প্রয়াত প্রাক্তন সাংসদ তথা সাংবাদিক চন্দন মিত্র

২০০৩ থেকে ২০০৯ পর্যন্ত রাজ্যসভার সাংসদ ছিলেন তিনি। 'পায়োনিয়ার' সংবাদপত্রের সম্পাদকও ছিলেন তিনি।

প্রয়াত প্রাক্তন সাংসদ তথা সাংবাদিক চন্দন মিত্র
ফাইল ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 02, 2021 | 11:12 AM

নয়া দিল্লি: চলে গেলেন প্রাক্তন রাজ্যসভার সাংসদ তথা বিশিষ্ট সাংবাদিক চন্দন মিত্র। বেশ কিছুদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন তিনি। গতকাল, বুধবার রাতে নিজের বাড়িতেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৫ বছর। আজ সকালে টুইট করে বাবার মৃত্যুর খবর জানিয়েছেন চন্দন মিত্রের ছেলে কুশন মিত্র। তিনি জানিয়েছেন বেশ কিছুদিন ধরেই ভুগছিলেন তিনি। তাঁর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, উপ রাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নাইডু সহ একাধিক বিশিষ্ট রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। রাজ্যসভায় দু’বারের সাংসদ ছিলেন তিনি। গত জুন মাসে পায়োনিয়ার পত্রিকার সম্পাদকের পদ থেকে ইস্তফা দেন তিনি।

২০০৩ সালে রাজনৈতিক জীবন শুরু করেন চন্দন মিত্র। ওই বছরেই রাজ্যসভার সাংসদ হিসেবে প্রথমবার মনোনীত হন তিনি। ২০১০-সালে আরও একবার রাজ্যসভায় সাংসদ হিসেবে মনোনীত হন তিনি। মধ্যপ্রদেশের বিজেপি সাংসদ হিসেবে তিনি জায়গা পেয়েছিলেন। পরে ২০১৮-তে তৃণমূলে যোগ দেন তিনি। ২০১৬-তে তাঁর সাংসদ পদের মেয়াদ শেষ হয়। বিজেপি-র প্রবীণ নেতা লালকৃষ্ণ আদবাণীর ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত ছিলেন রাজ্যসভার প্রাক্তন এই সাংসদ। দীর্ঘদিন ‘পায়োনিয়ার’ পত্রিকার ম্যানেজিং ডিরেক্টর এবং সম্পাদকও ছিলেন তিনি। কলকাতাতেই লা মার্টিনিয়ার স্কুলে পড়াশোনা করেছেন তিনি। পরে উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে পাড়ি দিয়েছিলেন। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি থেকে পড়াশোনা করেছেন তিনি।

আজ, বৃহস্পতিবার সকালে চন্দন মিত্রের প্রয়াণের খবর প্রকাশ্যে আসার পর শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি টুইটে লিখেছেন, ‘তাঁর বুদ্ধিমত্তা ও বিচক্ষণতার জন্য চন্দন মিত্র স্মৃতিতে রয়ে যাবেন। সংবাদমাধ্যম ও রাজনীতিতে দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন তিনি।’ তাঁর মৃত্যুতে পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

উপ রাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নাইডুও শোক প্রকাশ করেছেন। চন্দন মিত্রের মৃত্যু তাঁর কাছে ব্যক্তিগত ক্ষতি। টুইটে তিনি লিখেছেন, ‘বিশিষ্ট সাংবাদিক তথা রাজ্যসভার সাংসদ চন্দন মিত্রের মৃত্যুতে আমি শোকাহত। উনি একজন সম্মানীয় রাজনীতিক ছিলেন। ওনার চলে যাওয়ার আমার জন্য ব্যক্তিগত ক্ষতি।’ আর এক বিজেপি নেতা রাম মাধব জানিয়েছেন, তাঁর ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন চন্দন মিত্র।

অন্যদিকে, স্কুলের বন্ধু চন্দন মিত্রের সঙ্গে তোলা পুরনো একটি ছবি পোস্ট করে তাঁর স্মৃতিচারণা করেছেন বিজেপি নেতা স্বপন দাশগুপ্ত। তিনি জানিয়েছেন কলকাতার লা মার্টিনিয়ার স্কুলে একসঙ্গে পড়াশোনা করতেন তাঁরা। পরে একসঙ্গে অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটিতেও পড়তে যান। স্বপন দাশগুপ্ত জানান, একইসঙ্গে সাংবাদিকতার পথ বেছে নেওয়ার কথা ভেবেছিলেন তাঁরা। অযোধ্যা কিংবা গেরুয়া শিবির নিয়ে ছিল তাঁদের বিশেষ উৎসাহ।

শশী থারুরেরও কলেজের সহপাঠী ছিলেন চন্দন মিত্র। কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর জানিয়েছেন সেন্ট স্টিফেন্স কলেজে ইউনিয়ন প্রেসিডেন্ট পদের জন্য যখন শশী থারুর লড়েছিলেন তখন প্রচারের কাজ করেছিলেন চন্দন মিত্র। দিল্লিতে ফিরে রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার পর তাঁদের মধ্যে দূরত্ব বেড়ে যায়। আরও পড়ুন: আজ আদালতে রবীন্দ্র-ভূমির অশান্তি! আন্দোলনে অনড় পড়ুয়ারা