AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Mahua Moitra: ‘আমি জেলে যেতেও রাজি’, টুইট করে বললেন মহুয়া মৈত্র

Opposition voice: লোকসভার অন্দরে বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করায় গণতন্ত্র আক্রান্ত হচ্ছে বলে মনে করেন মহুয়া। সরকারের বিরুদ্ধে অতীতেও বিভিন্ন বিষয়ে সরব হয়েছিলেন মহুয়া।

Mahua Moitra: ‘আমি জেলে যেতেও রাজি’, টুইট করে বললেন মহুয়া মৈত্র
মহুয়া মৈত্র
| Edited By: | Updated on: Mar 16, 2023 | 2:28 PM
Share

নয়াদিল্লি: লোকসভায় বিরোধীদের কথা বলতে দেওয়া হচ্ছে না। বিভিন্ন সময় এই অভিযোগ কেন্দ্রের ক্ষমতাসীন সরকারের বিরুদ্ধে তুলেছে বিরোধীরা। সংসদের সাম্প্রতিক অধিবেশনেও এই অভিযোগ নিয়ে সরব হয়েছেন বিভিন্ন বিরোধী দলের নেতা। এ বার লোকসভার স্পিকারের বিরুদ্ধে বক্তব্য রাখতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ তুললেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। এ নিয়ে একটি টুইট করেছেন মহুয়া। সেই টুইটেই লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন তিনি। এই টুইটের জন্য ‘জেলে যেতেও রাজি’ বলে লিখেছেন কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ। মহুয়ার এই বক্তব্য অধীরের অভিযোগের প্রতিধ্বনিও উঠে এল। তিনিও স্পিকারকে চিঠি দিয়ে বিরোধীদের বলতে না দেওয়ার অভিযোগ তুলেছিলেন বুধবার।

লোকসভার অন্দরে বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করায় গণতন্ত্র আক্রান্ত হচ্ছে বলে মনে করেন মহুয়া। সরকারের বিরুদ্ধে অতীতেও বিভিন্ন বিষয়ে সরব হয়েছিলেন মহুয়া। এমনকি সংসদের মধ্যে তাঁর কিছু শব্দ চয়ন এবং অঙ্গিভঙ্গি নিয়ে বিতর্কেও জড়িয়েছিলেন। কিন্তু সে সব বিতর্কের পর সরকারকে আক্রমণের ঝাঁঝ এতটুকু কমাননি মহুয়া। টুইটে তিনি লিখেছেন, “গত তিন দিন ধরে স্পিকার (লোকসভা) ওম বিড়লা কেবল মাত্র বিজেপি-র মন্ত্রীদের কথা বলার সুযোগ দিচ্ছেন। তারপর লোকসভা মুলতুবি করে দিচ্ছেন। এক জনও বিরোধী সদস্যদের কথা বলতে দেওয়া হচ্ছে না। গণতন্ত্র আক্রমণের মুখে। স্পিকার সামনে থেকে সেই আক্রমণের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। এই টুইটের জন্য আমি জেলে যেতেও রাজি।”

প্রসঙ্গত, গত কয়েক দিন ধরেই দফায় দফায় উত্তাল হয়েছে সংসদের দুই কক্ষ। দিন কয়েক আগে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর বক্তৃতা দেওয়া নিয়ে সরব হয়েছে বিজেপি। রাহুলকে নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানিয়েছে সরকার পক্ষের নেতারা। অন্যদিকে, মূল্যবৃদ্ধি এবং আদানির মতো ইস্যুতে সরব বিরোধীরাও। এই নিয়েই গত তিন ধরে উত্তেজনা ছড়িয়েছে সংসদে। বৃহস্পতিবারও মুলতুবি হয়ে গিয়েছে লোকসভা ও রাজ্যসভা। তৃণমূল সাংসদদের মুখে কালো কাপড় বেঁধে প্রতিবাদ করতে দেখা গিয়েছে সংসদে।

বুধবার স্পিকার ওম বিড়লাকে দেওয়া এক চিঠিতে লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীর চৌধুরীও কথা বলতে না দেওয়ার অভিযোগ করেছিলেন। তিনি লিখেছিলেন, “সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় হাউসে বিশৃঙ্খলা করা হচ্ছে। ১৩ মার্চ সংসদ খোলার পর থেকেই সরকারি মদতে বিশৃঙ্খলা দেখে আমি গভীর মর্মাহত। এটা একটা সরকারি ষড়যন্ত্র। বিরোধী নেতা রাহুল গান্ধীর ভাবমূর্তি নষ্ট করতে সরকার বেশি তৎপর। এর পাশাপাশি যে বিষয়টি আরও ভয়ঙ্কর যে, সংসদে বিরোধীদের কথা শোনাই হচ্ছে না।” তিন দিন ধরে তাঁর মাইক মিউট করে রাখা হয়েছে বলেও স্পিকারকে দেওয়া চিঠিতে অভিযোগ করেছেন বহরমপুরের সাংসদ।