় রহস্য ক্রমশ ঘনীভূত হচ্ছে। যদিও প্রকৃত ঘটনা জানতে উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।