Anubrata Mondal: কেষ্টর ১১ কোটি ২৬ লাখ টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ইডি
Cow Smuggling Case: এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের তরফে এর আগে অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে যে চার্জশিট জমা করেছিল, সেখানে তারা উল্লেখ করেছিল গরু পাচারের থেকে প্রায় ৪৮ কোটি টাকার সম্পত্তির পাহাড় তৈরি করেছিলেন কেষ্ট।
নয়া দিল্লি: গরুপাচার মামলায় (Cow Smuggling Case) গ্রেফতার অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) বিপুল পরিমাণের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ইডি (Enforcement Directorate)। সব মিলিয়ে মোট ১১ কোটি ২৬ লাখ টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। কেষ্ট মণ্ডলের ২৫টি অ্যাকাউন্টের টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। শুধু অনুব্রতরই নয়, তাঁর স্ত্রী ও কন্যার সম্পত্তিও অ্যাটাচ করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। পাশাপাশি বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতির হিসেব রক্ষক মণীশ কোঠারিরও ২৬ লাখ টাকার সম্পত্তিও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। উল্লেখ্য, এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের তরফে এর আগে অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে যে চার্জশিট জমা করেছিল, সেখানে তারা উল্লেখ করেছিল গরু পাচারের থেকে প্রায় ৪৮ কোটি টাকার সম্পত্তির পাহাড় তৈরি করেছিলেন কেষ্ট।
এই বিপুল অঙ্কের টাকার পুরোটাই গরু পাচারের কালো টাকা বলে সন্দেহ করেছিল ইডি। সেই টাকার একাংশ বাজেয়াপ্ত করার জন্য ইডির তরফে আদালতে আবেদন জানানো হয়েছিল। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের নিয়ম অনুযায়ী সম্পত্তি বাজেয়াপ্তকরণের ক্ষেত্রে প্রথম ধাপে প্রভিশনাল অ্যাটাচমেন্ট করা হয়। অনুব্রত, সুকন্যা, মণীশ কোঠারির সম্পত্তি প্রভিশনাল অ্যাটাচমেন্টের কথা আগের জমা দেওয়া চার্জশিটেই উল্লেখ করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এবার সেই সম্পত্তি পুরোপুরি বাজেয়াপ্ত করার প্রক্রিয়া শুরু করে দিল ইডি। এই সম্পত্তি যে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড থেকে তৈরি হয়েছে, সেই বিষয়ে ইতিমধ্যেই প্রমাণ দিয়েছে ইডি এবং প্রসিড অব ক্রাইম হিসেবে এই সম্পত্তি অ্যাটাচ করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
উল্লেখ্য, ইডির চার্জশিট অনুযায়ী, অনুব্রত মণ্ডলের মোট প্রসিড অব ক্রাইম ৪৮ কোটি টাকা। নিয়ম অনুযায়ী, ইডি পিএমএলএ আইনের ৫(১) ধারা অনুযায়ী প্রসিড অব ক্রাইম থেকে পাওয়া সম্পত্তি অ্যাটাচ করতে পারে। অ্যাটাচ করার ১৮০ দিনের মধ্যে সেই অ্যাটাচমেন্ট অর্ডার উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ (এখানে ইডি আদালত) কে দিয়ে কনফার্ম করাতে হয়। না হলে সেই অ্যাটাচ সম্পত্তি নিজে থেকেই রিলিজ হয়ে যায়।
মূলত, অভিযুক্ত যাতে ওই সম্পত্তি হস্তান্তর করতে না পারে এবং সেই সম্পত্তি থেকে কোনও আর্থিক লাভ না পায়, তা নিশ্চিত করতেই সম্পত্তি অ্যাটাচ করা হয়ে থাকে। তবে যতক্ষণ না একজন অভিযুক্ত আদালতে দোষী প্রমাণিত হচ্ছে, ততদিন সেই সম্পত্তি সরকার নিজে নিয়ে নিতে পারে না। এক্ষেত্রেও অনুব্রত এবং মনীশের ব্যাঙ্কের টাকার সুদ থেকে শুরু করে সম্পত্তির থেকে পাওয়া লাভ অনুব্রত বা তাঁর পরিবারের কেউ পাবেন না।
যদিও, অভিযুক্ত এক্ষেত্রে আদালতে যেতে পারেন। উপযুক্ত কারণ দেখিয়ে অ্যাটাচ সম্পত্তি রিলিজ করার জন্য অনেক ক্ষেত্রে আদালত নির্দিষ্ট শর্তে অ্যাটাচ সম্পত্তি রিলিজ করে দিয়েছে, এরকমও অনেক উদাহরণ আছে।