Viksit Bharat Sankalp Yatra: ‘বিকশিত ভারত সংকল্প যাত্রা’ কী? কোন লক্ষ্যে সরকারের এই উদ্যোগ?
বিগত বছরগুলিতে মোদী সরকার যে সব জনকল্যাণ মূলক কর্মসূচি নিয়েছে, এক ঝলকে তা ফুটে উঠবে যাত্রার মাধ্যমে। এর পাশাপাশি আদিবাসীদের জীবনযাত্রার উন্নয়নের জন্য সরকারের পরিকল্পনা এবং পদক্ষেপের কথাও তুলে ধরা হবে বিকশিত ভারত সংকল্প যাত্রার মাধ্যমে। দেশের ২৪টি রাজ্য এবং কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলের ৬৮ জেলার সাড়ে ৮ হাজারেরও বেশি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে দিয়ে হবে এই যাত্রা।

নয়াদিল্লি: আদিবাসী গৌরব দিবস অর্থাৎ ১৫ নভেম্বর ‘বিকশিত ভারত সংকল্প যাত্রা’র (Viksit Bharat Sankalp Yatra) সূচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ঝাড়খণ্ডের খুন্তি জেলায় কেন্দ্রের এই উদ্যোগের পথচলা শুরু হয়েছে। তার পর দেশের বিভিন্ন প্রান্তে তা ছড়িয়ে পড়েছে। বিগত বছরগুলিতে মোদী সরকার যে সব জনকল্যাণ মূলক কর্মসূচি নিয়েছে, এক ঝলকে তা ফুটে উঠবে যাত্রার মাধ্যমে। এর পাশাপাশি আদিবাসীদের জীবনযাত্রার উন্নয়নের জন্য সরকারের পরিকল্পনা এবং পদক্ষেপের কথাও তুলে ধরা হবে বিকশিত ভারত সংকল্প যাত্রার মাধ্যমে। দেশের ২৪টি রাজ্য এবং কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলের ৬৮ জেলার সাড়ে ৮ হাজারেরও বেশি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে দিয়ে হবে এই যাত্রা।
আদিবাসী জনগোষ্ঠীর বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে সরকারের জনকল্যাণমূলক কর্মসূচির বার্তা প্রচারের জন্য বিশেষভাবে ডিজাইন করা হয়েছে পাঁচটি আইসিই ভ্যান। এই সব আইসিই ভ্যান জেলায় জেলায় ঘুরে একেবারে তৃণমূল স্তরে পৌঁছে দেবে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির বার্তা। ইতিমধ্যেই ঝাড়খণ্ড, উত্তর প্রদেশ, অরুণাচল প্রদেশ, অসম, নাগাল্যান্ড, মহারাষ্ট্র, জম্মু ও কাশ্মীর, অন্ধ্র প্রদেশ, মহারাষ্ট্র, পশ্চিমবঙ্গ, গুজরাট, ওড়িশা, তামিলনাড়ু, কেরলের মতো রাজ্যে শুরু হয়েছে ‘বিকশিত ভারত সংকল্প যাত্রা’।
এই যাত্রার লক্ষ্য-
কেন্দ্রীয় সরকার সাধারণ মানুষের জন্য বিভিন্ন বিষয়ে একাধিক কর্মসূচির সূচনা করেছে। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই প্রান্তিক মানুষের কাছে এই সব কর্মসূচি সংক্রান্ত তথ্য পৌঁছয় না। এর জেরে সরকারি সাহায্যের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হতে হয় তাঁদের। তাই দেশের প্রত্যন্ত প্রান্তে থাকা মানুষকে সরকারি প্রকল্পের বিষয়ে জানানো এই যাত্রার অন্যতম উদ্দেশ্য। কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্প নিয়ে সচেতনতা গড়াও এর অন্যতম উদ্দেশ্য। সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পের বিষয়ে মানুষ কী ভাবছেন, এ নিয়ে তাঁদের কোনও পরামর্শ থাকলে তা নথিভুক্ত করাও ‘বিকশিত ভারত সংকল্প যাত্রা’র অন্যতম উদ্দেশ্য।
যাত্রার সময়কাল-
২০২৩ সালের ১৫ নভেম্বর বিরসা মুণ্ডার জন্মবার্ষিকীতে ‘বিকশিত ভারত সংকল্প যাত্রা’র সূচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। আদিবাসী গৌরব দিবসে শুরু হওয়া এই যাত্রা চলবে আগামী বছর প্রজাতন্ত্র দিবস পর্যন্ত। অর্থাৎ ২০২৪ সালের ২৬ জানুয়ারি অবধি।
‘বিকশিত ভারত সংকল্প যাত্রা’র রূপায়ণের দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকারে অধীনস্থ একাধিক মন্ত্রককে। কৃষি মন্ত্রক, গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক, আদিবাসী কল্যাণ মন্ত্রকের কাঁধে এই যাত্রা রূপায়ণে গুরু দায়িত্ব রয়েছে। এ ছাড়াও বেশ কয়েকটি মন্ত্রক রয়েছে এই যাত্রা সফল করার পিছনে।
