করোনার বাড়বাড়ন্ত! সরকারকে ‘ফুল নম্বর’, উদাসীনতাকেই ‘ভিলেন’ বানালেন স্বাস্থ্যকর্তা
করোনা রোখায় কেন্দ্রীয় সরকারকে কার্যত পুরো নম্বর দিলেন স্বাস্থ্য পরিষেবার ডিরেক্টর জেনারেল চিকিৎসক সুনীল কুমার।
নয়া দিল্লি: করোনার (COVID) দ্বিতীয় ঢেউ ‘সুনামির’ আকার নিয়েছে। স্রেফ ৩ দিনে প্রায় ১০ লক্ষ মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। করোনার এই বাড়বাড়ন্তের দায় কার? চিকিৎসক-বিশেষজ্ঞদের একটা বড় অংশ এর জন্য দায়ী করছেন সাধারণ মানুষের উদাসীনতাকে। করোনা সংক্রমণ প্রথম ঢেউয়ের পর যখন নিম্নগামী হয়েছিল তখন করোনাবিধি উড়িয়ে রাস্তায় নেমেছিলেন লোকজন। শিকেয় উঠেছিল সামাজিক দূরত্ব। মাস্ক ঝুলছিল থুতনিতে। সেই আবহেই লাফিয়ে বেড়েছে করোনা। ভার্চুয়াল একটি বৈঠকে কার্যত এই কথাগুলোই মনে করালেন এইমস প্রধান রণদীপ গুলেরিয়া, স্বাস্থ্য পরিষেবার ডিরেক্টর জেনারেল সুনীল কুমার ও অন্যান্য বিশিষ্ট চিকিৎসক-গবেষকরা।
করোনা রোখায় কেন্দ্রীয় সরকারকে কার্যত পুরো নম্বর দিলেন স্বাস্থ্য পরিষেবার ডিরেক্টর জেনারেল চিকিৎসক সুনীল কুমার। তাঁর সাফ কথা, দেশ করোনার জন্য প্রস্তুত ছিল না। ২০২০ সালে নতুন ভাইরাস আসার সঙ্গে সঙ্গেই কেন্দ্র তার দায়িত্ব পালন করেছে। তিনি বলেন, “সরকার দায়িত্বের সঙ্গে তার কাজ করেছে। করোনা পরীক্ষার সংখ্যা বাড়িয়েছে। বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলেই একের পর এক পদক্ষেপ করেছে।” তিনি করোনার এই বাড়বাড়ন্তের জন্য সাধারণ মানুষের উদাসীনতাকেই দুষেছেন।
2020 brought new virus & we weren’t prepared. GoI carried its duty responsibly & ramped up testing capability. We must have faith that our govt takes concrete & scientific steps with suggestions from doctors, microbiologists, epidemiologists: DG of Health Services Dr Sunil Kumar pic.twitter.com/yrEGhEgwDS
— ANI (@ANI) April 25, 2021
দেশে গত ২৪ ঘণ্টাতেই করোনা আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় সাড়ে ৩ লক্ষ মানুষ। তবে এই ভয়াবহ অবস্থায় সুনীল কুমার আতঙ্কিত না হয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির কথা বলেন। রেমডেসিভির নিয়ে যে হুড়োহুড়ি শুরু হয়েছে সে বিষয়ে আগেই এইমসের প্রধান রণদীপ গুলেরিয়ার জানিয়েছিলেন, এই ওষুধ কোনও ম্যাজিক পিল নয়। এ দিন ফের গুলেরিয়া বলেন, “যাঁরা করোনা আক্রান্ত হয়ে বাড়িতে চিকিৎসাধীন আছেন এবং অক্সিজেন লেভেল ৯৪ শতাংশের বেশি,তাঁদের রেমডেসিভির প্রয়োজন নেই। বরং তাঁরা রেমডেসিভির নিলে উল্টো ক্ষতি হতে পারে।” এইমসের চিকিৎসক ডঃ নবীন উইগ জানান, করোনার শৃঙ্খল ভাঙতে হবে। প্রয়োজনে বিধিনিষেধ জারি করে করোনার এই মারণ সংক্রমণ রুখতে হবে।